ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ আলেম তাবলীগের পরামর্শক ও উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ০৮:১৪, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

পাঁচ আলেম তাবলীগের পরামর্শক ও উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সামনে বিশ্ব এজতেমা। দেশের তাবলীগ-জামাতের মজলিশে শূরার দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। সঙ্কট নিরসনে তাবলীগ-জামাতের পরামর্শক ও উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে পাঁচ কওমী আলেমকে। এতে পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এই পরামর্শ সভা হয়েছে। যাত্রাবাড়ীর জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসায় বৈঠকে ছিলেন কাকরাইল মারকাজের শূরার ১০ সদস্য ও কওমী আলেমদের পাঁচ প্রতিনিধি। বৈঠকে তাবলীগ জামাতের সঙ্কট নিরসনে ও নিরপেক্ষ ধর্ম প্রচারে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এরপর সভায় নেয়া সিদ্ধান্তগুলো গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান। বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে কাকরাইল মারকাজের সব বিষয়ে শূরার বৈঠকে নেয়া হবে সিদ্ধান্ত, দৈনন্দিন সাধারণ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ে মুকিমরাও (কাকরাইলে স্থায়ীভাবে অবস্থানরত) শূরার বৈঠকে থাকতে পারবেন, বিশেষ তিনটি বিষয়ে (ক) কোন ব্যক্তি সম্পর্কে পরামর্শ (খ) অর্থনৈতিক বিষয়ক পরামর্শ (গ) সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ ও আলোচনা সংক্রান্ত পরামর্শ অথবা এ ধরনের কোন গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল সাময়িক বিষয়ে পরামর্শের সময় শূরার সদস্য ব্যতীত মুকিম বা অন্য কেউ থাকতে পারবেন না, কাকরাইলে আহলে শূরা পাঁচ জন আলেমকে নিজেদের পৃষ্ঠপোষক ও উপদেষ্টা হিসেবে গ্রহণ করবেন। মনোনীত পাঁচ জন হচ্ছেন আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কো-চেয়ারম্যান আশরাফ আলী, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ীর মুহতামিম ও গুলশান সেন্ট্রাল (আজাদ) মসজিদের খতিব আল্লামা মাহমুদুল হাসান, শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব আল্লামা ফরীদ উদ্দিন মাসউদ, কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল কুদ্দুছ, মারকাজুদ দাওয়াহ বাংলাদেশের আমীনুত তালীম মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ছিলেন তাবলীগ-জামাতের ১০ জন শীর্ষ দায়িত্বশীল নেতা। এরা হচ্ছেন হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ, সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা রবিউল হক, মাওলানা মোহাম্মদ হোছাইন, মাওলানা ফারুক, খান শাহাবউদ্দীন নাসিম, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা মোশাররফ হোসেন, মুহাম্মাদ ইউনুছ শিকদার ও শেখ নূর মুহাম্মদ। অন্যদিকে কওমী আলেমদের মধ্যে ছিলেন পাঁচ জন। এরা হচ্ছেন কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়ালিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কো-চেয়ারম্যান আশরাফ আলী, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রসারা মুহতামিম ও গুলশান সেন্ট্রাল (আজাদ) মসজিদের খতিব মাহমুদুল হাসান, কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুছ, শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব ফরীদ উদ্দিন মাসউদের প্রতিনিধি মুফতি মুহাম্মদ আলী, মারকাজুদ দাওয়াহ বাংলাদেশের আমিনুত তালীম মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক।
×