ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় বাঁধ দিতে বাধা ॥ দুশ্চিন্তায় দুই হাজার সবজি চাষী

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৮ নভেম্বর ২০১৭

কলাপাড়ায় বাঁধ দিতে বাধা ॥ দুশ্চিন্তায় দুই হাজার সবজি চাষী

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৭ নবেম্বর ॥ শঙ্কায় পড়েছেন ১০ গ্রামের দুই হাজার চাষী। তাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই সবজির আবাদ নিয়ে। রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। জীবন-জীবিকার অবলম্বন ১২ মাস সবজির আবাদ করা এসব চাষী এখন মহাঅনিশ্চয়তার কবলে পড়েছেন। তারা লোনা পানির প্রবেশ ঠেকাতে ফি বছরের মতো নিজস্ব অর্থায়নে যোগীর খাল, নাওভাঙ্গা খাল ও শেখ বাড়ির কালভার্টের সামনে বাঁধ দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েও একটি প্রভাবশালী মহলের বাধার কারণে পারছেন না। তাই তাদের সবজি আবাদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আমন, সবজিসহ বোরোর আবাদ করে আসছেন নীলগঞ্জের মজিদপুর গ্রামের চাষী আবুল কালাম। তিনি জানান, তারা নিজেদের প্রশিক্ষিত করতে কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন দফার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তারা কৃষকদের অংশগ্রহণে গড়েছেন মজিদপুর ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কৃষক ক্লাব। ওই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তিনি। কালাম জানান, উপরোক্ত তিনটি পয়েন্টে ফি-বছর বাঁধ দিয়ে লোনা পানির প্রবেশ ঠেকান। ধারণকৃত মিঠা পানি দিয়ে কুমিরমারা, মজিদপুর, এলেমপুর, ইসলামপুর, নিয়ামতপুর, গামইরতলা, ঘুটাবাছা, নাওভাঙ্গা, পাখিমারা ও সোনাতলা গ্রামের চাষীরা সবজিসহ বোরোর আবাদ করে আসছেন। এ বছরও বাঁধ দিতে গেলে একটি প্রভাবশালী মহল বাধা দেয়। প্রভাবশালী ওই চক্রের কারণে সরকারের ভাবমূর্তিও চরমভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কৃষকরা জানান, দুই-একদিনের মধ্যে বাঁধ দিতে না পারলে নদীর লোনা পানি প্রবেশ করবে ভিতরের স্লুইস সংযুক্ত খালে। তখন সর্বনাশ হয়ে যাবে। কৃষকরা কোন উপায় না পেয়ে তিনটি স্পটে বাঁধ দিয়ে লোনা পানির প্রবেশ ঠেকানের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মসিউর রহমান জানান, কৃষকরা বাঁধ দিয়ে লোনা পানির প্রবেশ ঠেকাতে না পারলে হাজারো পরিবার বেকার হয়ে যাবে। এক কথায় সর্বনাশ হয়ে যাবে। উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার জানান, কৃষকের স্বার্থ রক্ষার্থে বাঁধ দেয়ার অনুমতিসহ বাঁধের জন্য আর্থিক সহায়তাও দেয়া হবে।
×