ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শমূলক নির্দেশনা

প্রকাশিত: ০৭:১২, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শমূলক নির্দেশনা

মোঃ মাসুদ খান প্রধান শিক্ষক ডেমরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ডেমরা, ঢাকা। ই-মেইল: [email protected] সবার প্রতি রইল ফুলেল শুভেচ্ছা। প্রিয় শিক্ষার্থীরা, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাটা সবার জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। এ পরীক্ষা নিয়ে কোনো রকম ভয় পাবে না, দু:শ্চিন্তা করবেনা। পরীক্ষা দেবে নিজের বিদ্যালয়ের মতো স্বাভাবিকভাবে। তোমাদের জন্য মা-বাবা কত কষ্ট করেন, শিক্ষকেরা কত চিন্তায় থাকেন। সমাজ ও দেশ তোমাদের নিয়ে কত আশা করে। তোমরা অবশ্যই সাহস নিয়ে পরীক্ষা দেবে, মন খারাপ করবে না। আরও ভালো করার স্বপ্ন দেখবে। আশা করি, তোমাদের পরীক্ষা খুব ভালো হবে। তোমরা ভালো ফলাফলও করবে। মনে রাখবে, প্রতিটি বিষয়ের সবকিছুই তোমার পড়া পাঠ্যবইয়ের ভেতর থেকেই থাকবে । প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ভালো করতে হলে তোমার পাঠ্যবই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভালো করে পাঠ্যবইটি পড়ো। সারা বছর যা পড়েছ, তা-ই এখন রিভিশন দাও মনোযোগ দিয়ে। দেখবে , পরীক্ষাটা খুব সহজেই ভালো হবে। প্রতিদিন পড়ো, নিজে থেকে পড়ো, বুঝে বুঝে পড়ো। সারা দিন শুধু পড়বে না, মাঝেমধ্যে বিশ্রাম নেবে, প্রয়োজনে শিক্ষক, মা বাবার সঙ্গে কথা বলবে। পরীক্ষার আগে বেশি রাত জেগে পড়াশোনা করবে না। এ সময় পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে নিজ শরীরের প্রতি খেয়াল রাখবে, যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ো। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হবে নভেম্বর ১৯ তারিখে। এই পরীক্ষায় ভালো করতে হলে অবশ্যই বেশি বেশি পড়াশোনা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, কখনোই অস্থির হওয়া যাবে না । বিশেষ কতগুলো দিক অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে। যেমন গণিত বিষয়ের পরীক্ষায় বহুনির্বাচনি ও সংক্ষেপে প্রশ্নগুলোর সতর্কভাবে শুধু উত্তরটা লিখবে । ইংরেজি বিষয়ে পাঠ্যবইয়ের অন্তর্ভুক্ত গল্পগুলো বিশদভাবে পড়তে হবে। পাশাপাশি অন্য বিষয় গুলোর প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। বাংলা পাঠ্যবইয়ের অন্তর্গত ও বহির্ভূত যেসব গল্প রয়েছে, তার প্রশ্নগুলো যতœ সহকারে পড়তে হবে। