ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এটাও স্টার্কের সেরা নৈপুণ্য নয়!

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

এটাও স্টার্কের সেরা নৈপুণ্য নয়!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে প্রথম শ্রেণীর এক ম্যাচে দুই হ্যাটট্রিক, দুই ম্যাচে মোট উইকেট ১৭টি। দুটি লিস্টে যোগ করলে নিজের শেষ চার ম্যাচে শিকার সংখ্যা ২৩! তবু এটাকে নিজের সেরা ফর্ম মানতে রাজি নন মিচেল স্টার্ক!! ‘আমি আসলে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় বল করেছি। পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল বলেই এক ম্যাচে দুটি হ্যাটট্রিক হয়ে গেছে। তাই এটাকে সেরা ফর্ম মানতে রাজি নই। এর চেয়েও ভাল করার সামর্থ্য আমার রয়েছে। সেটা আমি আসন্ন এ্যাশেজেই করতে চাই। আমার মনে হয় বিশ্বকাপের পর এ্যাশেজ জয়ই অস্ট্রেলিয়ার জন্য সবচেয়ে গৌরবের। আগেই বলেছি, এবার আমি মিচেল জনসনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চাই। সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট পেলাম কিনা, সেটা একদমই গুরুত্বপূর্ণ নয়। পেস বোলিংয়ে জস আছে (জস হ্যাজেলউড), আমি আছি, সবাই মিলে সাফল্য ছিনিয়ে আনতে চাই।’ বলেন স্টার্ক। ২০১৩-২০১৪ আগেরবার অস্ট্রেলিয়া সফরে পাঁচ টেস্টের এ্যাশেজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ইংল্যান্ড। সেবার একাই অতিথিদের গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন গ্রেট মিচেল জনসন। আরেক বাঁ-হাতি স্টার্ক এবার ‘জনসন-২’ হতে চান। ইনজুরির জন্য বাংলাদেশ ও ভারত সফরে সব ম্যাচে খেলা হয়নি। ২৩ নবেম্বর ব্রিসবেনে ময়দানি লড়াইয়ের আগে তাই ঘরোয়া শেফিল্ড শিল্ডে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন ২৭ বছর বয়সী নিউ সাউথ ওয়েলস হিরো। গত সপ্তাহের শেষ দিকে সিডনিতে অনুষ্ঠিত ঘরোয়া শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক ম্যাচে দুই হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তুখোড় বাঁ-হাতি পেসার। প্রথম ইনিংসে ৫৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসে জেসন বেয়ার্নডর্ফ, ডেভিড মুডি ও সাইমন ম্যাকিনকে, আর দ্বিতীয় ইনিংসে একে একে ফিরিয়ে দেন বেয়ার্নডর্ফ, ডেভিড মুডি ও জোনাথন ওয়েলসকে। ডাবল হ্যাটট্রিকের পথে দুই ব্যাটসম্যানকে দু-বার করে আউট করেন, এমন ঘটনা হয়ত সত্যি বিরল। ১৯১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টের দুই ইনিংসে হ্যাটট্রিক করেছিলেন লেগস্পিনার জিমি ম্যাথুস। তবে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীতে প্রথম এমন কৃতিত্ব স্টার্কের। শেফিল্ড শিল্ডের আগের ম্যাচেও যথারীতি বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ের অন্যতম নায়ক। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৭ অক্টোবরের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে বল হাতে ২ উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৩ রান খরচায় তুলে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। যেটি ছিল প্রথম শ্রেণীতে তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। তারও আগের দুই ম্যাচে উইকেট পেয়েছিলেন ৬টি (৩+৩)। ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার পর জাতীয় দলের কোচ ড্যারেন লেহম্যানসহ অনেকেই সেরা ফর্মের স্টার্ককে পাওয়া যাবে কিনা, সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু স্টার্ক জ্বলে উঠেছেন একেবারে টিক সময়ে, ঐতিহ্যের এ্যাশেজের আগে।
×