স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘আমি আপনাকে যা বলছি, আমার বিশ্বাস শাকিবও আপনাকে তাই বলবে। শাকিবের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা কেউই বিষয়টি জানেন না। তার পরিবারের কেউই এসে তো বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেনি। বরং আমি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের মারফতে বিবাহ বিচ্ছেদের খবরটি জানছি। আর জেনে অবাক হচ্ছি!’ চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে চাইলে শনিবার বিকেলে জনকণ্ঠকে এ কথাই বলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।
অপু আরও বলেন, আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হবে আর আমি জানব না। শাকিব তো নিজে কোথাও বিবাহ বিচ্ছেদের কথা বলেনি। তাহলে কি তৃতীয় কোন পক্ষ এটা করছে। এমন কিছু হলে আমি শাকিবের কাছ থেকে সরাসরি শুনতে চাই। এসব করে তো অন্য কেউ দূর থেকে হাসছে। কারণ এতে করে শুধু আমার সম্মান নষ্ট হচ্ছে না, শাকিবের সম্মানও এখানে জড়িত।
জানা যায়, বিভিন্ন কারণে অপুর ওপর নাখোশ শাকিব খান। তিনি যে কাজ পছন্দ করেন না, অপু নাকি প্রতিনিয়ত সেসব করে চলেছেন। এটা কতটা সত্যি? এমন কথার ভিত্তিতে অপু বিশ্বাস বলেন, আমি এমন কিছুই করছি না। আমার সঙ্গে তো শাকিবের সরাসরি কোন কথা হয় না। আর আমি জানি শাকিবের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির সবার ঝামেলা যা ছিল ঠিক হয়ে গেছে। তাহলে আমি কারও সঙ্গে চলচ্চিত্রে কাজ করলে তো শাকিবের সমস্যা থাকার কথা না। আর শাকিব এসব বিষয়ে তো সরাসরি ফোন করে কারও সঙ্গে কোন কাজ করতে নিষেধ করেনি। আমি দূর থেকে কিভাবে বুঝবো?
বর্তমানে একটি চলচ্চিত্রের শূটিংয়ে শাকিব খান দেশের বাইরে আছেন। ‘মাস্ক’ নামের এ চলচ্চিত্রে তার সহশিল্পী কলকাতার নুসরাত। সেখানে যাওয়ার আগে বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে সর্বশেষ শাকিব বলেন, আমি এখন আমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কয়েকটি নতুন চলচ্চিত্রের কাজ হাতে নিয়েছি। এসব নিয়ে ভাবার সময় আমার নেই। আর বিবাহ বিচ্ছেদ হলে আমি নিজেই সকলকে জানিয়ে দিব।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়ের ব্যাপারটি কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে রেখে তারা দুজন সমানতালে চলচ্চিত্রের শূটিং করে গেছেন। এ বছর ১০ এপ্রিল একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সের ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন অপু। সেদিন সেখানে তিনি বলেন, আমি শাকিবের স্ত্রী, আমাদের ছেলেও আছে। এরপর শাকিব খানও সন্তান-বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে এরপর থেকে দু’জনের মধ্যে শুরু হয় সম্পর্কের টানাপড়েন। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছায় যে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস নিজেদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে দেন। শুধু ছেলে আব্রামের কারণে মাঝে মধ্যে দেখা হলেও এরপর আর এখন পর্যন্ত কথা হয়নি দু’জনের।
