ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ খাল উদ্ধারের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ খাল উদ্ধারের উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রামের দুঃখখ্যাত জলাবদ্ধতা নিরসনে সর্ববৃহৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে ডিসেম্বরে। এর অংশ হিসেবে প্রথম দফায় ৭টি খাল উদ্ধার, পরিষ্কার ও পুনর্খননে মাঠে নামবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে প্রকল্পের অধীনে থাকা আরও ২৯টি খাল উদ্ধার ও পুনর্খননের কাজ এগিয়ে নেবে সংস্থাটি। ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণকল্পে খাল পুনর্খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। এই প্রকল্পের অধীনে নগরীর মোট ৩৬টি খাল রয়েছে। বর্ষাকাল শুরুর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের এপ্রিল-মে মাসের আগে প্রকল্পটি দৃশ্যমান করতে চায় সিডিএ। এর অংশ হিসেবে প্রথমে ওই সাতটি খাল উদ্ধার ও পুনর্খনন করে ওই সব এলাকার মানুষের দুর্দশা লাঘব করতে চায় সংস্থাটি। সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, ‘নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বৃহৎ প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। এটি অনেক বড় কাজ। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে নগরীর কিছু কিছু জায়গায় দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের ৩৬টি খালের মধ্যে ৭টি খাল উদ্ধার, পরিষ্কার ও পুনর্খনন কাজ ডিসেম্বরে শুরু করব। এরমধ্যে মহেশ খাল, চাক্তাই খাল, রাজাখালী খাল, হিজড়া খাল, বীর্জা খাল, নোয়া খাল ও ইস্পাহানি খাল।’ প্রথম দফায় এসব খাল দলখমুক্ত ও খননেই জোর দেয়া হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এ শুষ্ক মৌসুমকে আমরা কাজে লাগাতে চাই। ইতোমধ্যে এসব খালের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে ডিজাইন ও জরিপ কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া খালের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর ড্রেনেজ ব্যবস্থারও উন্নয়ন করা হবে। এর ফলে আগামী বর্ষায় চাকতাই, খাতুনগঞ্জ, বকশিরহাট, দেওয়ানবাজার, চকবাজার, পূর্ব ষোলশহর, পূর্ব ষোলকবহর, চান্দগাঁও, সিডিএ আবাসিক, আগ্রাবাদ আবাসিক এলাকার এ ব্লক, কে ব্লক, জে ব্লক এলাকায় জলাবদ্ধতার দৃশ্যমান কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসবে।’ অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আবদুচ ছালাম বলেন, ‘১৯৯৫ সালের সিডিএ’র মাস্টারপ্ল্যান ও ২০১৬ সালের ওয়াসার মাস্টারপ্ল্যানকে ভিত্তি করে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে এ প্রকল্পটি প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এ বৃহৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছেন স্থানীয় সরকারের মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী। সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতামতের প্রেক্ষিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতামতের প্রেক্ষিতে এ প্রকল্পের প্রয়োজনে কিছুটা সংযোজন-বিয়োজন করা হতে পারে বলেও জানান ছালাম।
×