ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সড়ক খুঁড়ে ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও ঠিকাদার ॥ দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৮ নভেম্বর ২০১৭

সড়ক খুঁড়ে ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও ঠিকাদার ॥ দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ পাকা সড়ক নির্মাণে দরপত্রে কাজ পেয়ে তিন কিলোমিটার কাঁচা সড়ক খোঁড়াখুঁড়িও করা হয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে ডব্লিউ বি এম ও বাকি দুই কিলোমিটার সড়ক বক্স কাটিং করার পর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই সড়কে কাদা পানির সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে পথচারীরা। ঘটনাটি কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া জিসি টু চেন এস ১৫৫০ থেকে ৪৫৫০ পর্যন্ত সড়কটির। অভিযোগে জানা যায় উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডি) দফতর মাগুড়া জিসি টু হতে কিশোরগঞ্জ তারাগঞ্জ সড়ক ও জনপথ রোড বাহাগিলি স্টিল ব্রিজের বংকিমের বাড়ির নিকট সড়ক হতে চেন এস ১৫৫০ থেকে ৪৫৫০ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৫ হাজার ২শ’ ১৯ টাকার দরপত্র আহ্বান করে। এতে কাজটি পায় নীলফামারীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মহসেনা এন্টারপ্রাইজ। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল সড়কটির নির্মাণে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। শর্তানুযায়ী ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। শর্ত মোতাবেক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি তিন কিলোমিটার সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি শেষ করে এবং এক কিলোমিটার অংশে ডব্লিউ বি এম করে ও বাকি দুই কিলোমিটার অংশে বক্স কাটিং করে রাখে। সেখানে কোন বালু পর্যন্ত দেয়া হয়নি। এরপর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি সংশ্লিষ্ট দফতর হতে প্রায় ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করে। কাজ শুরুর দুই মাসের মধ্যে ওই টাকা উত্তোলনের পর কাজ বন্ধ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি লাপাত্তা হয়ে যায়। চলতি টানা বর্ষণে সড়কটি ডুবে যাওয়ায় এলাকাবাসী কলার ভেলা বানিয়ে চলাচল করে। সড়কটি খোঁড়াখুঁড়ির এক বছর পেরিয়ে গেলে বর্তমানে সড়কটিতে হাঁটু কোমর কাদা জমে থাকায় এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই সড়কটির বেহালদশা। এলাকার কলেজ ছাত্রী ইছমত আরা বলেন, আগে রাস্তা কাঁচা থাকলেও মাগুড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ভ্যানযোগে বাড়িতে আসতে ১০ টাকা ভাড়া দিতে হতো। কিন্তু বর্তমানে রাস্তার যে অবস্থা হেঁটেও চলাচল করা যায় না। এ ব্যাপারে মহসেনা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার মাহবুল আলমের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, এবার বন্যার কারণে সঠিকভাবে কাজ শুরু করতে পারিনি।
×