ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পার্লামেন্টে হার্ড ব্রেক্সিটপন্থীরা একজোট হচ্ছেন

ব্রেক্সিট ইস্যুতে ফের বাধার মুখে মে

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

ব্রেক্সিট ইস্যুতে ফের বাধার মুখে মে

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে কযেক সপ্তাহের মধ্যে ব্রেক্সিট ইস্যুতে কমন্স সভায় বাধার মুখে পড়তে যাচ্ছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চূড়ান্ত সমঝোতার ক্ষেত্রে পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তিনি এই সমস্যার মুখে পড়বেন। গার্ডিয়ান। ব্রেক্সিট ইস্যুতে এর আগে প্রত্যাহার করে নেয়া একটি বিল মঙ্গলবার আবার কমন্সসভায় পাঠানো হয়েছে। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ ও বিরোধী লেবার পার্র্টির হার্ড ব্রেক্সিটবিরোধীরা এখন সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে এক সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। তারা বলছেন, পার্লামেন্টে তাদের এখন প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, এ কারণে পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত সরকার এড়িয়ে যেতে পারবে না। আগামী মাসের আগ পর্যন্ত এই বিলে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার কোন সম্ভাবনা নেই। হার্ড ব্রেক্সিট সমর্থনকারী কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা বলছেন এ বিষয়ে তারা নিজেদের মনোভাব নমনীয় করবেন না। বড়দিনের আগেই তারা এ বিল নিয়ে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অনেক কনজারভেটিভ এ বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে, বিলটিতে ভেটো দেয়ার জন্য পার্লামেন্টকে তারা চাপ দেবেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তাদের উদ্বেগের প্রতি মোটেই মনোযোগ দেননি। পরিবর্তে মে বলেছেন, সরকার প্রয়োজনমতো ওই বিলে পরিবর্তন আনবে। তার এই ঘোষণা অনেকের মতে উস্কানিমূলক। ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ ইইউ ছাড়ার বিষয়ে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইইউর সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হোক না হোক, কোন চুক্তি হোক অথবা না হোক সরকার এটি করবে। ব্রেক্সিটপন্থী কনজারভেটিভ পার্টির সিনিয়র সদস্য বরিস জনসন ও মাইকেল গোভ সম্প্রতি মে’র কাছে লেখা এক গোপন মেমোতে সরকারকে হার্ড ব্রেক্সিটের পথ অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন। সহজ কথায় এই দুই নেতা প্রধানমন্ত্রীকে হার্ড ব্রেক্সিটে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে মনস্থির করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ থেকে ধারণা পাওয়া যায় মে মূলত দুই হার্ড ব্রেক্সিটপন্থীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। কমন্স সভায় ব্রেক্সিট ইস্যুতে মে এমন সময় ধাক্কা খেলেন যখন মাত্র ছয়দিনের ব্যবধানে মন্ত্রিসভা থেকে দুজন মন্ত্রী পদত্যাগ। আরও কয়েকজন শীঘ্রই পদত্যাগ করতে পারেন। এসব ঘটনায় মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের পদ টিকিয়ে রাখতে পারবেন কি না তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। আনা সব্রি নামে কনজারভেটিভ পাটির একজন এমপি বেক্সিট বিলে সরকারের আনা সংশোধনীর বিরুদ্ধে ভেটো দেয়ার জন্য অন্য এমপিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলছেন, মে যা করছেন তা কেবল দলের ভেতরকার হার্ড ব্রেক্সিটপন্থীদের খুশি করার জন্যই করছেন।
×