ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অতিবর্ষণে এ বছর সারাদেশে প্রায় ৪ লাখ কিমি রাস্তার ক্ষতি

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

অতিবর্ষণে এ বছর সারাদেশে প্রায় ৪ লাখ কিমি রাস্তার ক্ষতি

সংসদ রিপোর্টার ॥ এ বছরের অতি বর্ষণের ফলে সারাদেশে শুধু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রায় ৩ লাখ ৪১ হাজার কিলোমিটার রাস্তার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সড়ক ও জনপথের আওতাধীন প্রায় ৪১ হাজার কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতীতে অতি বর্ষণে এত রাস্তাঘাটের ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। এসব ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের সার্বিক তথ্য তৈরি করা হয়েছে। অচিরেই ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাসদ দলীয় সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানান। মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সংসদে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা প্রশ্নের জবাব দেন। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, জাইকার কারিগরি সহযোগিতায় বর্তমানে ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নকল্পে একটি মাস্টার প্লান প্রণয়নের কাজ চলছে। মাস্টার প্লান প্রণয়ন হলে এবং এর সুপারিশসমূহ বাস্তবায়িত হলে ঢাকা নগরীকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দৃষ্টিকোণে একটি স্বস্তিদায়ক নগর গড়ে তোলা সম্ভব হবে। তিনি জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকা হতে প্রতিদিন প্রায় ২৮শ’ বর্জ্য সংগ্রহ করছে। বর্জ্য সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত স্থানে কন্টেনার/ডাস্টবিন থাকার পরও কতিপয় অসচেতন নগরবাসী নিজেদের সুবিধামতো স্থানে বর্জ্য ফেলে রাখছে, যা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কাজ বিঘিœত করছে এবং সড়কে জনসাধারণের চলাচলের স্থানে বর্জ্যরে স্তূপ সাময়িকভাবে সৃষ্টি করছে। নগরীর পরিবেশ রক্ষার্থে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় এ ধরনের বর্জ্যরে স্তূপ নিয়মিতভাবে অপসারণ করে আসছে। তিনি জানান, এখনও প্রায় ৫০টির মতো কন্টেনার রাস্তার ওপর বাধ্য হয়ে রাখতে হচ্ছে। দ্বিতীয় এসটিএস নির্মাণের জায়গা পাওয়া গেলে অবশিষ্ট ময়লার কন্টেনারগুলো রাস্তার ওপর হতে সরিয়ে নেয়া হবে। সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের ১১টি সিটি কর্পোরেশনের ৩৩৬টি ওয়ার্ডে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ইলেকট্রনিক গবর্নমেন্ট (ই-জিপি) পোর্টালের মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়া শতভাগ চালু করা হয়েছে। ২০১১ সালের ডিসেম্বর হতে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সহজ ও স্বল্প সময়ে নগরবাসীকে ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রদান করা হচ্ছে। কর্পোরেশনের রাজস্ব বিভাগ ও হিসাব বিভাগের অটোমেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মাধ্যমে নগরবাসী অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স পেমেন্ট করতে পারবেন। তাছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনেই বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এসব নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ফ্লাইওভারগুলো নির্মাণে ঠিক কত পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে তা নোটিস পেলে সঠিকভাবে বলা সম্ভব হবে।
×