স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের খলিলুর রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের মতো চারটি অভিযোগের ওপর শুনানির জন্য ২৪ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে পলাতক ৬ আসামির পক্ষে আব্দুস শুকুর খানকে রাষ্ট্র কর্তৃক আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বুধবার চেয়ারম্যান মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ প্রদান করেছেন। এ সময় প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতনা চমন।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতনা চমন জনকণ্ঠকে বলেন, এ মামলার মোট আসামি ১১ জন। এরমধ্যে পাঁচজন গ্রেফতার আছেন, বাকি ছয়জন পলাতক। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- মোঃ খলিলুর রহমান, মোঃ সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, মোঃ রইছ উদ্দিন, আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন। পলাতক ৬ জনের মধ্যে রয়েছেন, এ এস ফয়েজুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, আলীমুদ্দিন খান, আদুল লতিফ, নুরুল আমিন সাজাহান ও সিরাজুল ইসলাম। মামলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ১১ জনের বিরুদ্ধে গত ২০ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধুয়া ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রামে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের মতো যুদ্ধাপরাধের সাতটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।
