সবাই চাই সুন্দর এবং সঠিকভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে। তবে নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপন করা খুব একটা কঠিন কাজ না। তবে এজন্য দরকার নিজের সঠিক পরিচর্যা। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরত, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। আসছে শীতকাল। শহর এলাকায় এখনও শীত না নামলেও মফস্বল এলাকায় এখন শীত। উত্তরের বরফ গলা বাতাস আর কিছুদিন পর আরও তীব্র হয়ে হাড় কাঁপানো শীত দেবে। এ সময় খুব ভালভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। অন্যথায় ত্বক শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে যাবে। ত্বকেই প্রকাশ পায় নারীর প্রারম্ভিক সৌন্দর্য। লিখেছেন- সামিহা বিনতে সুফিয়ান
সকাল-সন্ধ্যায় হালকা ঠান্ডা আবহাওয়া মাতিয়ে তুলেছে সবাইকে। আবার শীতের আগমনে নারীদের ত্বকের যত্নটাও চলে এসেছে সবার আগে। শীত আসলে নারীর তকের যত্ন টাও বেড়ে যায়। খেয়াল রাখতে হয় প্রতিনিয়ত ত্বকের উপর। সবার ত্বকই সতেজতা হারায় এই শীতে শুষ্ক পাতার মতো। আর এই জন্যই তরুণীদের নিতে হয় বাড়তি সচেতনতা। শীতের সময় অনেকের ত্বকেই নানা ধরনের সমস্যা হয়। ত্বক শুষ্ক হওয়া, ঠোঁট ফাটা, ত্বক খসখসে, মলিন হয়ে যাওয়া, পা ফাটা ইত্যাদি। চুলের ক্ষেত্রেও আছে অনেক সমস্যা। আর তাই এসবের দিকে অনেক বেশি নজর রাখতে হয়।
বাথ সল্ট দিয়ে শরীর স্কাব করুন
শীতের সময় অন্য সিজনের বডি স্কাবগুলো ব্যবহার না করে করুন বডি সল্ট। কারণ বাথ সল্ট ত্বকে জমে থাকা মৃতকোষ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকে জেল্লা ফিরিয়ে আনে। তাছাড়া কুসুম গরম পানিতে বাথ সল্ট ছড়িয়ে কিছু গা এলিয়ে থাকা যায়। পা ফোলাভাব, ক্লান্তি যেমনি কমবে তেমনি পিঠে ব্যথার উপশমও হবে।
মুখের ত্বকের জন্য বিকল্প নেই তেলের
নামী-দামী ব্র্যান্ডের ক্রিম ব্যবহার না করে এই শীতে ব্যবহার করতে পারেন তেল। সত্যিকারের বিষয় হলো তেল সব রকম ত্বকের জন্য উপযোগী। অলিভ ওয়েল, আমন্ড ওয়েল ইত্যাদি সবধরনের ত্বকের জন্য উপকারী। আবার টি-ট্রি অয়েল, সুইট আমন্ড অয়েল এবং গ্রেপ সিড অয়েল তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
শীতের হাত থেকে হাতকে রক্ষা করতে ব্যবহার করুন হ্যান্ডক্রিম
এই শীতে হাত শুষ্ক হয়ে যায় বলে হাত ধোয়াটা বেশি প্রয়োজন পড়ে তাই ব্যবহার করুন হ্যান্ডক্রিম যাতে কিনা দুধ বা দুধ জাতীয় উপাদান আছে। আবার হালকা হ্যান্ডওয়াশও ব্যবহার করতে পারেন।
ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি
ঠোঁটের চামড়া অন্যান্য চামড়ার থেকে অনেক পাতলা এবং নরম। শুষ্ক মৌসুমে ঠোঁট খুব দ্রুত শুষ্কতা হারায়। তাই ঠোঁটের জন্য দরকার বাড়তি যত্ন। হাতের কাছে সবসময় লিপ জেল বা লিপ বাটার রাখতে পারেন। মাঝে মাঝে লেবু, চিনি ও সামান্য মধু মিশিয়ে ঠোঁট স্কাব করে নিতে পারেন। বেশি শীত বা ঠা-ায় হাতের ত্বকের সমস্যা বেশি হয়।
চুলে ব্যবহার করা যেতে পারে হট অয়েল মালিশ এটি ব্যবহারে আপনি ফিরে পাবেন চুল হারানোর আদ্রতা থেকে। আর চুল নরম ও মসৃণ হয়ে উঠবে এর ফলে। ক্যাস্টার অয়েল, আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল এবং নারিকেল তেল নিয়ে পরিমাণমতো মিশিয়ে হালকা গরম করে চুলের গোঁড়ায় মালিশ করতে হবে হালকা হাতে। আর শ্যাম্পু দেয়ার আগে অবশ্যই চুলে তেল দেবেন।
পা ভিজিয়ে রাখতে পারেন কুসুম গরম পানিতে
শীতে পা ফাটা এক বড় সমস্যা। তাই শীতে কুসুম গরম পানিতে খানিকটা শ্যাম্পু বা বডিওয়াশ এবং কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে নিয়ে পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
মধু ব্যবহার করতে পারেন চুল ও ত্বকের জন্য
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের কাজ মধু। পাকা কলা ভালভাবে ভর্তা করে তার সঙ্গে খানিকটা অলিভ ওয়েল ও মধু মিশিয়ে ঘন ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই মিশ্রণটি শ্যাম্পু করার আগে মাথায় ও চুলে পুরোপুরিভাবে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ফল দিয়ে ফেসওয়াল
ত্বক পরিষ্কারের জন্য ফেসওয়াল বেশ উপকারী। পার্লারে বিভিন্ন ধরনের ফ্রুট ফেসওয়ালের তালিকা দেয়া থাকে। তবে এই শীতে ঘরেই করা যেতে পারে। এ্যাভাকাডো, আপেল, কমলা, আঙুর, পেঁপে, কলা ইত্যাদি ফলের মধ্য থেকে সুবিধা মতো কয়েকটি ফল নিয়ে ভর্তা করে নিন। এই মিশ্রণটি ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বক কোমল ও মসৃণ হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: