স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় আছে বেশ কিছু বস্তি। যার লোকসংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। সারাদেশ থেকে প্রতিদিনই এসব বস্তিতে আসছে নতুন নতুন মুখ। সঙ্গে যোগ হয়েছে স্থানীয়ভাবে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
রাজধানীর সবচে বেশি জনসংখ্যা এখন বস্তি এলাকায়। বস্তিবাসীরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের কাছে খুব একটা যান না। ফলে জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে তাদের ধারণাও কম। এসব বস্তির প্রায় প্রতি পরিবারে গড় সদস্য সংখ্যা সাত। তাদের অভিযোগ, গর্ভবতী নারীর স্বাস্থ্যসেবা দিতে মাঝেমধ্যে বস্তিতে কিছু এনজিওকর্মী আসেন। কিন্তু পরিবার পরিকল্পনার সরকারী মাঠকর্মীদের খবর নেই!
জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বস্তির বেশিরভাগ মানুষেরই তেমন কোন ধারণা নেই। অনেকের আবার ধারণা থাকলেও জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী কেনার ক্ষমতা নেই। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন শিক্ষা, বিনোদনের অভাব ও সরকারের উদাসীনতায় বস্তিতে জন্মহার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানালেন, বস্তির জন্য আলাদা সরকারী স্বাস্থ্যকর্মী না থাকায় এমন সমস্যা হচ্ছে। বস্তি এলাকার পরিবার পরিকল্পনার দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের নয় সিটি কর্পোরেশনের। তবে বস্তিবাসীর পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করতে শীঘ্রই এলজিইডি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও এনজিওর মধ্যে সমন্বয়ের উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিলেন তিনি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: