ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিপিএলে জুয়া, আটক ৭৭

প্রকাশিত: ০৭:০২, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

বিপিএলে জুয়া, আটক ৭৭

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাঠে খেলা চলে দুই দলের, আর সেটা নিয়ে বাজি আর জুয়া হয় গ্যালারিতেই! এমনটা এবার পঞ্চম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি২০ আসরেই দেখা গেছে। সে কারণে মোট ৭৭ জুয়াড়িকে শনাক্ত করে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নিজস্ব নিরাপত্তা দল। এই ৭৭ জুয়াড়ির মধ্যে ১০ জন ভারতীয় ও ২ জন পাকিস্তানী। বাকি ৬৫ জনই বাংলাদেশের জুয়াড়ি। শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুরে অনুষ্ঠিত সিলেট সিক্সার্স-রাজশাহী কিংস ম্যাচের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য দেন বিপিএল গবর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। টি২০ ক্রিকেট মানেই নানাবিধ উত্তেজনা। মাঠের বাইরে ও ভেতরে এ নিয়ে চলে সর্বস্তরে আলোচনা। উত্তেজনার রেশে বেটিং কিংবা বাজি ধরার ঘটনা প্রায়শই শোনা যায়। এমনকি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কালো থাবাও পড়েছিল ২০১২ ও ২০১৩ সালের দুটি আসরে। তবে এক বছর বন্ধ থাকার পর নতুন করে ২০১৪ সালে বিপিএল শুরুর পর থেকেই বিসিবি বেশ তৎপর। কিন্তু ক্রিকেট নিয়ে জুয়া যে থেমে নেই বিপিএলে সেটা এবারই পরিষ্কার হয়ে গেল। বিসিবির নিরাপত্তা দল ৭৭ জন জুয়াড়িকে আটক করে। এ বিষয়ে ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘বেটিং বা জুয়া বন্ধে সরাসরি কিছু করার নেই বিসিবির। তবে আমরা দর্শকদের সচেতন করতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। এছাড়া আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা দল স্টেডিয়াম এলাকায় যে কোন ধরনের জুয়া প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে। তাদের তৎপরতাতেই এখন পর্যন্ত আমরা ৭৭ জনকে স্টেডিয়াম থেকে বের করে দিয়েছি।’ অবশ্য মাঠের ভেতর বিসিবির নিরাপত্তা দল তৎপরতা দেখালেও এর বাইরে কোন জুয়া হলে সেটা নিয়ন্ত্রণের কোন উপায় নেই বিসিবির। এমনটা বললেন মল্লিক নিজেই, ‘মাঠের বাইরে, পুরো দেশে তো আমরা জুয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ। আমরা শুধু মাঠের স্কোরবোর্ডে জুয়া নিয়ে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করছি।’ বিপিএলের গত আসরেও জুয়ার জন্য বেশ কয়েকজন আটক হয়েছিলেন। স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এবার জুয়া প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিসিবি। কিন্তু তাতেও থামেনি জুয়াড়িদের দৌরাত্ম্য।
×