টাকা আছে। জায়গা আছে। ইচ্ছা আছে। কাজও হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পরিকল্পনা নেই। নেই জবাবদিহিতা। আর এই জবাবদিহিতার তোয়াক্কা না করে ব্যক্তি স্বার্থে কৃষি জমি ব্যবহার করে বাড়ী ঘর, ইট ভাটা, কল কারখানা তৈরি করছে অনেকে। যে কারণে কমে যাচ্ছে আবাদী কৃষি জমি। বাড়ি ঘর, ইট ভাটা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কল কারখানা তৈরি করতে কতটুকু নিয়ম মেনে চলি আমরা। আমাদের বাড়ি করার প্রয়োজনে বাড়ি তৈরি করে যাচ্ছি। ব্যবসা করার প্রযোজনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সরকারী নীতিমালা মেনে কতটুকু তৈরি হচ্ছে?
এদিকে পরিকল্পিতভাবে কাজ না করার কারণে ইচ্ছামতো ভরাট করে কাজ চলছে। দেশের অনেক জায়গায় সরকারী খাল ভরাট হচ্ছে। কিন্তু পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বছরের পর বছর হাজার হাজার একর কৃষি জমির জলাবন্ধতা রয়ে যাচ্ছে। সঠিক সময় চাষ-আবাদ করা সম্ভবও হয় না হাজার হাজার একর কৃষি জমি। অপরিকল্পিতভাবে কাজ করার জন্য শুধু কৃষি জমি নয় রাস্তা এবং বাজার-ঘাটও পানিতে ডুবে যায়।
কৃষি জমি ধবংসের আরেকটি মূল কারণ হচ্ছে বালু খেকোরা। দেশের বিভিন্ন নদীর পাড় থেকে এবং বিল থেকে ড্রেজিং দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার একর জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। আর এই উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে হলে কৃষি জমি রক্ষায় পূর্ব পরিকল্পনা প্রয়োজন। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারকে মাঠপর্যায়ে কাজ করতে হবে। বাড়ি ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কল কারখানা তৈরি করতে সরকারী জবাবদিহিতা তৈরি করতে হবে। আর যতদিন পর্যন্ত জবাবদিহিতার জায়গা তৈরি না হবে ততদিন পর্যন্ত কৃষি জমি কমে যাবে। যে কারণে কৃষি জমি রক্ষা করতে হলে অবশ্যই ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি এলাকায় কোন বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং কল কারখানা তৈরি করতে হলে সংশ্লিষ্ট অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে।
সরকারকে এ ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। কৃষি জমির রক্ষার্থে সরকারকে নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। দেশের সকল সরকারী খাল দখলমুক্ত করে সারা বছর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাতে জলাবন্ধতার কারণে কোন কৃষি জমিতে আবাদ বন্ধ না থাকে। শহর থেকে গ্রামে পর্যন্ত আবাসিক, বাণিজ্যিক ও আবাদী এলাকা সরকারের নির্ধারণ করতে হবে। আবাসিক এলাকায় বাড়ি ঘর এবং বাণিজ্যিক এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কল কারখানা। এর বাইরে কোন কৃষি জমিতে ঘর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং কল কারখানা তৈরি বন্ধ রাখতে সরকারের বিশেষভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
রাজবাড়ী থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: