ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে পারলে ডায়াবেটিস প্রতিকার করা সম্ভব

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে পারলে ডায়াবেটিস প্রতিকার করা সম্ভব

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ বর্তমান বিশে^ প্রায় দুই কোটি নারী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০৪১ সালে এটা তিন কোটি ছাড়িয়ে যাবে। উন্নয়নশীল দেশে প্রতি পাঁচজন গর্ভবতী নারীর দুইজনই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। গর্ভবতী নারীরা পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে পূর্ণ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। নারীরা যেসব কারণে মৃত্যুবরণ করে তার মধ্যে নবম কারণ হলো ডায়াবেটিস। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন পদ্ধতি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের কারণ। আমরা যদি নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে পারি তাহলে এই ডায়াবেটিস প্রতিকার করতে পারব। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালের অডিটরিয়ামে ‘বিশ^ ডায়াবেটিস দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ‘নারী ও ডায়াবেটিস’ প্রবন্ধে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। এছাড়াও অন্যদের মধ্যে বারডেম হাসপাতালের মহাপরিচালক নাজমুন নাহার, ডায়বেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, প্রকাশনা ও জনসংযোগ পরিচালক ফরিদ কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ডায়াবেটিস নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতায় তিন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কৃতরা হলেন, মীর্জা সানজিদা সুলতানা, নীলিমা আক্তার মৌসুমী ও শেখ আরিফুল ইসলাম। মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘প্রতি ১০ জন নারীর একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হতে হবে। একটি মা ও যেনো ডায়াবেটিস হওয়ার পর অসচেতনতার কারণে সারাটাজীবন না ভুগেন। এ ব্যাপারে আমাদের সোচ্চার ভূমিকা থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ হয়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশকে আমরা অবশ্যই মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে দেখতে পাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য নারী ও শিশুদের টার্গেট করেছেন। নারী ও শিশুদের উন্নয়নের ধারায় নিয়ে আসতে না পারলে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব না। তাই নারীদের জন্য আমাদের বেশি সচেতন হতে হবে।’
×