ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১২ নভেম্বর ২০১৭

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের সূচকের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন। আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ১৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, গত সপ্তাহে লেনদেন মোট ৩ হাজার ৫৯১ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। তবে এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৩ হাজার ২৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৫৬৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ০৪ শতাংশ। সপ্তাহের প্রথম দিন সূচক কমলেও পরে আবার তা ঘুরে দাঁড়ায়। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর দর বাড়ার কারণে সপ্তাহ্যবাপী সূচকের উত্থান অব্যাহত রাখে। ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ বা ৯৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই ৩০ সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ বা ৪২ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে দশমিক ৯২ শতাংশ বা ১২ দশমিক ১৮ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৬টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ২০৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির। আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার। গত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের সপ্তাহের মতোই পিই রেশিও অবস্থান করছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৬ দশমিক ২৫ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৬ দশমিক ২৫ পয়েন্ট। বিশ্লেষকদের মতে, পিই রেশিও যতদিন ১৫ এর ঘরে থাকে ততদিন বিনিয়োগ নিরাপদ থাকে। সপ্তাহ শেষে খাতভিত্তিক ট্রেইলিং পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১০.৪ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩০.৪ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৪.৫ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২৪.৪ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ২৭.৯ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতে ১৩ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৯ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ২৫.৬ পয়েন্টে। এছাড়া পাট খাতের পিই রেশিও মাইনাস ২২.৮ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৯.৪ পয়েন্টে, এনবিএফআই খাতে ২১.৪ পয়েন্ট, কাগজ খাতের মাইনাস ১৪.৭ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২৩.১ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৮.৫ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ১৭.৭ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৬.১ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ২৫.৯ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২৩.৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সিটি ব্যাংক, ইফাদ অটো, ব্র্যাক ব্যাংক, লঙ্কাবাংল ফাইন্যান্স, ঢাকা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, বিবিএস কেবল, ইউসিবি, গ্রামীন ফোন ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : রেকিট বেনকিসার, ইস্টার্ন ব্যাংক, মুন্নু সিরামিক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, জেমিনি সী ফুড, বিডি থাই, সিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডেল্ট্রা ব্র্যাক হাউজিং ও ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্ট। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : স্টাইলক্রাফট, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল, কাসেম ড্রাইসেল, সেন্ট্রাল ফার্মা, সিমটেক্স ইন্ড্রাস্টিজ, সাভার রিফ্যাক্টরীজ, মোজাফফর হোসেন, গোল্ডেন সন ও মিরাকল ইন্ড্রাস্টিজ।
×