ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লিট ফেস্টে এলো গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

লিট ফেস্টে এলো গ্রাফিক  নভেল  ‘মুজিব’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা লিট ফেস্টের মঞ্চে উন্মোচিত হয়েছে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’র ইংরেজী সংস্করণ। বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে লিট ফেস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন সিরিয়ার কবি এ্যাডোনিস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বইটির প্রকাশক ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান সিদ্দিক মুজিব এবং লিট ফেস্টের তিন পরিচালক কাজী আনিস আহমেদ, সাদাফ সায্্ ও আহসান আকবার। এরপর একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয় ‘মুজিব : টেকিং হিস্ট্রি টু দ্য নেক্সট জেনারেশন’ শীর্ষক আলোচনাপর্ব। এতে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ছাড়াও অংশ নেন গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’র কার্টুনিস্ট সৈয়দ রাশেদ ইমাম তন্ময়, যুক্তরাজ্যের ‘গ্রান্টা’ জার্নালের অনলাইন সম্পাদক লুক নেইমা এবং ইউল্যাবের শিক্ষক আর্জু ইসমাইল। সঞ্চালনা করেন ভারতের কবি ও শিশু সাহিত্যিক জেরি পিন্টো। আলোচনাপর্বে রাদওয়ান সিদ্দিক মুজিব বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে গ্রাফিক নভেল মুজিবের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সকল শ্রেণীর পাঠকের কথা মাথায় রেখে এই নভেলের তিনটি বাংলাপর্ব প্রকাশের পর এবার প্রথমপর্বটি প্রকাশ করা হয়েছে ইংরেজীতে। ইংরেজী বইটির ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় উভয় শ্রেণীর পাঠকের কথা ভাবা হয়েছে বলেও তিনি জানান। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বারোপর্বে প্রকাশিত হবে জানিয়ে শেখ রেহানা তনয় বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার স্কুলের বন্ধুদের কাছে নানার (বঙ্গবন্ধু) সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলতাম। কিন্তু তারা সে সময় তার সম্পর্কে কোথাও কিছু খুঁজে পেত না। ছয় বছরের একটা ছোট শিশুর জন্য বিষয়টা মোটেও স্বস্তিদায়ক ছিল না। সে সময় নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বা ইন্দিরা গান্ধী সম্পর্কে গ্রাফিক নভেল ছিল। আমিও ভাবতাম, আমার নানা সম্পর্কে এমন কিছু থাকলে বন্ধুদের হাতে তুলে দিতে পারতাম। কিন্তু তখন আমি অনেক ছোট। এর অনেক বছর পর ২০১১ সালে দেশে ফিরে এলাম। আর তখন আবারও আমার মাথায় এই ভাবনাটি উঁকি দেয়। নতুন প্রজন্মের কাছে তাকে তুলে ধরার এর থেকে ভাল আর কি উপায় হতে পারে। তিনি বলেন, গ্রাফিক নভেল তৈরি প্রসঙ্গে আমি প্রথমে আমার মা ও খালাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) জানাই। তারা আমাকে কাজটি শুরু করতে বলেন। কাজটি সহজ ছিল না। এমন বড় মাপের একজন ব্যক্তি সম্পর্কে গ্রাফিক নভেল তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের বেশ সাবধান থাকতে হয়েছিল। এর সবচেয়ে বড় ‘ক্রিটিক্যাল দুই পাঠক’ হলেন বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে। আমাদের প্রাথমিক কাজ শেষে তাদের কাছে গ্রাফিক নভেলটি উপস্থাপন করা হলে অধিকাংশ বিষয়ে তারা সম্মতি দিলেও বঙ্গবন্ধুর পিতার চুলের গঠন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। বর্তমানে আমরা যারা আছি তারা কেউ কখনও বঙ্গবন্ধুর পিতার চুল দেখিনি। এমন বেশ কিছু সংশোধন শেষে আমরা গ্রাফিক নভেলের কাজটি শেষ করতে পেরেছি।
×