ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

থিয়েটার অলিম্পিকে ইসরাফিল শাহীনের ‘ফেইড্রা’

প্রকাশিত: ০৩:৩৫, ১১ নভেম্বর ২০১৭

থিয়েটার অলিম্পিকে ইসরাফিল শাহীনের ‘ফেইড্রা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উপমহাদেশের মঞ্চনাটকের তীর্থস্থান বলে খ্যাত নয়াদিল্লীর ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার (এনএসডি) আয়োজনে প্রথমবারের মতো ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘অষ্টম থিয়েটার অলিম্পিক ২০১৮’। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পঞ্চাশ দিন ধরে চলবে বিশ্ব নাটকের এ মহোৎসব। থিয়েটার অলিম্পিকে মঞ্চস্থ হবে পৃথিবীর সেরা পাঁচ ’শটি নাটক। নয়াদিল্লী ছাড়াও ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রদেশের শহরে নাটকগুলো প্রদর্শিত হবে। এছাড়াও থাকছে সাত ’শটি এ্যাম্বিয়েন্স পারফর্মেন্স। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এ্যান্ড পারফর্মেন্স স্টাডিজ বিভাগের অগ্রজ অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নির্দেশক ড. ইসরাফিল শাহীনের নির্দেশনায় ‘ফেইড্রা’ নাটকটি এ উৎসবে আমন্ত্রিত হয়েছে। জ্যঁ রাসিনের ফরাসী ধ্রুপদী এ নাটকে অভিনয় করবেন এম এ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিভাগের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নাটকটির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন। প্রসঙ্গত, প্রত্যেকটি থিয়েটার অলিম্পিকে একটি মূল ভাবনা নির্বাচিত করা হয়, যা এই সুবিশাল থিয়েটার উৎসবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করে। ১৯৯৩ সালে প্রথম থিয়েটার অলিম্পিকের মূল ভাবনা ছিল ‘ট্র্যাজেডি’। আর ২০১৮তে অনুষ্ঠিতব্য ‘অষ্টম থিয়েটার অলিম্পিক’র এবারকার থিম ‘ফ্ল্যাগ অব ফ্রেন্ডশিপ’। নাটকটি প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এ্যান্ড পারফর্মেন্স স্টাডিজ বিভাগ থেকে যখন একটি প্রযোজনা হয় তখন সেটি আর শুধু একটি প্রযোজনারূপেই থাকে না। ‘ফেইড্রা’ প্রযোজনাটি থিয়েটারের শিক্ষণপ্রণালীর ফলাফলরূপে নির্মিত। আমার মনে হয়, পেডাগজি বা শিক্ষণপ্রণালী কেবল কিছু নিয়মবদ্ধ নীতিমালা বা পদ্ধতি মাত্র নয়। শিক্ষা পদ্ধতি বলতে সাধারণত যা বোঝায়, শিল্পের শিক্ষণপ্রণালী তারচেয়েও বেশি কিছু। আর জ্যঁ রাসিনের ‘ফেইড্রা’ নাটকটিতে ফরাসী ধ্রুপদীবাদের মৌল নীতিগুলোর প্রতিফলন খুবই স্পষ্ট। কিন্তু রাসিনের এই মাস্টারপিসের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই আমরা এক নতুন প্রস্থান-বিন্দুর সূচনা করতে চেয়েছি। এই প্রস্থান-বিন্দুতে লক্ষ্য করা যাবে পশ্চিমা ধ্রুপদী কানুনের সঙ্গে আমাদের অঞ্চলের এথনিক বা জাতিতাত্ত্বিক ও দেশজ নাট্য নন্দনতত্ত্বের একটি সংশ্লেষ ঘটেছে। আমরা এই প্রযোজনার মর্মস্থলে বা পরতে পরতে অভিনয়, দৃশ্যগত উপাদান যেমন মঞ্চ আলো পোশাক রূপসজ্জা, দেহবিন্যাস এমনকি বিষয়বস্তু বা পা-ুলিপিগত দিক থেকেও সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে পুনঃসৃজনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছি। নাট্য সাহিত্যের অনুকরণের ধারণাকে না বলতে চেয়েছি। অনুকরণের পরিবের্তে এই প্রযোজনায় আমরা গুরুত্ব দিয়েছি থিয়েটার শিল্পের সৃজনশীল মূলনীতিগুলোকে, কিভাবে নতুনভাবে প্রয়োগ করা যায়।
×