ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১০ নভেম্বর ২০১৭

উবাচ

জানি আসবে স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগেরবার বর্জন করলেও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিএনপি একাদশ সংসদ নির্বাচনে আসবে বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে আসবে, সেটা আমরা জানি। যে কোন পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে আসবে। নির্বাচনে না এলে তাদের পরিণতি মুসলিম লীগের মতো সঙ্কুচিত হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একটা এলোমেলো পার্টি। তাদের বুদ্ধিজীবী জাফরুলাহ চৌধুরীরাই বলেন, বিএনপি মাজাভাঙ্গা, বিশৃঙ্খল দল। এ দলের একেক নেতা একেক সময় একেক রকম বক্তব্য দেন। খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ফেরার পথে নিজেরা ভাংচুর করে সরকারকে দোষ দিচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন। ৫ পয়সার ইনু স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আমরা না থাকলে হাজার বছরেও ক্ষমতার মুখ দেখবেন না। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রতিই ইনুর এ ক্ষোভ। বিভেদ থাকতেই পারে কিন্তু প্রকাশ্য জনসমাবেশে বড় রাজনীতিবিদের কি মুখ খোলা মানায়! নাকি অন্য কোন রহস্য আছে। যদিও সে বিষয়টি প্রকাশ করেননি তিনি। ঐক্যের প্রলেপ দিয়ে ক্ষোভ থেকে বিষয়টিকে অভিমানের দিকে ঘোরাতে চেয়েছেন। তবে তথ্যমন্ত্রী হিসাব কষে নিজের দাম বড়জোর কত হতে পারে তা নিজেই বলে দিয়েছেন। তথ্যমন্ত্রী বলছেন, আপনারা ৮০ পয়সা থাকতে পারেন। আপনি এক টাকার মালিক না। যতক্ষণ এক টাকা হবেন না ততক্ষণ ক্ষমতা পাবেন না। আপনি ৮০ পয়সা আর এরশাদ, দিলীপ বড়ুয়া, মেনন আর ইনু মিললে তবেই এক টাকা হবে। আমরা যদি না থাকি তাহলে ৮০ পয়সা নিয়ে আপনারা (আওয়ামী লীগ) রাস্তায় ফ্যা ফ্যা করে ঘুরবেন। এক হাজার বছরেও ক্ষমতার মুখ দেখবেন না। ইনুর ভাষ্য অনুযায়ী এরশাদ, দিলীপ বড়ুয়া, মেনন আর ইনু মিলে ২০ পয়সা। সরল ভাগে ইনুর দর কি তাহলে মাত্র ৫ পয়সা! চীফ জাস্টিস মনে করেন! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ছুটিতে যাওয়ার আগে যেন আদালত দেখভালের দায়িত্ব¡ বিএনপির কাঁধেই তুলে দিয়ে গেছেন। দলটি এখন অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার গেজেট প্রকাশ নিয়েও চরম দুশ্চিন্তায় আছে। যদিও এত নিচে বিএনপির দৃষ্টি আগে যেত না। সম্প্রতি দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া রোহিঙ্গা এক শিশুকে কক্সবাজার গিয়ে কোলে তুলে নেন। এর আগেও বহুবার বেগম জিয়াকে নানা দুর্যোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে দেখা গেছে। সেখানে অবশ্য এ দেশের কোন শিশু তার কোলে উঠতে পেরেছে বলে কারও মনে পড়ে না। বাংলাদেশের কেউ না পারলেও রাখাইনরা পেরেছে। তাও ভাল, দলটি মানবিক আচরণ শিখছে। ঠিক একই ভাবে আজকাল অধস্তন আদালতের দিকেও নজর রাখছে। এ কাজ করতে গিয়ে আপীল বিভাগের বিচারকদের সঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার গেজেট প্রকাশ নিয়ে জটিলতা নিরসনে আইনমন্ত্রী ওই বৈঠকে বসেছিলেন। এরপর বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন তুলেছেন, আইনমন্ত্রী কি নিজেকে চীফ জাস্টিস মনে করেন? একটু পেছনে ফিরে তাকালে দেখা যাবে একই ধরনের একাধিক বৈঠক আইনমন্ত্রী সিহনার সঙ্গেও করেছিলেন। তখন কি বিএনপির বেশ ভাল লেগেছিল বলেই কিছু বলেনি?
×