ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রোগীদের সেবা ও চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেবে

উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল অরবিস এখন চট্টগ্রামে

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল অরবিস এখন চট্টগ্রামে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বিশ্বের একমাত্র উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল ‘অরবিস’ এখন চট্টগ্রামে। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা প্রদান করবে এই হাসপাতাল। এ নিয়ে দশমবারের মতো বাংলাদেশে এবং চতুর্থবারের মতো চট্টগ্রামে এলো এই ফ্লাইং আই হসপিটাল। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে আসা এ হসপিটাল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সার্বিক সহায়তায় এ সেবা প্রদান করবে। শুক্রবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সেবা কার্যক্রমের সার্বিক তথ্য তুলে ধরা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ম্যানেজিং ট্রাস্টি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ রবিউল হোসেন, ফ্লাইং আই হাসপাতালের পরিচালক জে বারগুইস, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনীর আহমেদ এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রোগ্রাম কর্মকর্তাগণ। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা বলেন, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত পৃথিবীর একমাত্র ‘ফ্লাইং আই হসপিটাল’। শুধু হাসপাতালই নয়, এটা একটি সর্বাধুনিক, মানসম্মত, স্বয়ংসম্পূর্ণ আমেরিকান এক্রিডিটেশনপ্রাপ্ত টিচিং হাসপাতাল। চোখের জটিল রোগের চিকিৎসা এবং চক্ষু চিকিৎসক ও চক্ষু সেবায় নিয়োজিত নার্স ও বায়োমেডিক্যাল টেকনিশিয়ানদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য হাসপাতালটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে সমাদৃত। উন্নত চক্ষু চিকিৎসা ও প্রশিক্ষণে অরবিস ইন্টারন্যাশনালের এই হাসাপাতাল যোগ করেছে অনন্য মাত্রা। উন্নত চক্ষু চিকিৎসাসহ বহু জটিল রোগীর চোখে সফল অস্ত্রোপচারসহ ফ্লাইং আই হসপিটাল কার্যক্রম প্রশিক্ষিত করেছে অনেক চিকিৎসককে, যারা এখন বাংলাদেশে চক্ষু চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটালের এই সকল কার্যক্রম বাংলাদেশের চক্ষু সেবায় দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে এবং উন্নত চিকিৎসা প্রদান করে পরিহারযোগ্য অন্ধত্ব নিবারণ এবং জাতীয় শিশু চক্ষু অন্ধত্ব নিবারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আয়োজকগণ জানান, এবারের প্রশিক্ষণে চক্ষু রোগের ৮টি সাবস্পেশালিটিতে সর্বমোট ৩১৫ চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও চক্ষু সেবায় নিয়োজিত নার্স ও বায়োমেডিক্যাল টেকনিশিয়ান অংশগ্রহণ করে সরাসরি দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২৪ চক্ষু চিকিৎসককে দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে, যারা পরবর্তীতে বাংলাদেশে অন্যান্য পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবেন। বিশ্বের একমাত্র ফ্লাইং আই হসপিটাল অরবিস ইন্টারন্যাশনালের আত্মপ্রকাশের তিন বছরের মধ্যে ১৯৮৫ সালে প্রথম বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল। সর্বশেষ এটি ২০০৯ সালে বাংলাদেশে এসেছিল।
×