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, প্রাথমিক বিজ্ঞান, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়গুলোর যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নগুলোর জন্য তোমাদের পাঠ্যবই ভালো করে পড়তে হবে । ওই বিষয়গুলোর কাঠামোবদ্ধ যেসব প্রশ্ন আছে, সেগুলো মনোযোগ সহকারে বুঝে সঠিকভাবে উত্তর দিতে হবে। যোগ্যতাভিত্তিক ও কাঠামোবদ্ধ ছাড়াও নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নগুলোর প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। অবশ্যই মূল পাঠ্যবই বারবার অনুশীলন করবে। পরীক্ষার আগের রাতে ও কেন্দ্রের ভেতরে পরীক্ষার সময়সূচি : প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সময় সূচিটি তোমার পড়ার টেবিলের সামনে অবশ্যই লাগিয়ে রাখবে। এতে পরীক্ষার দিন ও তারিখ সহজেই দেখে নিতে পারবে। পরীক্ষার আগের রাত : তোমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত, পরীক্ষার আগের রাত । এই রাতে পরবর্তী দিনের পরীক্ষার বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে বারবার পড়তে হবে। প্রস্তুতি অনুসারে ‘রিভিশন’ দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকা যাবে না। কারণ, ভালো পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ভালো ঘুম প্রয়োজন । রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে : পরীক্ষার প্রবেশপত্র, পরীক্ষাসংক্রান্ত সামগ্রী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেই প্রবেশপত্র, কলম, পেনসিল, ইরেজার, স্কেল ইত্যাদি গুছিয়ে রাখবে। কারণ, পরের দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় যদি এসব গোছাতে যাও, তাহলে সময় অপচয় হবে এবং তাড়াহুড়োর কারণে অস্থিরতায় ভুগতে হবে। তাই পরীক্ষার উপকরণগুলো রাতেই ঠিকঠাক করে রাখবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের আগে : পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের আগে অবশ্যই দেখে নেবে তোমার প্রবেশপত্র ও পরীক্ষাসংক্রান্ত সব সামগ্রী অর্থাৎ পর্যাপ্ত কলম, পেনসিল, স্কেল, ইরেজার ইত্যাদি ঠিকঠাক আছে কি না। মনে রাখবে, প্রবেশপত্র ও পরীক্ষাসামগ্রী ছাড়া অন্য কোনো বই, খাতা বা কাগজ সঙ্গে নেওয়া যাবে না। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে হলে তোমার আসন গ্রহণ করবে। যা নেওয়া যাবে না : পরীক্ষার হলে প্রবেশপত্র ছাড়া অন্য কোনো কাগজপত্র বা ক্যালকুলেটর বা মোবাইল ফোন সঙ্গে নেওয়া যাবে না। খসড়ার জন্য : খসড়ার জন্য কোনো অতিরিক্ত কাগজ দেওয়া হবে না। পর্যাপ্ত উত্তরপত্রে খসড়ার কাজ করতে হবে। এবং তা পরে যথাযথভাবে কেটে দিতে হবে। অবশ্যই করণীয় : পরীক্ষার্থীকে প্রতিটি বিষয়ের জন্য হাজিরা শিটে অবশ্যই স্বাক্ষর করতে হবে । না হলে এ বিষয় বা বিষয়সমূহে তাকে অনুপস্থিত বলে গণ্য করা হবে । “পাঠ্যবইয়ের বিকল্প নেই, অনুশীলন ছাড়া উপায় নেই” পরীক্ষার খাতায় তোমাদের করণীয়- পরীক্ষার খাতা যেভাবে সাজাবে : পরীক্ষার হলে প্রবেশ করার পর প্রথমে তোমার হাতে আসবে পরীক্ষার খাতা । আর এ সময় তোমার প্রথম কাজ হবে পরীক্ষার খাতার কভার পৃষ্ঠার নির্দিষ্ট স্থানের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া । যেখানে ‘পরীক্ষার্থীর নাম..., ‘রোল নম্বর...’ ‘বিষয়...’ ‘পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর...’ ‘তারিখ...’ ছাপানো থাকবে এর জায়গায় এসব প্রয়োজনীয় তথ্য অবশ্যই সুন্দর ও স্পষ্ট করে লিখবে। আর এসব প্রয়োজনীয় তথ্য নির্ভুলভাবে লেখার জন্য প্রবেশপত্রের সাহায্য নেওয়াই ভাল। আর একটি কথা, প্রবেশপত্রে যেমন স্বাক্ষর দিয়েছ, পরীক্ষার খাতা এবং হলের স্বাক্ষর পত্রে একই স্বাক্ষর করবে। মার্জিন : কভার পৃষ্ঠায় তথ্যাদি লেখার পরের কাজ হলো খাতায় মার্জিন টানা । স্কেল দিয়ে খাতার প্রতিটি সাদা পৃষ্ঠার বাঁ পাশে এক ইঞ্চি এবং ওপরে দেড় ইঞ্চি পরিমাণ মার্জিন টানবে ।খাতার বাঁ পাশের মার্জিনের বাঁয়ে কিছু লেখা যাবে না । খাতা ভাঁজ করে মার্জিন করা উচিত নয় । প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর : প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর সম্পূর্ণ প্রশ্নপত্র মনোযোগ দিয়ে পড়ে ভালভাবে জানা প্রশ্নগুলো চিহ্নিত করে নেবে । পরীক্ষার খাতায় যেভাবে উত্তর লিখবে: পরীক্ষার খাতায় যে প্রশ্নটির উত্তর লিখবে, সেই প্রশ্নের নম্বর অবশ্যই খাতার মাঝামাঝি জায়গায় স্পষ্ট করে লিখবে। তুমি যে প্রশ্নের উত্তর লিখবে, সেই প্রশ্নের যদি কোনো প্রশ্নে ক, খ, গ কিংবা ধ, ন, প ইত্যাদি অংশ থাকে, তবে সেই প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় খাতার মাঝখানে ওই প্রশ্নের নম্বর লিখে তারপর ঠিক তার সরাসরি নিচে (ক), (খ), (গ) কিংবা (ধ) (ন) (প) ইত্যাদি নম্বর সমপরিমাণ দূরত্ব রেখে স্পষ্ট করে উত্তর লিখে যাবে। কোনো প্রশ্নের উত্তর যদি খাতার পৃষ্ঠার শুরু থেকে লেখার পর ওই পৃষ্ঠার কিংবা পরের পৃষ্ঠার অর্ধেকের বেশি স্থান পর্যন্ত চলে যায়, তবে ওই স্থান থেকে আর একটি নতুন প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু না করে পরবর্তী পৃষ্ঠা থেকে নতুন আরেকটি প্রশ্নের উত্তর শুরু করা ভালো। তবে কোনো পৃষ্ঠার অর্ধেকের কম অংশে যদি একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ হয়ে যায়, তবে যথাযথ ‘গ্যাপ’ রেখে আরেকটি নতুন প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করতে পারো। উত্তর লেখার ধারাবাহিকতা : প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর যোগ্যতাভিত্তিকসহ সকল প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গুছিয়ে বুঝে প্রশ্নের নির্দেশনা ও চাহিদা অনুসারে খাতায় সুন্দরভাবে স্পষ্টাক্ষরে লেখার চেষ্টা করবে । হিজিবিজি কাটাকাটি করবে না : কোনো প্রশ্নের উত্তর লিখতে গিয়ে যদি কোনো লাইন বা শব্দ বাদ পড়ে যায় কিংবা ভুল হয়ে যায়, তবে হিজিবিজি কাটাকাটি না করে সরাসরি এক টানে কেটে দিয়ে আবার স্পষ্ট করে লিখবে । পরীক্ষার খাতা জমা দেওয়ার আগে : নির্দেশমতো সব প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ হলে খাতা জমা দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হবে না। লেখা শেষে খাতা জমা দেওয়ার আগে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর আবার