ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

ফিরে দেখা

খালেদা জিয়ার চ্যালেঞ্জ শরীফুল ইসলাম ॥ ১২ নবেম্বর বিকেল পৌনে ৫টা। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণকে ভয় পায়। তাই বিএনপির জনসভায় যাতে জনগণ আসতে না পারে সে জন্য পথে পথে বাধা দেয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে তিনি আওয়ামী লীগের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, দেশের মানুষ কী চায় তা বোঝার চেষ্টা করুন। আসুন একই দিনে রাজধানীতে আপনারাও একটি জনসভা করেন আর আমরাও একটি জনসভা করি। দেখেন কার জনসভায় বেশি লোক হয়। আর তাহলেই বুঝতে পারবেন কার সঙ্গে কত মানুষ আছে এবং কোন দলের জনপ্রিয়তা বেশি। আর তা যাচাই করে দেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নাগরিক যন্ত্রণার প্রকৃতি শাহীন রহমান ॥ রাজধানীতে যারা বাস করেন সবাই তার ভুক্তভোগী। বিশেষ করে সকালে উঠে যাদের অফিসে পৌঁছানোর তাড়া রয়েছে তারা হাড়ে হাড়ে টের পান এর যন্ত্রণা। বাসে ওঠার জন্য যুদ্ধ। এখানেই শেষ নয়, বাসটি সময়মতো পৌঁছাতে পারবে কি-না, নাকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকবে তাও নিশ্চিত করে বলা যায় না। কিন্তু যাদের সময়মতো অফিসে পৌঁছানোর তাড়া থাকে তারা যানজটে বাস থেকে নেমে কষ্ট স্বীকার করে হেঁটে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। কিন্তু একজন সাংবাদিক হিসেবে এই ধরনের যন্ত্রণার শিকার হতে খুব কমই হয়। তাদের খুব সকালে উঠে অফিসে যাওয়ার তাড়া থাকে না। তাই এর প্রকৃতি সম্পর্কে কমই বুঝতে পারেন। গত মঙ্গল ও বুধবার ছিল ডিআরইউ মিডিয়া কাপ ভলিবল খেলা। পল্টন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামে এই খেলার আয়োজন করা হয়। খেলায় অংশ নিতে গত দুই দিন ভোরে উঠে মাঠে দৌড়াতে হয়েছে। মঙ্গলবার প্রায় ২ ঘণ্টা সময় নিয়ে বের হয়েও সময়মতো মাঠে পৌঁছাতে পারিনি। বিভিন্ন সিগন্যালে বাস আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আটকে ছিল। দেখলাম অনেকেই বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেছেন। মনে মনে ভাবলাম এভাবে কি নগর ব্যবস্থাপনা চলে। এর থেকে মুক্তির কোন উপায় কি নেই! খুলে গেল লুঙ্গির গিট্টু! রুমেল খান ॥ ঘটনাটি মজার। সম্ভবত ২০১০ সালের কোরবানির ঈদের ঠিক আগে। ছয় বছর কাজ করার পর কয়েক মাস আগে পাক্ষিক ক্রীড়ালোক থেকে যোগদান করেছি দৈনিক জনকণ্ঠে। প্রতিদিন কাজ শেষে আমাদের ক্রীড়া সম্পাদক মজিবর রহমান রুবেল ভাইয়ার সঙ্গে বের হই। আমাকে তিনি ‘লিফট’ দেন। তিনি নামিয়ে দেন খিলগাঁও রেলগেটে। তিনি চলে যান বনশ্রীতে আর আমি মুগদাপাড়ায়। একদিনের ঘটনা। দু’জনে রিক্সায় উঠেছি। পথিমধ্যে দেখছি হাট থেকে গরু কিনে লোকজন নিয়ে যাচ্ছে। মজিবর ভাই মজা করে একটু পরপরই হাঁক ছেড়ে জিজ্ঞেস করছেন, ‘এ্যাই গরু, দাম কত?’ যারা এই প্রশ্নের মাজেজা বুঝতে পারছে না, তারা উৎসাহের সঙ্গে জবাব দিয়ে নিজেরাই গরু বনে যাচ্ছে! আবার কিছুক্ষণ পরেই বিভিন্ন পোস্টার-ব্যানারে দেখি লেখা আছে ‘বিরাট গরু-ছাগলের হাট!’ সবমিলিয়ে আমরা দুজন বেশ হাসাহাসি করছি। এদিকে খিলগাঁও রেলক্রসিংয়ের কাছাকাছি এসে পড়েছি। তখনই এক ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটল। প্যাডেল মারতে মারতে আমাদের রিক্সাচালকের হঠাৎ করেই লুঙ্গির গিট্টু খুলে গেল! ওই চলন্ত অবস্থাতেই সে অলরাউন্ডারের মতো এক হাতে ব্রেক সামলাচ্ছে, আরেক হাতে লুঙ্গি। কিন্তু কোনটাই ঠিকমতো করতে পারল না। শেষে রিক্সা থামাতে সে এক পা উঁচিয়ে আরেক পা রাস্তায় রাখল। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না লুঙ্গি পুরোটাই খুলে গেছে তার। মজিবর ভাইয়া দিলেন রামধমক, ‘ওই মিয়া, ইজ্জত সামলাও আগে!’ প্রত্যুত্তরে ত্রিশোর্ধ রিক্সাচালক আমাদের দিকে তাকিয়ে বোকার মতো হে-হে করে হাসল। সেই সঙ্গে বত্রিশ দাঁত বের করে বলল ‘ছার, লুঙ্গি খুইল্লা গেছে গা ...!’ [email protected]
×