ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে তিন কর্মকর্তাসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকাআদায়

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১০ নভেম্বর ২০১৭

যশোরে তিন কর্মকর্তাসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকাআদায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ৯ নবেম্বর ॥ অবৈধ অস্ত্র ও মাদক তল্লাশির নামে কেশবপুর থানার পুলিশ ক্রসফায়ারে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একজনের বাড়ি থেকে টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ ৫ লক্ষাধিক টাকার মাল নিয়েছে এমন অভিযোগে থানার তিন দারোগাসহ ৫ পুলিশ ও এক সোর্সের নামে আদালতে মামলা করা হয়েছে। বুধবার উপজেলার আটন্ডা গ্রামের বজলুর রহমান মোড়লের স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে যশোর বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি করেছেন। উপজেলার আটন্ডা গ্রামের বজলুর রহমান মোড়লের ৩ ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, জাহিদুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়া জাহিদুল ইসলাম পুরনো মোটরসাইকেল বেচাকেনার ব্যবসায় জড়িত। পুলিশের কথিত সোর্স ফজলুর রহমান প্রায় সময় জাহিদুল ইসলামের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করত। টাকা দিতে অস্বীকার করায় সোমবার রাত ১টা ৪৫ মিনিটের সময় ওই সোর্সের কথামতো কেশবপুর থানার পুলিশ এসআই মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৫ পুলিশ আয়েশা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দরজা খুলতে বলেন। পুলিশ ঘরে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক আছে দাবি করে তল্লাশির জন্য ঘরের ভেতর ঢুকতে চায়। আয়েশা বাধা দিলে তার চুল ধরে মাটিতে ফেলে লাথি মারতে থাকে পুলিশ। এক পর্যায়ে আয়েশার তিন ছেলের মাথায় এ এস আই আশরাফুল, এ এস আই জাহাঙ্গীর ও কনস্টেবল সালাউদ্দীন পিস্তল ঠেকিয়ে তাদের জিম্মি করে মোটরসাইকেল বিক্রি করা ২ লাখ ১০ হাজার টাকাসহ ৩ লাখ টাকা মূল্যের ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জোর করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাদেরকে ক্রসফায়ারে হত্যা করার হুমকি দিয়ে চলে আসে তারা। সকালে এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করে। এরপর আয়েশা বুধবার যশোর আদালতে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলো, থানার এস আই মুজাহিদুল ইসলাম, এ এস আই আশরাফুল ইসলাম, এ এস আই জাহাঙ্গীর হোসেন, কনস্টেবল সালাউদ্দীন, ড্রাইভার মোঃ মজনু ও পুলিশের সোর্স উপজেলার বাগদা গ্রামের মৃত করিম মোড়লের ছেলে ফজলুর রহমান। এ ব্যাপারে থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, মাললার কথা শুনেছি। তবে জাহিদ একজন মাদকসেবী ও বিক্রেতা। আগেও কয়েকবার তাকে ধরে থানায় আনা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীতে তার এক আত্মীয় বার বার তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। উল্লেখিত পুলিশ তার বাড়ি মাদক উদ্ধার ও জাহিদকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল। জাহিদের জ্বর থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করে চলে আসে। তাদের এমন ভয়ভীতি দেখানো বা টাকা নেয়নি পুলিশ।
×