ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোঃ হাবিব উল্লাহ

চাই নতুন পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ৯ নভেম্বর ২০১৭

চাই নতুন পরিকল্পনা

গ্রামাঞ্চলে কৃষি জমিতে মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়াও কল-কারখানা তৈরি করতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের আয়তন মাত্র ৫৫ হাজার বর্গমাইলের মতো। এখানে ১৭ কোটি লোকের বাস। কৃষি জমি থেকে যে ফসল পাওয়া যায় তা দিয়ে দেশের মানুষের খাদ্য সংস্থান হয়। অথচ দিনে দিনে কৃষি জমির পরিমাণ কমছে। এভাবে কৃষি জমি কমতে থাকলে একদিন এমন সময় আসবে যখন কৃষি কাজ করার মতো কিংবা ফসল উৎপাদনের মতো তেমন কোন কৃষি জমি থাকবে না। দেশে খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য সঙ্কট দেখা দেবে। বর্তমানে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তার কারণ বাংলাদেশের উর্বর জমিতে ধান, তিল-তিষি, মরিচ, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মুগ, মসুর ডাল, বেগুনসহ সব রকমের ফসলই প্রচুর পরিমাণে হয়ে থাকে। দেশে অনেক স্থানে বছরে তিন বার ধান জন্মে- এতে মোটামুটি ভাল ধান উৎপাদিত হয়। আর তাতে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে কখনও কখনও অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। ষড়ঋতুর বৈচিত্র্যের দেশ বাংলাদেশ। সুজলা-সুফলা শস্য শ্যামলা চিরসবুজের দেশ এই বাংলাদেশ। এখানকার ফসলের মন মাতানো গন্ধ ও রূপ সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সেই শস্য ভা-ারের অধিকাংশ জমি কৃষি কাজে ব্যবহার না হয়ে ইটভাঁটিতে, ছোট ছোট শিল্প-কলকারখানা নির্মাণে প্রায় প্রতিদিনই ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে কৃষি জমির পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে। এভাবে জমি হ্রাস পেতে থাকলে ভবিষ্যতে চাষযোগ্য কৃষি জমির পরিমাণ একেবারেই কমে যাবে। বর্তমানে দেশের এক-তৃতীয়াংশ ভূমিও কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা তাতে সন্দেহ আছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কিভাবে চাষযোগ্য এই কৃষি জমি রক্ষা করা যায়। আইন প্রণয়ন করে সে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষি জমি রক্ষা করা যেতে পারে। হল্যান্ডের এক-তৃতীয়াংশ জমি সমুদ্রের তলদেশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছেÑ সমুদ্র তীরে শক্ত দেয়াল নির্মাণ করে এই ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীতীরে আর সমুদ্র উপকূলে শক্ত বাঁধ নির্মাণ করে নদী ও সাগরের বুক থেকে হল্যান্ডের মতো চাষযোগ্য কৃষি জমি উদ্ধার করা সম্ভব। তবে প্রয়োজনীয় আইন করে বিদ্যমান চাষাবাদ উপযোগী ভূমি সর্বাগ্রে রক্ষা করতে হবে। তার পর চাষযোগ্য জমির পরিমাণ রক্ষা করার প্রচেষ্টা নিতে হবে। কলাবাগান, ঢাকা থেকে
×