ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাফর ওয়াজেদ

‘ক্ষমাহীন’ অপরাধের প্রতিকারে

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

‘ক্ষমাহীন’ অপরাধের প্রতিকারে

পাপাচার যাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে, হিংসার বশবর্তী হয়ে যেসব অপকর্ম সাধন করেছেন, সেই সব অবস্থান থেকে তিনি সরে যেতে চাইছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণায় বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন খুবই দুরূহ। কারণ অতীতে তিনি অনেক সুবচন উদ্গীরণ করেছেন। কিন্তু কাজ করেছেন তার বিপরীত। যেন সবই কথার কথা। প্রতিহিংসার আগ্রাসী উন্মাদনায় পেট্রোলবোমা মেরে জীবন্ত হত্যা করেছিলেন দেড় শতাধিক মানুষকে। আরও দগ্ধ করেছেন পাঁচ শতাধিক মানুষকে, যাকে পরিকল্পিত গণহত্যা বলা যায় সেই তিনি আজ সাধুসন্তের মতো ন্যায়ের বাণী উচ্চারণ করছেন আকস্মিকভাবেই। বিস্ময় জাগতে পারে যে কারোই। কিন্তু তাতে কি অতীতের অপরাধ থেকে পার পাওয়া যাবে? দগ্ধ নারী-পুরুষ; বৃদ্ধ এমনকি শিশু-কিশোর ও নিহতদের পরিবাররা সেই হত্যাযজ্ঞের বিচারের দাবি থেকে এক চিলতেও সরে আসেনি। সে সব ধামাচাপা দিয়ে পাপাত্মা কি পুণ্যত্মা লাভ করতে পারবে সহজেই? পাপিষ্ঠজনেরা তাদের কৃত পাপাচার যেতে পারেন ভুলে, কিন্তু যারা শিকার হয়েছেন, তারা ভুলে যাবেন কি করে? সেই ক্ষতের জ্বালায় যারা জ্বলছেন, তারা তো প্রতিহিংসাকারী হন্তারককে ক্ষমা করেননি। দ্রুত বিচার প্রাপ্তির তাদের আশা বিলম্বিত লয়ে বাধা পড়ে গেলেও ক্ষমাহীন অপরাধ ধামাচাপা পড়ে যেতে পারে না। ষড়যন্ত্র যার রক্তে মাতম তোলে, সহিংস হয়ে ওঠার মধ্যে যিনি ফিরে পান, প্রাণ সেই তিনি হঠাৎ হাওয়ার মতো বোল পাল্টাতে গিয়ে নিজের অতীতকে পেছনে ঠেলে দিতে চাইছেন। দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য যত পথ ও পন্থা বেছে নেয়া হোক না কেন, তাতে ধোপদুরস্ত হয়ে ওঠার সম্ভাবনা সম্পূর্ণ তিরোহিত। গলা হাঁকিয়ে বলেছেন, প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করবেন না। মনে হতেই পারে, প্রতিহিংসার আগ্রাসী উন্মাদনায় তিনি আর মেতে উঠবেন না। কিংবা এই আচরণ করার ক্ষমতা তার লোপ পেয়েছে। হয়ত বা বোধোদয় হয়েছে যে মানুষ হত্যা, দেশের সম্পদ বিনষ্ট করা মহাপাপ। কিন্তু তাতে ‘ভবি ভোলার’ নয়। পাপের চিন্তার কলুষতায় আক্রান্ত হয়ে মানবতাবিরোধী যেসব কর্মকা- চালিয়েছেন, তা ক্ষমা করার অধিকার কারও নেই। ‘দুর্নীতির মাতা-পুত্রের’ খ্যাতি পাওয়ারা দুর্নীতির জালে যেভাবে জড়িয়ে রেখেছিলেন নিজেদের, তাতে দুর্নীতিমুক্ত পূত পবিত্র আচ্ছাদনেও চাপা পড়ে যায় না সে সব। এসব থেকে রেহাই পেতে যেসব আত্মশ্লাঘায় মত্ত হয়েছেন তিনি, তা সত্যকে আড়াল করার অভিপ্রায়ই বলা যায়। সংযম, সহিষ্ণুতার কথা বলছেন তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে, আদালতকে সাক্ষী রেখে। পড়ন্ত বেলায় এসে তিনি যা বলেছেন, তাতে অপরের প্রতি প্রতিহিংসার লালা যে আর ছড়াবেন না, সেই অঙ্গীকার করার মধ্য দিয়ে নিজের অতীতকে উন্মোচিতই করেছেন। যে অতীত নিপীড়ন, নির্যাতন, শোষণ, হত্যা, খুন, ঘরবাড়ি পোড়ানো, সংখ্যালঘুদের দেশত্যাগে বাধ্য করা, প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের প্রতি বর্বরোচিত আচরণ, সরকারী সম্পদ বিনষ্ট, ধর্মীয় মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা এবং জঙ্গীবাদের বিস্তার ঘটানোর কাজটি পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন করেছেন। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ‘এথনিক ক্রিনজিং’ চালু, অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে মানুষ হত্যার ধারা চালু করার অপরাধ থেকে মুক্ত হওয়া সহজসাধ্য নয়। এ দেশের ইতিহাসে তার এসব অপকর্ম বর্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর অপকর্মেরই ধারাবাহিকতা। বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ধারায় ফিরিয়ে নিতে ক্ষমতা দখলকারী ও রাজাকার পুনর্বাসনকারী তার স্বামী জান্তা শাসক জিয়া যা করেছেন, অর্থাৎ দেশকে দ্বিতীয় পাকিস্তানে পরিণত করার কাজটিতে এতই নিবেদিত ছিলেন যে, মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত সকল সুফল বিনষ্ট করে দিতে বিবেকে বাধেনি। তাই যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রীর আসনে ঠাঁই দিয়ে তাদের যানবাহনে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্ভব যত ধরনের অনাচার চালু করেছিলেন। মাতা-পুত্র মিলে দুর্নীতির নহর বইয়ে দিয়েছিলেন। হাওয়া ভবন চালু করে লুটপাটের আখড়া গড়ে তুলেছিলেন। তাই তারই সৃষ্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক মামলা করেছেন। সেই মামলার বিচার কাজ এখনও চলছে। তার সময়ের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বানিয়ে তিনি নির্বাচনী ফলকে নিজের পক্ষে নিয়ে আসার জন্য ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে পার পাননি। ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনরা সরকার পরিচালনা করেন ইয়াজউদ্দিনের তত্ত্বাবধনে। তিন মাসের জন্য নির্দিষ্ট সরকার প্রায় দুই বছর ক্ষমতায় ছিল। সেই সরকারের কাছে ‘এক পুত্র আর রাজনীতি না করার’ মুচলেকা দিয়ে দেশত্যাগ করেছিলেন। তার আগে দু’পুত্র জেল খেটেছেন দুর্নীতির দায়ে। সেই সরকারের দায়ের করা মামলার জন্য তিনি বর্তমান সরকারকে দায়ী করে আসছেন। নানা অজুহাত তুলে মামলার তারিখ পেছালেও আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল আচরণ প্রদর্শন করে তিনি যে কর্মকীর্তি এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন, তাতে তার ফ্যাসিস্ট চরিত্রই উন্মোচিত হয়েছে। আদালতে হাজির না হওয়ার কারণে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও বর্তমান সরকার তাকে গ্রেফতার করেনি। এমন কি কোন হয়রানিও নয়। কিন্তু প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তিনি বর্তমান সরকারকে দায়ী করে আসছেন। যার কোন বাস্তবভিত্তি নেই। প্রতিহিংসার মাত্রা এত বেশি ছিল যে, ২১ আগস্ট তার সরকারের মন্ত্রী, গোয়েন্দা ও পুত্রের তত্ত্বাবধানে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। যে ঘটনায় জননেত্রী আইভী রহমানসহ বত্রিশ জন মারা যান। আর অশোভন অসহিষ্ণু আচরণের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা নিজেই ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে এসেছিলেন। মিথ্যাচারে যিনি আউং সান সুচিকেও হার মানান। সেই তিনি আহত-নিহতদের প্রতি সমাবেদনা দূরে থাক, সুচিকিৎসার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে অমানবিকতার