মনোযোগ দিয়ে পড়ে নেবে এবং ভালোভাবে দেখে নেবে কোথায় কোনো ভুল আছে কি না, প্রশ্নের উত্তর ঠিকঠাক লেখা হয়েছে কি না এবং প্রশ্নপত্রে যতগুলো প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে, তার সবগুলো দেওয়া হয়েছে কি না । অতিরিক্ত পৃষ্ঠা : অতিরিক্ত পৃষ্ঠা বা লুজশিট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃষ্ঠা নম্বর দিয়ে নেবে । খাতা জমা দেওয়ার আগে সেই পৃষ্ঠার নম্বর অনুসারে লুজশিট গুছিয়ে নেবে এবং মূল খাতার সঙ্গে পিন দিয়ে বা সুতা দিয়ে বাঁধাই করে নেবে । এরপর পরীক্ষা শেষ হওয়ার সংকেত ঘণ্টা বাজানো হলে পরীক্ষার খাতা হল পরিদর্শকের কাছে জমা দেবে । সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ , প্রথমে অনুরোধ জানাচ্ছি, ‘যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন’ কথাটি বারবার শিক্ষার্থীদের কাছে না বলাই ভালো। এতে শিক্ষার্থীদের কোমল মনে একধরনের ভয়-ভীতির সঞ্চার হতে পারে। আপনার সন্তানকে পড়াশোনা ও সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে চাপমুক্ত রাখুন , উৎসাহ দিন, প্রশংসা করুন, ওদের পাশে থাকুন, ওদের সহায়তা করুন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ছোট্ট শিক্ষার্থীদের প্রথম বড় পরীক্ষা। প্রতিটি পাঠ্য বিষয়ের তত্ত্ব ও তথ্যগুলো বুঝে পড়তে সহায়তা করুন। প্রতিটি তথ্যপূর্ণ শব্দ বা বাক্যের যুক্তিনির্ভর ব্যাখ্যা দিন। তত্ত্ব ও তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আপনার চারপাশের পরিবেশের আরও দু-একটি বিষয় সম্পর্কে যুক্তিনির্ভর ব্যাখ্যা করতে বলুন ও প্রয়োজনীয় সহায়তা করুন। আপনার আন্তরিক সহযোগিতা প্রাথমিক শিক্ষার জন্য নির্ধারিত ৮০% সৃজনশীল প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে সক্ষম হবে আমাদের শিশুরা। মনে রাখতে হবে, প্রাথমিক শিক্ষার বুনিয়াদ যত সুদৃঢ় হবে, তত দক্ষ ও সুশিক্ষিতভাবে গড়ে উঠবে আমাদের আগামী প্রজন্ম। শুধু নিজ দেশে নয়, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে আগামী প্রজন্ম। প্রয়োজন শুধু পাঠ্যবইয়ে পড়া জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ ঘটানোর দক্ষতা অর্জন করা। মোঃ ফজলুর রহিম রিমন শিক্ষক, ধানমন্ডি আইডিয়াল স্কুল জিগাতলা, ঢাকা-১২০৯। মোবাইলঃ ০১৬৮০৫৫১৬৫৪ ই-মেইলঃ [email protected] ছোট্ট পরীক্ষার্থী বন্ধুরা শুভেচ্ছা রইল, কেমন চলছে তোমাদের শেষ সময়ের প্রস্তুতি। দেখতে দেখতে আজ তোমরা চ.ঊ.ঈ পরীক্ষার্থী। আর এই পরীক্ষা নিয়ে তোমাদের মধ্যে নিশ্চয়ই চলছে নানা ধরনের চিন্তাভাবনা। কারো কারো মনে একটু ভয় লাগছে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে ভয়ের কোন কারন নেই, পরীক্ষার হলে গেলেই বুঝতে পারবে একটা মজার পরিবেশ অপেক্ষা করছে তোমাদের জন্য। পরীক্ষার পূর্বে ও পরীক্ষার হলে করনীয় কিছু বিষয় তোমাদের জন্য আমার এই লেখার মাধ্যমে উপস্থাপন করলাম। পরীক্ষার পূর্বে করণীয়: ১. পরীক্ষায় একেবারে নতুন কলম বর্জন করাই ভালো। যে ধরনের কলম দিয়ে তুমি লিখে অভ্যস্ত, সে ধরনের এক ডজন কলম (কালো কালির ১০টি ও দুইটি নীল কালির)কিনে ১৫%-২০% কালি লিখে শেষ করে রাখবে। কেননা পরীক্ষার হলে নতুন কলমে লিখতে তোমার সমস্যা হতে পারে। ২. তিনটি পেন্সিল , দুইটি রাবার, একটি সাফনার, দুইটি স্কেল (একটি বড় ও একটি ছোট )কিনে রাখবে। ৩. পরিক্ষার পূর্বের দিন যে কেন্দ্রে তোমার পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সে কেন্দ্রের বাহিরে আসন বিন্যাস দেওয়া থাকবে। তাই সম্ভব হলে তোমার সিট কত নম্বর রুমে পড়েছে তা পূর্বের দিন জেনে রাখবে। এতে করে পরীক্ষার দিন তোমার পরীক্ষার রুম খুঁজে পেতে সমস্যা হবে না। ৪. পরীক্ষার পূর্বের দিন অধিক রাত জেগে লেখা-পড়া করবেনা। রাত ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়বে। ৫. ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বেই প্রবেশ পত্র ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরন (কলম, পেন্সিল, রাবার ইত্যাদি) গুছিয়ে তোমার নির্ধারিত ফাইলে রেখে দিবে। পরীক্ষার দিন করণীয়: ১. পরীক্ষার দিন ভোর ৬ টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে যাবে। এর পর ফ্রেশ হয়ে পরীক্ষার বিষয়টি আরেকবার রিভিশন করবে। ২.প্রতিনিয়ত যে ধরনের খাবার খেয়ে অভ্যস্থ সে ধরনের খাবার খেয়ে পরীক্ষা দিতে যাবে। ৩.প্রথমদিন কমপক্ষে ১ ঘণ্টা পূর্বে পরীক্ষার কেন্দ্রে যাবে। ৪.দ্বিতীয় দিন হতে আধাঘন্টা পূর্বে পরীক্ষার কেন্দ্রে উপস্থিত হবে। পরীক্ষার হলে করণীয়: ১. পরীক্ষার হলে রোল নম্বর অনুসারে তোমার জন্য নির্ধারিত আসনে গিয়ে বসবে। ২.দায়িত্বরত শিক্ষকগণ যখন তোমাকে উত্তরপত্র দিবে তখন তুমি অবশ্যই প্রবেশপত্র দেখে তোমার নাম,রোল নম্বর সাবধানতার সাথে কালো বল পয়েন্ট কলম দিয়ে বাংলায় লিখবে। ৩.প্রয়োজন সাপেক্ষে উত্তরপত্র পেন্সিল দিয়ে মার্জিন করে নিবে। ৫.প্রশ্নের উত্তর করার সময় ভুল হলে, ভুল অংশটুকু একটানে কেটে ফেলবে, বেশি কাটাকাটি করবেনা। ৬.অতিরিক্ত উত্তরপত্র নিলে উত্তরপত্র জমা দেওয়ার পূর্বে কভারপেইজের নির্ধারিত স্থানে কয়টি অতিরিক্ত উত্তরপত্র নিয়েছ তা লিখে দায়িত্বরত শিক্ষকের স্বাক্ষও নিয়ে নিবে। ৭.পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিকক্ষগণের সাথে কোন রূপ অসদাচরন করবে না। ৮. মোবাইল ফোন, হেড ফোন বা অপ্রয়োজনীয় কোন ডিভাইস পরীক্ষার হলে নিয়ে আসবেনা। ৯.অবশ্যই নিজ নিজ বিদ্যালয় কতৃক নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধান করে আসবে। ১০.উত্তরপত্র জমা দেওয়ার পূর্বে আরেকবার চেক করে দেখবে, তুমি প্রয়োজনীয় সকল প্রশ্নের উত্তর করেছ কি না? ১১.সর্বশেষ পরীক্ষার হলের দায়িত্বরত শিক্ষক তোমার উত্তরপত্র জমা নিলে পরীক্ষার কক্ষ ত্যাগ করবে। সর্বোপরি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তোমাদের সু-স্বাস্থ্য ও কাঙ্খিত ফলাফল কামনা করছি।
×