ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা

টার্কিশ হোপ স্কুল সম্পূর্ণরূপে একটি বাংলাদেশী বিদ্যাপীঠ

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

টার্কিশ হোপ স্কুল সম্পূর্ণরূপে একটি বাংলাদেশী বিদ্যাপীঠ

স্টাফ রিপোর্র্টার ॥ রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ইংরেজী মাধ্যম প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল টার্কিশ হোপ স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে একটি বাংলাদেশী বিদ্যাপীঠ। তুরস্কে কি ঘটছে অথবা বাংলাদেশে নিযুক্ত কোন দেশের প্রতিনিধি কি বলছেন সে সম্পর্কে এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন ব্যক্তির কোন আগ্রহ নেই। গেল ৫ নবেম্বর জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘তুরস্ক চাইলেও টার্কিশ হোপ স্কুল সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিতে বাধা’ শীর্ষক সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়ে এমনটাই দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ সংক্রান্ত খবরের বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল টার্কিশ হোপ স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিভিন্ন তথ্যসূত্র থেকে এ সংক্রান্ত কিছু ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে কারও মনে যাতে ভুল ধারণা না হয় কিংবা কেউ যাতে আতঙ্কিত না হন সেজন্য বিভিন্ন তথ্যও তুলে ধরেছে স্কুল কর্র্তৃপক্ষ। ইন্টারন্যাশনাল টার্কিশ হোপ স্কুলের সাংস্কৃতিক ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান মোঃ শাহরিয়ার বিন মোখলেস স্বাক্ষরিত এক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, আমাদের জানা মতে, পৃথিবীতে ইন্টারন্যাশনাল টার্কিশ হোপ স্কুল নামে একটিই স্কুল আছে। বাংলাদশের কোম্পানি আইনের আওতায় যথাযথভাবে বাংলাদশের নিয়মনীতি ও আইন মেনে বাংলাদেশে যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের বিবন্ধন র্কাযালয় এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে নিবন্ধিত ইন্টারন্যাশনাল হোপ কোম্পানির একটি প্রকল্প। এই বিদ্যাপীঠ সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশী। এই প্রকল্পে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও বাংলাদেশের নাগরিকরা আছেন। কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এছাড়া কোন দেশেরই কোন সরকারী বা বেসরকারী কোন সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ স্কুল কোন বিনিয়োগ গ্রহণ করেনি, তেমন কারও সঙ্গে এর কোন যোগাযোগও নেই। যারা আইনসম্মত ও বৈধভাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর ঘোষণা দিয়ে এই কোম্পানির অংশীদারিত্ব কিনেছেন তারা ছাড়া (প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্য) এর অন্য কোন মালিকানাও নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে শিক্ষক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষুদ্র একটি অংশ তুরস্ক থেকে এসেছেন। এছাড়া যারা আছেন তাদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশের নাগরিকও আছেন। আমরা যতদূর জানি পৃথিবীর অন্য কোথাও এই নামে আর কোন স্কুল নেই এবং এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোন দেশের তুরস্কের নাগরিক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত অন্য কোন স্কুলের সঙ্গেও কোন যোগাযোগ নেই। তুরস্কে কি ঘটছে অথবা বাংলাদেশে নিযুক্ত কোন দেশের প্রতিনিধি কি বলছেন সে সম্পর্কে এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন ব্যক্তির কোন আগ্রহ নেই; কারণ এটা বাংলাদেশের আইন মেনে প্রতিষ্ঠিত সম্পূর্ণরূপে একটি বাংলাদেশী বিদ্যাপীঠ। বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের দেয়া বক্তব্য সম্পর্কে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে, বাংলাদেশে নিযুক্ত অন্য একটি দেশের প্রতিনিধি এই বিদ্যালয় বা এতে কর্মরত মানুষ সম্পর্কে তথাকথিত কোন এক আন্দোলন বা অবৈধ কোন দল-মত বা গোষ্ঠীর সঙ্গে সংযুক্তির যে অভিযোগ তুলে আসছেন তার উত্তর আমাদের ওয়বেসাইটে (http://ithsbd.net/dyuuru.php?id=228) (http://ithsbd.net/dyuuru.php?id=227) আগেই দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আর কোন আলোচনাও আমরা যুক্তিযুক্ত মনে করছি না। স্কুল কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, আমি বিশ্বাস করি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধীন গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ দেশের অভ্যন্তরে যে কোন ধরনের বেআইনী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যথেষ্ট। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের যে কোন সংস্থাকে যে কোন ধরনের তদন্তে সহযোগিতা ও সহায়তা করতে আমরা সর্বদাই প্রস্তুত। আমরা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিতে চাই, এই বিদ্যালয়টি গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ইংরেজী মাধ্যম শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে গুরুত্বর্পূণ অবদান রেখে চলছে। এই বিদ্যালয় ও এর বিনিয়োগকারী কোম্পানির বৈধ মালিকরা ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই। ‘টার্কিশ’ নামের বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘টার্কিশ’ শব্দটি স্কুলের নামের সঙ্গে যুক্ত থাকায় যেহেতু দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে তাই আমরা চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করার অনুমতি চেয়ে একটি আবেদনও করেছি।
×