ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আলিয়ঁসে ‘জলজ-৩’ শীর্ষক দলীয় চিত্রপ্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

আলিয়ঁসে ‘জলজ-৩’ শীর্ষক দলীয় চিত্রপ্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আলিয়ঁস ফ্রঁসেস দো ঢাকার লা গ্যালারিতে শুরু হলো ‘জলজ-৩’ শীর্ষক দলীয় চিত্র প্রদর্শনী। এতে অংশ নেয়া শিল্পীরা হলেন- মোঃ আজমল উদ্দিন, বিষাণ ভক্ত, গোলাম মশিউর রহমান চৌধুরী, আল-আখির সরকার, শ্যামল বিশ্বাস ও সাদেক আহমেদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় দশ দিনব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাস্কর অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন ফেরদৌস খান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেস দো ঢাকার পরিচালক ব্রুনো প্লাস। তার স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে ৩৫টি চিত্রকর্ম। প্রদর্শনীতে উঠে এসেছে নদীমাতৃক এই দেশের মানুষের জীবনযাপন, জললগ্নতা। নগরকেন্দ্রিক জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে বাংলার মানুষ আকাশমুখো হচ্ছে। গ্রাম-শহর আজ উর্ধমুখী দালানে সয়লাব। কিন্তু জলের অনুভব যে জড়িয়ে আছে তার সহস্র বছরের সংস্কৃতিতে, শিল্পীরা মানুষকে সে কথা মনে করিয়ে দিতে চান। গোলাম মশিউরের ছবিতে আছে জীবনের সংগ্রাম। বিষাণের ছবিতে রয়েছে প্রকৃতির বন্দনা। আবার আখির সরকার তার ভেতরের মানুষটিকে বের করে আনার চেষ্টা করেছেন। সাদেকের ছবিতে বরাবরের মতোই হারানো শহরে আলো-ছায়ার খেলা খুঁজে পাবেন দর্শক। মোঃ আজমল উদ্দিন তার চিত্রকলায় মানুষের ভেতরের এবং বাইরের দ্বন্দ্ব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। প্রদর্শনীটি চলবে ২৮ নবেম্বর পর্যন্ত। সোম থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং শুক্র ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি খোলা থাকবে। রবিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত। অ-রবীন্দ্রনাথ খামখেয়ালী সভার ৪৬তম আড্ডা ॥ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের সঙ্গে অ-রবীন্দ্রনাথও আছেন, যাকে কখনও সচেতনভাবে অথবা বেখেয়ালে রবীন্দ্রনাথ থেকে আলাদা করে ফেলা হয়। সেই প্রস্তাবনা নিয়ে ‘অ-রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামের এক আলোচনা হয় খামখেয়ালী সভার ৪৬তম আড্ডায় শুক্রবার সন্ধ্যায়। রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের কণ্ঠশীলন কার্যালয়ে আয়োজিত এ সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইফতেখার মাহমুদ। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক শফি আহমেদ। প্রাবন্ধীকের লেখা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, নন-শেক্সপিয়ার, নন-টলস্টয় বা অ-রবীন্দ্রনাথ নিয়ে এ রকম কথা কখনও শুনিনি। শিক্ষক হিসেবে রবীন্দ্রনাথকে বেছে নেয়ার বিষয় সম্পর্কে তিনি বলেন, শিক্ষক হিসেবে রবীন্দ্রনাথকে মেনে নিতে আমরা কুণ্ঠিতবোধ করি। কিন্তু তিনি আমাদের বড় শিক্ষা চিন্তক। কাজেই তাকে শিক্ষক হিসেবে মানা আর না মানায় রবীন্দ্রনাথের কিছু এসে যায় না। পিতা হিসেবে দুর্বলতার জায়গায় তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ তার ছেলেকে আইসিএস বা ব্যারিস্টার না বানিয়ে আমেরিকায় পাঠিয়েছিলেন কৃষিবিজ্ঞান পড়তে। পিতা হিসেবে হয়ত তার ওপর এ বিষয়টি চাপিয়ে দেয়া ভারত উপমহাদেশের প্রচলিত বিষয়। কিন্তু কৃষির উন্নয়নে তার এ মহৎ চিন্তা উপমহাদেশের জন্য এক বিরল দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, সাহিত্যিকের সঙ্গে তার জীবনকে মেলানোই হচ্ছে আধুনিক চিন্তা। আলোচনার দ্বিতীয় পর্বে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী তপন মাহমুদ ও উদীয়মান শিল্পী সুবাহ্ আকবর। প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ড. মোহাম্মদ আজম এবং দ্বিতীয় পর্বে ছিলেন জাকির হোসেন তপন। জাদুঘরে শিল্পী আতিকুর রহমানের গানে মুগ্ধ শ্রোতা ॥ শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে গানে গানে শ্রোতাদের বিনোদিত করলেন শিল্পী আতিকুর রহমান। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পীর একক গানের আয়োজন করে জাতীয় জাদুঘর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাশ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন নুরুজ্জামান মুন্না।
×