ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভয় দেখিয়ে রোগীর পেট কাটলেন ডাক্তার

প্রকাশিত: ০৩:০৯, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

ভয় দেখিয়ে রোগীর পেট কাটলেন ডাক্তার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ১৮ নবেম্বর ॥ সাজেদা হাসপাতালে প্রেগনেন্সি টেস্ট করাতে গিয়েছিলেন গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার পপি। ইউরিন টেস্টের পর গাইনি ডাক্তার কাবেরী সালাম জানান, ‘রোগী প্রেগনেন্ট’। এ সময় তাকে আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পরামর্শ দেয়া হয়। পরদিন রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে জানানো হয়, রোগী প্রেগনেন্ট কিন্তু বাচ্চা জরায়ুতে নেই। সেটা টিউবের ভেতর রয়েছে। এ সময় তিনি রোগী ও স্বজনদের ভয় দেখান দ্রুত অপারেশন করে টিউব কেটে ফেলতে হবে। অন্যথায় টিউব ফেটে রোগীর প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে। অপারেশনের জন্য ১৮ হাজার টাকা কাউন্টারে জমা দিতে বলেন এবং ৩-৪ ব্যাগ রক্ত যোগাড় করে রাখতে বলেন। আকস্মিক এমন খবরে রোগী ও স্বজনরা হতভম্ব হয়ে যান এবং রোগীর জীবন বাঁচাতে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু অপারেশন শেষে ডাক্তার কাবেরী সালাম জানান, রোগীর বাচ্চা জরায়ুতে আছে, এমনকি তার টিউবও ভাল আছে। সবকিছু ভাল থাকলে অপারেশন করা হলে কেন- এমন প্রশ্ন ভুক্তভোগী পরিবারের। ওই গৃহবধূর স্বামী কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি আবু জাফর জানান, গত ১৪ নবেম্বর বিকেলে তার স্ত্রীর অপারেশন করেন সাজেদা হাসপাতালে ডাঃ কাবেরী সালাম। তিনি জানিয়েছিলেন রোগীর অবস্থা খারাপ। দ্রুত অপারেশন করাতে হবে। অপারেশন শেষে তিনি পুনরায় জানান, রোগীর যে সমস্যা মনে করা হয়েছিল আসলে তার ওই রকম কোন সমস্যা নেই। এ সময় ডাক্তারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সবকিছু ঠিক থাকলে রোগীকে অপারেশন করলেন কেন? এ বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। আবু জাফর আরও অভিযোগ করেন, ভুল চিকিৎসা দেয়ার পরও বিলের নামে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের বিল হাতিয়ে নিয়েছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপক হারুন উর রশিদ জানান, এখানে ডাক্তারের দোষ নেই। রিপোর্টে এমনটি ছিল। সেজন্য তিনি (ডাঃ) অপারেশন করেছেন।
×