ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড-, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। দন্ডিত ব্যক্তি হলেন জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের শের মোহাম্মদের ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪৫)। একই মামলায় খাইরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী জুলেখাকে তিন বছর সশ্রম কারাদ-, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করে আদালত। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জিয়াউর রহমান আসামিদের উপস্থিততে রবিবার এ রায় প্রদান করেন। মামলার বরাত দিয়ে সরকারী সহকারী কৌঁসুলি এ্যাডভোকেট আঞ্জুমান আরা জানান, ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি আসামি খাইরুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী জুলেখার সঙ্গে খাইরুলের দ্বিতীয় স্ত্রী পালনী ওরফে কুলসুমের পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। ওই দিন রাত ১২টার দিকে কুলসুমের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার পর কুলসুমের লাশ পার্শ্ববর্তী আমবাগানে গলায় ওড়ানা পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। গাইবান্ধা নিজস্ব সংবাদদাতা গাইবান্ধা থেকে জানান, স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার দায়ে বাবলু সরকার নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা ওই রায় প্রদান করেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, সাদুল্যাপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে বাবলু মিয়ার সঙ্গে প্রায় ১৫ বছর আগে একই গ্রামের মনোয়ারা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি ছেলে ও দুটি মেয়ে সন্তান হন। পরবর্তীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বাবলু মিয়া ঝগড়াবিবাদের একপর্যায়ে গলাটিপে স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনকে হত্যা করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত বাবলু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। মামলার অন্য ২ আসামি আমীর উদ্দিন ও মোনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়। সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফি। রূপগঞ্জে প্রহরীকে বেঁধে খামারে বিষ প্রয়োগে মাছ লুট নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ১২ নবেম্বর ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রহরীর হাত-পা বেঁধে ৩০ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মাছের খামারি। শনিবার মধ্যে রাতে উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের ৯ নম্বর সেক্টরে ঘটে এ ঘটনা। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রহরীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে, রবিবার সকালে উপজেলার বরপা এলাকায় একটি ডাইং কারখানার বিষাক্ত পানি ফেলার কারণে আরেকটি মাছের খামারের প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাভার নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার থেকে জানান, আশুলিয়ায় একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে অনুমান ২ লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার ভোর রাতে আশুলিয়া ইউনিয়নের উত্তর আউকপাড়া গ্রামে মৎস্য ব্যবসায়ী সুমন রানার পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সুমন রানা প্রায় ৭ বছর ধরে ওই এলাকায় পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। রবিবার ভোর রাতে ওই পুকুরে বিষ দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ওই সব পুকুরে থাকা দেশী জাতের রুই, গ্রাসকাপ, পুঁটি, মিরকা, টেংরা, সিলভার কাপ, কাতলাসহ অনুমাব ৩৫ মণ মাছ মরে যায়। মাছগুলোর মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা। ওই মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, জোরপূর্বক ওই পুকুরে মাছ ধরতে আসে আউকপাড়া এলাকার কতিপয় ব্যক্তি। কিন্তু মাছ ধরতে না দেয়ায় তারা ওই পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছে। নাটোর নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর থেকে জানান, সিংড়ায় পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগ করে ২০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতের কোন এক সময় উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের ফটিকাহার গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের ফটিকাহার গ্রামের মাছচাষী নাজমুল হুদা রিপনের সাত বিঘা পুকুরে শনিবার রাতের কোন এক সময় কীটনাশক প্রয়োগ করে দুষ্কৃতকারীরা। রবিবার ভোরে পুকুরের নৈশপ্রহরী লুৎফর রহমান পুকুরে কীটনাশকের (গ্যাস ট্যাবলেট) গুঁড়া ভর্তি একটি পলিথিন ব্যাগ দেখতে পান। এরই মধ্যে পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে ওঠতে দেখে তিনি পুকুরের মালিক নাজমুল হুদা রিপন ও স্থানীয়দের খবর দেন।
×