ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জ্যাম কমান

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

উবাচ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাস্তার ট্রাফিক জ্যাম এখন ছাত্ররাজনীতিতে। তাও আবার সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্র লীগে। এই জ্যাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্প্রতি ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেছেন নেতৃত্বে ‘জ্যাম’ কমিয়ে সঠিক সময়ে সম্মেলন করুন এতে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হবে। কাদের বলেন, নিয়মানুযায়ী ছাত্রলীগের সম্মেলন দুবছর পর পর হওয়ার কথা। দুবছর পর সম্মেলন হলে আজকের নেতৃত্বে যে ট্রাফিক জ্যাম, এটা হতো না। আরও এক সেট লিডারশিপ বেরিয়ে আসত। আমি আজকে একটাই নির্দেশনা দেব, যেন সময়মতো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ছাত্রলীগ নেতাদের সতর্ক করে বলেন, গুটিকয়েক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বদনামের কারণে গোটা ছাত্রলীগের বদনাম হতে পারে না। গুটিকয়েকের অপকর্মের দায় আওয়ামী লীগ সরকার নিতে পারে না। মানুষ বানাব! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে প্রতিহিংসা থেকে আওয়ামী লীগের প্রতি কিছু করবেন না, তাদের ‘সত্যিকারের মানুষ’ বানাবেন। বিএনপি আয়োজিত সেমিনারে খালেদা জিয়া বলেন, আপনাদের (ক্ষমতাসীন দল) সাধারণ সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) মাঝে-মধ্যে দুই-একটা কথা বলে ফেলেন। বলেন নিজেদের ফেইস বাঁচানোর জন্য ক্ষমতায় থাকতে হবে। আমি বলি না। আমরা আপনাদের মতো ধরব, মারব কিংবা আমরা তাদের জেলে পুরবÑ সেই রাজনীতি করি না। আমরা সহিংসতার রাজনীতি করি না। আমরা চাই, আপনাদের শুদ্ধ করতে শুদ্ধি অভিযান, আপনাদের শুদ্ধ করব। আপনারা যে মানুষ মারেন, খুন করেন, গুম করেনÑ এগুলো যে খারাপ কাজ। এগুলো বাদ দিয়ে আপনাদের সত্যিকারের মানুষ বানানোর চেষ্টা আমরা করব। সত্যিই কি তাই মাত্র একটি ঘটনা আলোচিত ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশ সরাসরি যেন বিএনপি সরকারের গ্রেনেড হামলা। পরবর্তীতে জজ মিয়া নাটক আরও কত কত ঘটনা ঘটেছে। বোঝা যায় এরা মানুষকে মানুষ বানানোর দায়িত্ব নিলে তার কি হাল করবে। ভূতের সরকার স্টাফ রিপোর্টার ॥ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিএনপি প্রত্যাশিত নির্বাচনকালীন সরকার কি হতে পারে তা নিশ্চিত করেছেন। এতদিন বিএনপি বিশেষ ধরনের এ সরকার নিয়ে নানা ধরনা দিয়ে আসছিলেন। তবে বিএনপির নানা জনের নানা মতে সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তি বাড়ছিল। তথ্যমন্ত্রী বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেছেন, এটি হবে ভূতের সরকার। এ সরকারের প্রধান হবেন একজন ভূত আর সরকারের মন্ত্রীরাও হবেন ভূত। এখন কারও মনেই নতুন এ সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকার কথা নয়। তবে ভূতরা দেশের নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব নেবেন কিনা তা তথ্যমন্ত্রী এবং বিএনপি কেউ নিশ্চিত করেনি। এমনকি ভূতের সরকার চান না বিএনপির তরফ থেকে এ ধরনের প্রতিবাদও জানানো হয়নি। এর অর্থ হচ্ছে ভূতের সরকারের প্রতি বিএনপির আগ্রহ রয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ও তার স্বামী বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে, একুশে আগস্টের দুর্ঘটনা ঘটিয়ে, মানুষ পুড়িয়ে জঙ্গী আক্রমণ করে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন বলে দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী। ইনু বলছেন একটি অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের পাঁয়তারা হিসেবেই বিএনপি ভূতের সরকার চাইছে। ইনু বলেন, খালেদা জিয়া বিদেশ থেকে আসার পর আশা করেছিলাম- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় তিনি আগুন সন্ত্রাসের জন্য, মানুষ পোড়ানোর জন্য এবং বিভিন্ন অপরাধীদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার জন্য জাতির কাছে মাফ চাইবেন। এছাড়াও উনি রাজাকার, জঙ্গী, যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতকে পরিহারের ঘোষণা দেবেন; নির্বাচন নিয়ে গঠনমূলক ইতিবাচক বক্তব্য দেবেন। তবে সে আশা পূরণ হয়নি, উনি জাতির কাছে মাফ চাননি।
×