ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দারুণ জয়ে উচ্ছ্বসিত ভারতীয়রা

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ৯ নভেম্বর ২০১৭

দারুণ জয়ে উচ্ছ্বসিত ভারতীয়রা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তিরুঅনন্তপুরমে ফয়সালার টি২০টা আর শেষ পর্যন্ত টি২০ থাকেনি। বৃষ্টির কারণে ৮ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৬ রানের নাটকীয় জয়ে ইতিহাস গড়েছে বিরাট কোহলির দল। টি২০তে প্রথমবারের মতো কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের (২-১এ) স্বাদ পেয়েছে তারা। গিনিপিগ দ্বৈরথে ৮ ওভারে ৫ উইকেটে ৬৭ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে ৬১/৬-এ থামে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। দুরন্ত বোলিংয়ে ম্যাচ ও সিরিজসেরার পুরস্কার তুলে নিয়েছেন তরুণ পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। এর মধ্য দিয়ে কোহলির নেতৃত্বে সকল ধরনের ক্রিকেটে ভারতের টানা সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকল। কিউইদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ওয়ানডে সিরিজে ২-১এ জয় পেয়েছিল স্বাগতিকরা। অধিনায়ক কোহলি এবং বস রবিশাস্ত্রী (কোচ) তাই যারপর নাই উচ্ছ্বসিত। এই হারে পাকিস্তানকে শীর্ষস্থান ছেড়ে দিয়ে টি২০ র‌্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে নেমে গেছে কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। মাত্র ৬৭ রানের পুঁজি নিয়ে শুরু থেকেই ভুবনেশ্বর কুমার ও জাসপ্রিত বুমরাহ কিউই ব্যাটসম্যানদের নাজেহাল করে ছাড়েন। মূলত বোলারদের কাঁধে ভর করেই ৬ রানের নাটকীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কোহলিবাহিনী। ২ ওভারে ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন বুমরাহ। উইকেট না পেলেও ২ উভারে মাত্র ৮ রান দিয়েছেন স্পিনার যুবেন্দ্র চাহাল। ১৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর। কিউইদের হয়ে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম সর্বোচ্চ ১৭, গ্লেন ফিলিপস ১১ ও অধিনায়ক উইলিয়ামসন করেন ৮ রান। তার আগে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ভারত। সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন মানিশ পা-ে। হারদিক পা-িয়া অপরাজিত ১৪, কোহলি ১৩। টিম সাউদি ও ইস সোধী নেন ২টি করে উইকেট। ভারত অধিনায়ক কোহলি বলেন, ‘ম্যাচটা যে হয়েছে এটাই বড় ব্যাপার। ভেজা উইকেটে শুরুতে একটু নার্ভাসই ছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘জানতাম এমন কন্ডিশনে ওরা আমাদের চ্যালেঞ্জ জানাবে। ৮ ওভারে মাত্র ৬৫ রান করার পরও যে ম্যাচ জিততে পেরেছি, এর সকল কৃতিত্ব বোলারদের। প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতলাম। সবমিলিয়ে টানা কয়েকটা সিরিজ। এরজন্য আমরা গর্বিত।’ অল্প পুঁজি নিয়ে জয়ের রহস্য জানাতে গিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা ঠিক করেছিলাম, নিউজিল্যান্ডের আস্কিং রেটটা যতটা সম্ভব বাড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে ওরা চাপে পড়বে। ধোনি এবং রোহিত পরামর্শ দিয়েছিল বুমরাহকে শেষ ওভারের আগেই বল করানোর জন্য।’ শেষ ওভারটা করেছিলেন পা-িয়া। ওই সময় কোহলি কিছুটা চিন্তিত ছিলেন, ‘শেষ ওভারটা করতে গিয়ে ও চোট পায়। ভেবেছিলাম, আমাকেই না শেষ চারটা বল করতে হয়। কিন্তু সে অসাধারণ কারিশমায় ম্যাচ বের করে এনেছে।’ স্মরণীয় জয়ের নায়ক বুমরাহ বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের বোলিংয়ের সময়ই দেখেছিলাম, স্লো বলগুলো আরও থেমে থেমে আসছিল। তাই বোলিংয়ের আগে আমি আর ভুবি পরিকল্পনা ঠিক করে নেই। তবে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আমাদের স্লোয়ারগুলো কিন্তু ওদের মতো থেমে থেমে আসেনি। আর চাপের কথা যদি বলেন, তাহলে আপনি কখনই নিজের সেরাটা দিতে পারবেন না।’ কোচ রবিশাস্ত্রীর বক্তব্য, ‘এই ধরনের খেলায় ২-৩ বলের মধ্যেই ম্যাচের ভাগ্য বদলে যেতে পারে। আমাদের বোলিং ভাল হয়েছে, ফিল্ডিংটা এক কথায় আসাধরণ।’
×