নিষ্ঠুর উদাহরণ তৈরি করেছিলেন। ঘটনার তদন্তের নামে জজ মিয়া কাহিনীর সৃষ্টি করেছিলেন। বাংলাভাই ও জেএমবি প্রতিষ্ঠায় তার সরকার যে ভূমিকা রেখেছে, তা আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে। অর্থাৎ এদেশে জঙ্গীবাদের আজকের যে হামলা, খুনখারাবি হচ্ছে, সেই তাদের মদদ দিয়েছিলেন তিনি। সহিংসতার যে বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি, তার রেশ দেখা গেছে হেফাজতের ঢাকা অভিযানে। নাশকতা চালানোর জন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান, বইয়ের দোকানপাটসহ অন্যত্র আগুন জ্বালিয়ে ছারখার করার নিদের্শও তার থেকে এসেছিল। এতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিহিংসার আগুন আরও বিস্তৃত করতে চলন্ত বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ চালু করেন। অবরোধের নামে সারাদেশে নাশকতা চালানো হয়। মানুষ হত্যার মহোৎসবে মেতে উঠা নেত্রী টানা দু’মাস এই অবরোধ অব্যাহত রেখে নৃশংসতা, নির্মমতা, নাশকতাকে প্রশ্রয় দিয়ে সহ¯্র মানুষকে হতাহত করেছিলেন। আর তা ঢাকা দেয়ার জন্য বলে বেড়াতেন, পুলিশ এসব করছে। অথচ তার হত্যা কর্মসূচীর আওতায় অনেক পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছে। তিনি দগ্ধ মানুষদের দেখতে হাসপাতালেও যাননি। তার দলের এসব কর্মকান্ডের জন্য কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রসী দল হিসেবে অভিহিত করেছে। পেট্রোলবোমা মেরে যে গণহত্যা চালিয়েছেন, সেসব মামলায় তাকে এখনও হাজিরা দিতে হয়নি। সরকার বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি উদার, সহিষ্ণু ও সংযমী আচরণ করে আসছে। যে কারণে গর্হিত এসব অপরাধের জন্য তাকে জেলে যেতে হয়নি, রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা থেকে বিরত থাকতে হয়নি। তিনি সেনাবাহিনীকে সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দিতেও পেছপা হননি। জেনারেলের স্ত্রী হিসেবে তিনি বাড়তি সুবিধা আদায় করেছেন। তার আড়াই দফা শাসনামলের ফিরিস্তি কয়েক খন্ডে ও লিখে শেষ করা যাবে না। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য তিনি যে পথ বেছে নিয়েছিলেন, সে পথে নৃশংসতা, নাশকতা, নির্মমতা পাপাচার পূর্ণ ছিল। সেই তিনি আজ হঠাৎ করে বলছেন, প্রতিহিংসায় নয়, তিনি ক্ষমায় বিশ্বাস করেন। প্রতিহিংসার বিপরীতে সংযম, সহিষ্ণুতা ও সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে চান। অতীতের সব তিক্ততা ভুলে ক্ষমা করার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। তিনি ভুলে যেতে পারেন সর্বশেষ পেট্রোলবোমায় মানুষ হত্যার কথা। কিন্তু বোমায় যারা হতাহত হয়েছেন, তারা তা ভুলে যাবেন কেমন করে। বেগম জিয়ার নির্দেশনায় পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যার নির্মমতায় নিহত ড্রাইভার কালামের পরিবারের কান্না এখনও থামেনি। পেট্রোলবোমায় ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে কালামের স্বপ্ন। তার ইচ্ছা ছিল, প্রাইভেটকার কিনে বেশি টাকা রোজগার করে পরিবারে সচ্ছলতা আনবেন। সে স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছেন বেগম জিয়া। পুত্রশোকে ও দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হয়ে তার পিতা হার্ট এ্যাটাকে মারা যান। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার নয় নবেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিবেদক গাফফার খান চৌধুরীর এক মর্মস্পর্শী প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে, যা পাঠমাত্র পাঠকের চোখে যেমন জল আসে, তেমনি মনোবেদনা জাগায় আর ঘৃণা তৈরি করে বিএনপি-জামায়াত জোট নেত্রীর প্রতি। যেভাবে কালামের মুখে পেট্রোলবোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে, তা কোন সভ্য দেশে কোন মানুষ করতে পারে না। টানা ছয় দিনের গগনবিদারী আর্তনাদের পর করুণ মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুর আগে কালাম হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু হতার বিচার যদি এত বছর পর হতে পারে, তাহলে আমার হত্যাকারীদেরও একদিন এই বাংলায় বিচার হবে। কী অপরাধ ছিল কালামের! দিন এনে দিন খাওয়া এই মানুষটিকে হত্যা করে বেগম জিয়া ক্ষমতায় যাওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন তার চুরমার হয়ে গেছে। এত মানুষ হত্যা করে তিনি আজ নিষ্পাপ, নিষ্কলুষ বনে যেতে পারেন না। মগবাজার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি কালাম গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন, গলির ভেতর থেকে বেগম জিয়ার লালিত-পালিত সন্ত্রাসী যুবকরা হরতাল-অবরোধের সমর্থনে সেøাগান দিতে দিতে বেরিয়ে এসে প্রাইভেটকারটি আটকায়। এরপর একটি জ্বলন্ত পেট্রোলবোমা সোজা কালামের মুখে ছুড়ে মারে। সঙ্গে সঙ্গে পুরো শরীরে আগুন ধরে যায়। কোনমতে হামাগুঁড়ি দিয়ে গাড়ির দরজা খুলে বের হতে পারে। কিন্তু আগুন নেভাতে পারেনি। সেখানেই জীবন্ত পুড়তে থাকে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তারাই নিয়ে যায়। তার সারা শরীর কালো হয়ে গিয়েছিল। এ রকম অজস্র কালামের প্রাণনাশ ঘটিয়েছিলেন বেগম জিয়া। সেসব সংবাদপত্রের পাতায় পাতায় বিধৃত আছে। নিহত ও আহতদের শুধু নয়, শোকাহত পরিবারের কাউকে দেখতেও যাননি। নিষ্ঠুরতার আবরণে আচ্ছাদিত বেগম জিয়ার নাশকতা বাহিনী পিটিয়ে পুলিশও হত্যা করেছে। এদের পরিবারের কেউ খালেদাকে ক্ষমা করেনি। তিনি তাদের কাছে ক্ষমাও চাননি। উল্টো শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করে দিয়ে বলেছেন, তার প্রতি কোন প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করবেন না। অর্থাৎ ২১ আগস্টের মতো কোন ঘটনা আর ঘটাবেন না। ক্ষমতায় থেকে যে অপকর্মটি করেছেন, তার পুনরাবৃত্তি তিনি ক্ষমতায় গেলেও করবেন না- এমন প্রতিশ্রুতি তিনি অতীতে বহুবার দিয়েও তা ভঙ্গ করেছেন। শেখ হাসিনার টেলিফোন আহ্বান ছিল হরতাল-অবরোধ বন্ধ করে আলোচনায় বসার জন্য। জবাবে দুর্ব্যবহারের সীমা-পরিসীমা প্রদর্শন করে বেগম জিয়া হরতাল-অবরোধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে আরও মানুষ হত্যা করেছিলেন। বেগম জিয়ার নানাবিধ অপকর্ম, দুর্নীতির বিষয়ে শেখ হাসিনা কোন কঠোর পদক্ষেপ নেননি। বেগম জিয়ার প্রতি সরকারী দলের এই উদারতার জন্য তিনি শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করেছেন। তাতে শেখ হাসিনা কি মামলা প্রত্যাহার করে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারবেন? না পারবেন না। যে ক্ষমাহীন অপরাধ বেগম জিয়া করেছেন, তার জন্য বিচারের কাঠগড়ায় তাকে দাঁড়াতেই হবে।
×