ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাইলট সাব্বিরের মায়ের সঙ্গে জঙ্গী আবদুল্লাহর যোগাযোগ ছিল

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ১২ নভেম্বর ২০১৭

পাইলট সাব্বিরের  মায়ের সঙ্গে জঙ্গী আবদুল্লাহর যোগাযোগ ছিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জঙ্গী হামলা ও নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার সাব্বিরের মা সুলতানা পারভীনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন- জঙ্গী আব্দুল্লাহর সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। মাঝে মধ্যে আব্দুল্লাহর ফ্লোরে আসতেন। তারা একত্রে ছাদে উঠে চেয়ারে বসে জিহাদের ওপর নানা ধরনের আলোচনা করতেন। আব্দুল্লাহও তার বাসায় মাঝে মাঝে যেত। ওই আলোচনার মাঝেই একবার সুলতানা পারভীন কামালের মাধ্যমে আব্দুল্লাহকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এ ছাড়া জেএমবি নেতা ফরহাদ (সারোয়ার জাহান) বায়াত নেয় আব্দুল্লাহর বাসায় বসে। তখন মারজান, সাগর, ফারদীন ও আরও কয়েকজন ছিল। ফরহাদ বাংলাদেশের জেএমবির আমির হিসেবে আব্দুল্লাহ, সায়েম, সুলতানা পারভীন, হযরত আলী ও আসিফকে বায়াত দেয়। র‌্যাব-৪ জানিয়েছে, আজ রবিবার সুলতানা পারভীন, মাসুম ও মাজহারকে আদালতে পাঠানো হবে। এবং ১৬৪ ধারা মতে জবানবন্দী রেকর্ড করা হতে পারে। গত মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেববত বিশ্বাস আসামি সুলতানা পারভীনের তিনদিন এবং অপর দুই আসামি সৈয়দ নুরুল হুদা মাসুম এবং মোঃ মাজহারুল ইসলামের চারদিন করে দ্বিতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাজধানীর দারুস সালাম থানায় দায়ের করা অস্ত্র, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যার-৪ এর এসআই মোঃ আমিরুল ইসলাম প্রত্যেক আসামির পুনরায় পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। এর আগে গত ১ নবেম্বর সুলতানা পারভীনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার পুনরায় রিমান্ড আবেদন করা হয়। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের কাছ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে হামলার পরিকল্পনা ও অর্থের উৎস ও সহকারীদের নাম ও ঠিকানা জানার জন্য আসামিদের পুনরায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। গত ১ নবেম্বর সুলতানা পারভীনের সঙ্গে ছেলে সাব্বির এমামের ৭ দিনের এবং পারভিনের আত্মীয় আসিফুর রহমান ও মোঃ আলম এবং সাব্বিরের সহযোগী সাহাদাত হোসেন ওরফে আমির হামজা ও স¤্রাট মিয়ার ৬ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। সাব্বির ইতোমধ্যে ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে বিমান নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা পরিকল্পনার কথা স্বীকার করায় তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে এনে তার মা ও অন্য দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
×