ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিচারকদের চাকরিবিধি নিয়ে মতভেদ দূর হয়েছে ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:২৮, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

বিচারকদের চাকরিবিধি নিয়ে মতভেদ দূর হয়েছে ॥ আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরি ও শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে সুপ্রীমকোর্ট ও সরকারের মধ্যকার মতপার্থক্য দূর হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি যেসব মতবিরোধ ছিল সেগুলো নিরসন করেছি। শৃঙ্খলাবিধির বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি। বৃহস্পতিবার রাতে কাকরাইলের জাজেস কমপ্লেক্সে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার বাসভবনে আপীল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান আইনমন্ত্রী। এর আগে রাত আট থেকে দশটা পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিসহ আপীল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী। বৈঠকে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আপীল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও আইন মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিব উপস্থিত ছিলেন। আপীল বিভাগের সবশেষ আদেশ অনুযায়ী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে চাকরি বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করার কথা এ সময়ের মধ্যে গেজেট প্রকাশ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে আমরা ঐকমত্যে যে এসেছি, এটা (বিধিমালার খসড়া) মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। কারণ হচ্ছে, রাষ্ট্রপতি এটার গেজেট প্রকাশের সিদ্ধান্ত দেবেন। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির হুকুম পাওয়ার পরপরই এই গেজেট প্রকাশ করা হবে। আশা করছি, রাষ্ট্রপতি যদি ৩ ডিসেম্বর যে তারিখ আছে তার আগেই অনুমোদন দেন তাহলে তার আগেই গেজেট প্রকাশ সম্ভব হবে।’ নিম্ন আদালতের কর্তৃত্ব রাষ্ট্রপতি না সুপ্রীমকোর্টের কাছে থাকছে এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের বিষয়। গেজেটের বিষয়টি অনুমোদন হওয়ার আগে কিছু বলা রাষ্ট্রপতির প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানো হবে। বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে বিচার বিভাগের সঙ্গে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের দীর্ঘ টানাপড়েনের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ওই বিধিমালার খসড়া সুপ্রীমকোর্টে জমা দিলেও পদত্যাগী প্রধান বিচারপতি সিনহা গত ৩০ জুলাই তা গ্রহণ না করে কয়েকটি শব্দ ও বিধি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মতপার্থক্য নিরসনে আইনমন্ত্রী, এ্যাটর্নি জেনারেল ও আইন মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় ডেকেছিলেন তিনি। আইনমন্ত্রী সে সময় সুপ্রীমকোর্টে না যাওয়ায় গত ২০ আগস্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। এরই মধ্যে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সমালোচনার মুখে ছুটি নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর দেশ ছাড়ার পর সম্প্রতি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বিচারপতি সিনহা। বিচারপতি সিনহা ছুটিতে যাওয়ার পর বিচারকদের চাকরিবিধির এ বিষয়টি গত ৮ অক্টোবর আপীল বিভাগে উঠলে সে সময় ৫ নবেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। ৫ নবেম্বর বিষয়টি আদালতে এলে এ্যাটর্নি জেনারেল আবারও সময়ের আবেদন করেন। শুনানি শেষে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করেন।
×