ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গ্রেফতার টিটু রায় ৪ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৬ নভেম্বর ২০১৭

গ্রেফতার টিটু রায় ৪ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর, ১৫ নবেম্বর ॥ গ্রেফতার হওয়া টিটু রায়ের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দীপাংশু কুমার রায় এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে দুপুর সোয়া একটার দিকে শতাধিক পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজনভ্যানে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এস আই বাবুল হোসেন। তিনি আদালতে বিচারকের সামনে আসামি টিটু রায়কে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনটি পড়ে শোনান। তিনি আবেদনে বলেন, আসামি নিজে হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও এমডি টিটু নাম দিয়ে ফেসবুকে একটি আইডি খোলেন। এর মাধ্যমে তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য একটি স্ট্যাটাস প্রদান করেন। প্রাথমিক তদন্তে তার জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এখন এ ঘটনার মূল গডফাদার এবং ইন্ধনদাতা কারা, কারা তার সঙ্গে জড়িত তাদের নাম-ঠিকানাসহ সার্বিক বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে আদালতে আবেদনে জানান। শুনানি শেষে বিচারক তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ডিবি পুলিশের ওসি পুলিশ পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম জানান, আমরা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলেও বিজ্ঞ বিচারক ৪ দিনের রিমান্ড মজ্ঞুর করেছেন। ইকরচালী ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন এদিকে তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বুধবার রংপুর সিটি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৩নং ইকরচালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আতাউর রহমান লিংকন, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি গিরিশ চন্দ্র সেন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১০ নবেম্বর ইকরচালী থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে রংপুর সদর উপজেলার ঠাকুরপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে আমার প্রতিপক্ষ কুচক্রি মহলের প্ররোচণায় একটি পত্রিকা অপপ্রচার চালায়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন বিকেলে তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিলুফা সুলতানা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই এলাকায় তা-বের বিষয়টি অবগত করলে তিনি তাৎক্ষণিক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটনকে সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়নের শেষ সীমানাস্থল খাড়ুয়াবাধা ব্রিজের কাছে গিয়ে তারাগঞ্জ থানা প্রশাসনকে সহযোগিতা করেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি জেলা প্রশাসনকে তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। পাশাপাশি স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে কোন তদন্ত না করে অপপ্রচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান, কারও মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে কোন নিরপরাধ মানুষ যেন ভোগান্তির শিকার না হয়। নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এবং আওয়ামী লীগ নেতা দাবি করে রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি ১৯৭৯ সাল থেকে রংপুর কলেজের (বর্তমান সরকারী কলেজের) ছাত্রলীগ মনোনীত সাবেক শামসুল-আবুল পরিষদ প্যানেলের ২৩ সদস্যের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরে স্থানীয় তারাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনসহ ইকরচালী ইউনিয়ন পরিষদের ১৯৯২ সালের ২০ জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। পুনরায় ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে বিপুল ভোটে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচনে পরাজিত প্রতিপক্ষরা তার নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওই পত্রিকার সাংবাদিককে বিভ্রান্ত করেছে বলে তিনি জানান।
×