ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জোটের বৈঠক

১৯ জেলায় নির্বাচনী সফরে বের হচ্ছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত: ০৭:৪৬, ১৬ নভেম্বর ২০১৭

১৯ জেলায় নির্বাচনী সফরে বের হচ্ছেন খালেদা জিয়া

স্টাফ রিপোর্টার ॥ লেবার পার্টিকে বাইরে রেখেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রায় চার মাস পর জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষ করেছেন। বৈঠকে দেশের বড় বড় ১৯ জেলায় নির্বাচনী সফরে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। স্বল্প সময়ের মধ্যেই প্রধান বিচারপতি ইস্যুতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাতে খালেদা জিয়ার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র হিসেবে জোটগতভাবে একক প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার রাত এগারোটা থেকে শুরু করে টানা প্রায় দুই ঘণ্টা জোটের শরিকদের নিয়ে গুলশান কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বৈঠক সূত্রে আরও জানা গেছে, খালেদা জিয়া আগামী দিনের আন্দোলন ও নির্বাচনমুখী কর্মকা-ে জোটের শরিকদের নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জোটের শরিকরাও খালেদা জিয়ার সঙ্গে কাজ করার আশ্বাস দেন। বৈঠকে আটটি বিভাগীয় শহরের গুরুত্বপূর্ণ বড় বড় ১৯টি জেলায় নির্বাচনী সফরে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খালেদা জিয়া। তবে কবেনাগাদ বের হচ্ছেন, তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। সেটি আরেক দফা আলোচনার পর ঠিক হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবেন না বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন, সে বিষয়ে আলোচনা হয়নি। বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা সমস্যা ও নির্বাচনের বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দলীয় কোন্দলের কারণে লেবার পার্টিকে বৈঠকে ডাকা হয়নি। গত ৫ নবেম্বর লেবার পার্টির মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। তিনি মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদীকে সরিয়ে জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ফরিদ উদ্দিনকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মনোনীত করেন। অন্য অংশের নেতৃত্বে আছেন মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি। মেহেদি চেয়ারম্যান ইরানকে বহিষ্কার করে ভাইস চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোনীত করেন। দুই অংশই নিজেদের লেবার পার্টির মূলধারা বলে দাবি করছে। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল চারদলীয় জোটকে সম্প্রসারণ করে ১৮ দলীয় জোট গঠনের পর থেকে লেবার পার্টি এই জোটে রয়েছে। পরে আকার আরও বেড়ে ২০ দলীয় জোট হয়। লেবার পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ঠিকঠাক করতে দলের মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দায়িত্ব দিয়েছেন খালেদা জিয়া। বৈঠকে খেলাফত মজলিশের মুহাম্মদ ইসহাক, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকীব, জাগপার রেহানা প্রধান, এনডিপির খোন্দকার গোলাম মর্তুজা, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, আবদুর রব ইউসুফী, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি।
×