ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রেকর্ড দামের চিত্রকর্ম

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

ঝলক

বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা ৫শ’ বছরের পুরনো এক ছবি বুধবার রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে নিউইয়র্কে। যিশুখ্রীস্ট নামে ভিঞ্চির এ চিত্রকর্ম প্রায় সাড়ে চার শ’ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়, বাংলাদেশী টাকায় যার মূল্য প্রায় তিন হাজার সাত শ’ কোটি টাকা। রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া ওই শিল্পকর্মটি ‘স্যালভ্যাতো মুন্ডি’ বা বিশ্বের ত্রাণকর্তা নামেও পরিচিত। যে কোন চিত্রকর্মের ক্ষেত্রে এটিই সবচেয়ে বেশি দামে নিলামে ওঠার রেকর্ড, যা নিয়ে ব্রিটিশ নিলাম হাউস ক্রিস্টি ব্যাপক খুশি। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ১৫১৯ সালে মারা যান। তার প্রায় কুড়িটির মতো চিত্রকর্ম এখনও টিকে আছে। ধারণা করা হয়, এগুলোর মধ্যে ‘স্যালভ্যাতো মুন্ডি’ ১৫০৫ সালের কিছু পরে আঁকা। আর এটি ব্যক্তিগত কারও সংগ্রহে ছিল। চিত্রকর্মটির নিলামে চূড়ান্ত দাম ওঠে চার শ’ মিলিয়ন ডলার। বিভিন্ন ফি যুক্ত হয়ে এর মূল্য দাঁড়ায় সাড়ে চার শ’ মিলিয়ন ডলারে। যিনি এ চিত্রকর্মটি কিনেছেন তার নাম জানা যায়নি। টেলিফোনের মাধ্যমে নিলামে অংশ নেন তিনি। চিত্রকর্মটিতে দেখা যায়, যিশুখ্রীস্ট এক হাত তুলে রয়েছেন, অন্য হাতে তিনি গোলাকার কাঁচের জিনিস ধরে আছেন। ১৯৫৮ সালে লন্ডনে এ চিত্রকর্মটি ৬০ ডলারে বিক্রি হয়। ওই সময় ধারণা করা হয়েছিল শিল্পকর্মটি লিওনার্দো নিজে আঁকেননি। এটি তাঁর কোন অনুসারীর আঁকা। খবরে বলা হয়েছে, চিত্রকর্মটি লিওনার্দোরই আঁকা, তবে তা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত হয়নি। একজন সমালোচকের অভিমত, ‘চিত্রকর্মটিতে অনেক ঘষামাজা করা হয়েছে। বহুবার এটি রং করা হয়েছে। এ কারণে এটি একই সঙ্গে নতুন ও পুরনো মনে হয়।’ তবে নিলামঘর ক্রিস্টির দাবি, চিত্রকর্মটি অকৃত্রিম। বিংশ শতাব্দীতে এ চিত্রকর্ম পুনঃআবিষ্কারকে যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করছে ক্রিস্টি। -বিবিসি ও এএফপি অবলম্বনে। বিষণ্ণতা সন্তানের ওপর নতুন এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, যেসব পিতা-মাতা বিষণœতায় ভোগেন, তাদের সন্তানের ওপর এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে মায়ের তুলনায় বাবার হতাশা বা বিষণœতার প্রভাব সন্তানের ওপর বেশি পড়ে। কিশোরদের বিষণœতা বা হতাশা কাটানোর চিকিৎসায় তাদের পিতার ভূমিকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কয়েকজন ব্রিটিশ গবেষক। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন বা ইউসিএল যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের প্রায় ১৪ হাজার পরিবারকে নিয়ে এ গবেষণা চালায়। গবেষণায় বলা হচ্ছে, কিশোর বয়সের হতাশা বা বিষণœতা কাটানোর জন্য অভিভাবকদের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। কোন সন্তানের বাবার মধ্যে বিষণœতার লক্ষণ থাকলে তা নিয়ে তাদের চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক ড. গেমা লুইস এ গবেষণা দলের প্রধান ছিলেন। তিনি বলেন, যেহেতু মায়েরাই সন্তানের সঙ্গে বেশি সময় কাটান তাই মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক চিকিৎসায় মায়েদের দোষারোপ করার একটা প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু গবেষণার ফল অনুযায়ী, এক্ষেত্রে বাবাদের ভূমিকা আরও বেশি সামনে আনা দরকার। তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি কোন সন্তানের পিতা হন আর যদি আপনার মধ্যে কোন বিষণœতা থাকে, যার চিকিৎসা আপনি কখনও নেননি তাহলে সেটার প্রভাব আপনার সন্তানের ওপর পড়তে পারে।’ ড. লুইস আরও বলেন, আমরা আশা করছি আমাদের গবেষণা বিষণœতায় আক্রান্ত পুরুষদের চিকিৎসকের কাছে যেতে উৎসাহিত করবে। আয়ারল্যান্ডের ছয় হাজার পরিবার এবং যুক্তরাজ্যের আট হাজার পরিবারের ওপর এ গবেষণা কার্যক্রমটি চালানো হয়। এতে সাত, নয় এবং ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশু ও তাদের অভিভাবকরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়। যেখানে নিজেদের অনুভূতির বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেয় তারা। শিশু ও অভিভাবকদের মানসিক উপসর্গ ও অনুভূতির বিষয়ে জেনে সে অনুযায়ী বিষণœতার ধরন ঠিক করে গবেষক দল। ওই গবেষণার ফলাফলে গবেষকরা দেখতে পান, পিতার বিষণœতার সঙ্গে শিশুর হতাশার উপসর্গ ও ধরনের মধ্যে প্রচুর মিল আছে। গবেষকরা বলছেন, যারা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন তাদের বেশিরভাগের হতাশা বা বিষণœতা শুরু হয় ১৩ বছর বয়স থেকে এবং মায়ের মধ্যেও যদি বিষণœতা থাকে তাহলে শিশুর ঝুঁকি আরও বেশি থাকে। সে কারণে পিতার সুস্থতা অনেক বেশি জরুরী বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। -বিবিসি অবলম্বনে।
×