ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিডিআর বিদ্রোহ মামলা ॥ হাইকোর্টের রায় ২৬ নবেম্বর

প্রকাশিত: ০৮:০২, ১০ নভেম্বর ২০১৭

বিডিআর বিদ্রোহ মামলা ॥ হাইকোর্টের রায় ২৬ নবেম্বর

বিডিনিউজ ॥ বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ১৫২ আসামির মৃত্যুদন্ডের অনুমোদন (ডেথ রফারেন্স) ও আপীলের রায় ঘোষণা হবে ২৬ নবেম্বর। হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চে এক বছরের বেশি সময় শুনানি শেষে গত ১৩ এপ্রিল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সুপ্রীমকোর্টের ওয়েবসাইটে মামলাটির রায় ঘোষণার ওই তারিখ জানানো হয়। আসামির সংখ্যার দিক দিয়ে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপীল শুনানির জন্য ২০১৫ সালে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মোঃ আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার। সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল বলেন, আগামী ২৬ নবেম্বর মামলাটির রায় ঘোষণা করা হবে। আগামী রবিবারের কার্যতালিকায় রায়ের তারিখ ঘোষণার জন্য মামলাটি রাখা হয়েছে। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দফতরে রক্তাক্ত বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। ওই ঘটনার পর ৫৭টি বিদ্রোহের মামলার বিচার হয় বাহিনীর নিজস্ব আদালতে। আর হত্যাকা-ের বিচার চলে বক্শীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত মহানগর দায়রা জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোঃ আখতারুজ্জামান ২০১৩ সালের ৫ নবেম্বর এ হত্যা মামলার যে রায় ঘোষণা করেন, তাতে ১৫২ আসামিকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। এ মামলার ৮৫০ আসামির মধ্যে ওই রায়ের দিন পর্যন্ত জীবিত ছিলেন ৮৪৬ জন। তাদের মধ্যে ১৬১ জনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদ-। পাশাপাশি অস্ত্র লুটের দায়ে তাদের আরও ১০ বছরের কারাদন্ড- এবং ২০ হাজার টাকা জারিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড- দেন বিচারক। এছাড়া ২৫৬ আসামিকে তিন থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদের কারাদন্ড- ও অর্থদন্ড- দেয়া হয়। কারো কারো সাজার আদেশ হয় একাধিক ধারায়। অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে ২৭৭ জনকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। মৃত্যুদডে দন্ডিতরা সবাই বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ছিলেন। যাবজ্জীবন কারাদডে দন্ডিতদের মধ্যে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীও রয়েছেন। ওই রায়ের এক বছরেরও বেশি সময় পর ডেথ রেফারেন্স হাই কোর্টে আসে। দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল ও জেল আপীল করে আসামিপক্ষ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে এবং কারাদন্ড-প্রাপ্তদের সাজা বাড়াতে আপীল করে। দ-িতদের মধ্যে নাসিরউদ্দিন পিন্টু ২০১৫ সালের ৩ মে রাজশাহী কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
×