ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১০ নভেম্বর ২০১৭

ঝলক

পরিচিত জনকে চিনতে পারে ভেড়া এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে ভেড়া মানুষের মত পরিচিত মুখ দেখলে তা চিনতে পারার ক্ষমতা রাখে। কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ভেড়াদের বারাক ওবামাসহ বেশ কিছু বিখ্যাত মানুষের মুখ চেনাতে সক্ষম হয়েছেন। প্রশিক্ষণের পর প্রশিক্ষিত ভেড়া বেশ কিছু ছবির মধ্য থেকে পরিচিত মুখের ছবিগুলো সহজেই বেছে তুলে নিতে সক্ষম হয়। এই পরীক্ষায় দেখা যায় মানুষের মত ভেড়ার মস্তিষ্ক ও মানুষের মুখ মনে রাখতে পারে। অপর এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল এক ভেড়া অন্য ভেড়াদের চিনতে পারে এবং তাদের মনিবদের মুখও চেনে। এ গবেষণা দলের প্রধান প্রফেসর জেনি মর্টন বলেন, এবারের গবেষণায় আমরা দেখতে চেয়েছিলাম ভেড়া ছবি দেখে কাউকে চিনতে পারে কীনা। আমরা আরও দেখতে চাচ্ছিলাম, মানুষের মত পশুর মস্তিষ্ক দ্বিমাত্রিক বস্তুর ছবি ধরে রাখতে পারে কীনা। প্রথমে আটটি স্ত্রী ভেড়াকে অপরিচিত ব্যক্তির একগুচ্ছ ছবি থেকে চারজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। ঠিক ঠিক চিনতে পারলে তাদের পুরস্কার হিসেবে খেতে দেয়া হয়। পাশাপাশি দুটি পর্দায় তাদের বিভিন্ন ছবি দেখানো হয়। প্রশিক্ষণ শেষে গবেষকরা দেখার চেষ্টা করেন যে ওই ব্যক্তিদের মুখ বিভিন্ন কোণ থেকে দেখানো হলে ভেড়া তা চিনতে পারবে কীনা । পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়ে ভেড়া প্রমাণ করে, যে ব্যক্তিদের সঙ্গে সে পরিচিত হয়েছে তাকে যে কোন পাশ থেকে দেখলেই সে চিনতে পারবে। এলোমেলো করে মিশিয়ে রাখা ছবির মধ্যে থেকে শেখানো চারজনের মুখ সে ঠিক ঠিক চিনে ফেলে। বিজ্ঞানীরা এই পরীক্ষা থেকে নিশ্চিত যে ভেড়া মানুষ ও বানরের মত মুখ চেনার ক্ষমতা রাখে। তারা এখন দেখতে চান ভেড়া মানুষের মুখের বিভিন্ন অভিব্যক্তি ধরার ক্ষমতা রাখে কীনা। তারা বলছেন স্নায়ুর ক্ষয়জনিত বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে এই গবেষণা ভবিষ্যতে একটা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে। এই গবেষণার ফলাফল রয়্যাল সোসাইটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।-বিবিবি অবলম্বনে। দিনের বেলায় হওয়া ক্ষত দ্রুত সারে শরীরে রাতের বেলা তৈরি হওয়া কোন ক্ষতের তুলনায় দিনের ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যায় বলে একটি নয়া গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। দেখা গেছে, রাতের বেলায় পোড়া ক্ষত সারতে গড়ে ২৮ দিন সময় লেগেছে, অথচ দিনের বেলায় হওয়া এমন ক্ষত সারতে সময় লেগেছে কেবলমাত্র ১৭ দিন। ব্রিটেনের এমআরসি ল্যাবরেটরি অব মলিকুলার বায়োলজির একটি গবেষক দল বলছে, ১১৮ জন দগ্ধ রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়ে তারা যে ভিন্নতা পেয়েছেন তাতে তারা বিস্মিত। এখানে বলা হচ্ছে, রাতের বেলা এবং দিনের বেলায় আহত হওয়া মানুষদের মধ্যে আরোগ্য লাভের সময়কালের পার্থক্য গড়ে ১১ দিন। প্রতিটি মানবকোষে ২৪-ঘণ্টার একটি চক্রে দেহ ঘড়ি যেভাবে কাজ করে, সেটির সঙ্গে মিলিয়ে এই ফলাফলটিকে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) বার্ন ইউনিটে ১১৮ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা চালানোর পর করা এই গবেষণা সম্প্রতি সায়েন্স ট্রান্সন্যাশনাল মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। বিশদ পরীক্ষায় দেখা যায়, একটি ২৪-ঘণ্টার প্যাটার্নে ফাইব্রোব্লাস্টস নামের ত্বকের কোষের কার্যক্ষমতার পরিবর্তন হয়। ফাইব্রোব্লাস্টস হলো দেহের মধ্যে থাকা প্রথম প্রতিক্রিয়াশীল উপাদান, যেগুলো ক্ষত সারাতে আঘাতের জায়গায় দ্রুত ছুটে যায়। দিনের বেলায় তারা যথাযথভাবে প্রতিক্রিয়া দেখালেও, রাতের বেলা তাদের এ কার্যক্ষমতা হারিয়ে যায়। গবেষক ডক্টর জন ও’নীল বলেন, এটা একটা ১০০ মিটারের দৌড় প্রতিযোগিতার মত। যে দৌড়বিদ তার ট্র্যাকে দৌড় শুরুর ব্লকে সঠিক ভঙ্গিমায় অবস্থান নেয় এবং ছোটার জন্য প্রস্তুত থাকে, সে সব সময় যে ব্যক্তি দাঁড়ানো অবস্থায় থেকে তার দৌড় শুরু করে, তাকে পরাজিত করে। গবেষকরা মনে করছেন, তাদের এই গবেষণার ফল অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারে। এর মাধ্যমে রোগীদের ক্ষেত্রে সঠিক মাত্রায় ওষুধ ও থেরাপি নির্ধারণ করা যাবে।-বিবিসি অবলম্বনে।
×