ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অভিমত চিটাগং ভাইকিংসের ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজার

সিলেটের চেয়ে ঢাকায় রান করা সহজ

প্রকাশিত: ০৫:১১, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

সিলেটের চেয়ে ঢাকায় রান করা সহজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি২০ যাত্রা শুরু করেছে সিলেটে। প্রথমবারের মতো দেশের একমাত্র এ টি২০ ক্রিকেট আসরটি এই শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে হওয়া আটটি ম্যাচেই বেশ বড় রানের ইনিংস গড়তে দেখা গেছে দলগুলোকে। তবে ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত তেমন বড় কোন সংগ্রহ দেখা যায়নি। কিন্তু চিটাগং ভাইকিংসের মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজার দাবি সিলেটের চেয়ে ঢাকায় রান করা সহজতর! তাহলে গত চারটি ম্যাচে তেমন বড় ইনিংস দেখা যায়নি কেন? এ বিষয়ে তিনি দাবি করেন উইকেটের পরিবর্তনটা বুঝে উঠতে পারলেই কিছুদিন বাদে নিয়মিত বড় বড় সংগ্রহ দেখা যাবে। সিলেটে দুই ম্যাচে দুই শতাধিক রানের ইনিংস দেখা গেছে। এছাড়া অধিকাংশ ম্যাচেই ১৫০-এর অধিক রান সংগ্রহ হয়েছে। কিন্তু ঢাকায় এর ভিন্ন চিত্র। চারটি ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে মাত্র ১০১ ও ১১৫ রানের ইনিংস পর্যন্ত দেখা গেছে পুরো ২০ ওভারে। টি২০ ক্রিকেটে চার-ছক্কার বৃষ্টি এবং অনেক বেশি রান দেখার প্রত্যাশা থাকে ক্রিকেট ভক্ত-সমর্থকদের। সেটা চার ম্যাচে হয়নি। এ বিষয়ে সিকান্দার বলেন, ‘আমার মনে হয় টুর্নামেন্ট যত এগিয়ে যাবে ঢাকাতেও হাইস্কোরিং ম্যাচ হবে। তবে সিলেটের সঙ্গে এখানকার উইকেটের অনেক পার্থক্য আছে বলেই মনে করি।’ এ জিম্বাবুইয়ের ক্রিকেটার মনে করেন ঢাকায় রান করা সিলেটের চেয়েও সহজ। এরপরও রান হচ্ছে না কেন সেই জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় কিছুটা বেশি গতি ও বাউন্স আছে। আমার মনে হয় এখানে রান করা সামান্য সুবিধাজনক। আমরা ১৭০ রানের একটি ম্যাচও দেখেছি। সেই ম্যাচে শেষ ৩ ওভারে ৫০ রানও হয়েছে। তাই সময় গড়াতে দিন।’ আপাতত টি২০ ক্রিকেট নিয়েই ব্যস্ততা। কিন্তু সম্প্রতিই জিম্বাবুইয়ের হয়ে টেস্ট খেলে এসেছেন এবং দারুণ কিছু রেকর্ডেরও জন্ম দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সিকান্দার বলেন, ‘আমি সবসময়ই টেস্ট খেলতে পছন্দ করি। আমি সর্বদাই বিশ্বাস করি টেস্ট ক্রিকেটে যদি ভাল ফর্মে থাকা যায় তবে অন্য ফরমেটগুলো সহজ হয়ে যায়। আমার কাছে টেস্ট হচ্ছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আমি এই ফরমেটে খেলতে খুবই উপভোগ করি। কিছু রেকর্ডের সঙ্গে আমার নাম চলে যাওয়ার অবশ্যই সুখকর। আমার মনে হয় সেজন্যই আমাদের ক্রিকেট খেলা উচিত। যখন ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে একজন ক্রিকেটারকে তবু সবাই মনে রাখবে যদি এমন কিছু করা সম্ভব হয় দেশের পক্ষে। আমি সেজন্য খুশি যে কিছু রেকর্ডে আমার নামটা উঠেছে।’ চলতি আসরে অবশ্য তার দল চিটাগং তেমন সুবিধা করতে পারেনি এখন পর্যন্ত। নিজেদের নৈপুণ্য নিয়ে সংগ্রাম করছে দলটি। এ বিষয়ে সিকান্দার বলেন, ‘আমি আসলে ‘সংগ্রাম করছে’ শব্দটাকে সঠিক মনে করি না। আমার মনে হয় নিজেদের মতো করে এখন পর্যন্ত আমরা ফলটা আয়ত্ত করতে পারিনি। কিন্তু এক্ষুনি এটা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়াটা খুবই আগাম হয়ে যায়। কারণ কেউ জানে না আমরা আগামী তিন ম্যাচের তিনটিই জিতব কিনা। আমরা এখনও সঠিক সমন্বয়টা খুঁজে পাইনি। এটা সবসময়ই কিছুটা সময়-সাপেক্ষ ব্যাপার। আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে, আগামী এক/দুই ম্যাচের মধ্যেই সেটা আমরা খুঁজে পাব আর সেটা প্লে অফে যাওয়ার জন্য খুব ভাল সুযোগ সৃষ্টি করবে। এটাই আমাদের এই মুহূর্তে লক্ষ্য।’
×