ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দুজনকে গুমের অভিযোগ

যশোরে সাত কর্মকর্তাসহ ১৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

যশোরে সাত কর্মকর্তাসহ ১৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ সাত মাস আগে দু’জনকে গুমের অভিযোগে কোতোয়ালি থানার সাত কর্মকর্তাসহ ১৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমানের আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আদেশ দিয়েছেন। যশোর শহরের শংকরপুর পশু হাসপাতাল এলাকার তৌহিদুল ইসলাম ওরফে খোকনের স্ত্রী হিরা খাতুন মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এইচএম শহিদুল ইসলাম, আমির হোসেন, হাসানুর রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাজন গাজী, সেলিম মুন্সী, বিপ্লব হোসেন, সেলিম আহমেদ, কনস্টেবল আরিফুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, ড্রাইভার কনস্টেবল মোঃ রমজান, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান, আবু বক্কার, ড্রাইভার কনস্টেবল মিজান শেখ, কনস্টেবল মাহমুদুর রহমান, রাজিবুল ইসলাম, টোকন হোসেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে গত ৫ এপ্রিল সকাল ১০টায় বাদীর ছেলে সাঈদ ও তার বন্ধু শাওন পৌরপার্কে বেড়াতে যায়। ওইদিন বেলা ১২টার দিকে সাক্ষী সাব্বির হোসেন ফোনে জানায়, তার ছেলে সাঈদ ও শাওনকে পুলিশ ধরেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা দেখেন পুলিশ ওই দুইজনকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে। এরপর বাদী ও সাক্ষীগণ যশোর কোতোয়ালি থানায় যান। কিন্তু তাদের থানার ভিতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। সন্ধ্যা পর্যন্ত বাদী ও সাক্ষীগণ থানার সামনে বসেছিলেন। তারপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ১ ও ২ নম্বর আসামি বাদীকে ডেকে ছেলেকে ছাড়াতে দুই লাখ টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে ছেলেকে মেরে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। সাক্ষীরা বাদীকে বোঝায় পুলিশকে টাকা দেয়ার দরকার নেই। আদালতে চালান দিলে সেখান থেকে জামিন নেয়া যাবে। কিন্তু ৭ এপ্রিল পত্রিকার নিউজে তারা জানতে পারে, সাঈদ ও শাওন পালিয়েছে। থানায় ও আদালতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাদীর ছেলে ও তার বন্ধু পালিয়েছে। সেই ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই দুজনকে আসামি করা হয়েছে। এরপর বাদী আসামিদের কাছে গিয়ে ছেলের সন্ধান চাইলে খারাপ আচরণ করা হয়। কোন উপায় না পেয়ে ৩০ মে বাদী সংবাদ সম্মেলন করেন। তাতেও কোন সন্ধান মেলেনি। বাদীর ধারণা ঘুষের দুই লাখ টাকা না দেয়ায় আসামিগণ ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে হত্যার পর লাশ গুম করেছে। বিভিন্ন স্থানে ঘুরেও ছেলের সন্ধান পাননি। এদিকে মামলার পর যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, সন্ত্রাসী সাঈদ ও শাওনের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। আটকের পর ওই দুইজন পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলাও হয়েছে। তাদের আটকে পুলিশ তৎপর রয়েছে। আর মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক হিসেবে দাবি করেছেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদার। তিনি বলেছেন, কুচক্রী মহলের ইন্ধনে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্যই মামলাটি করা হয়েছে।
×