ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

* কুতুপালং ক্যাম্প থেকে সন্দেহভাজন ২৬ জন আটক;###;*মুচলেকা নিয়ে ৫ বিদেশীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে;###;*এইডস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আশার আলো নেই, পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৮ নভেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আশার আলো নেই, পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে

মোয়াজ্জেমুল হক/ এইচএম এরশাদ ॥ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে পরিস্থিতি এখনও ঘোলাটে হয়ে আছে। এর পাশাপাশি রোহিঙ্গাভারে জর্জরিত গোটা কক্সবাজার অঞ্চলেও বিরূপ পরিবেশ বিরাজ করছে। সোমবার রাতে রোহিঙ্গা কুতুপালং ক্যাম্পে অবৈধভাবে অবস্থানরত ৫ বিদেশীসহ ২৬ জনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিদেশীদের ছেড়ে দেয়া হলেও অন্যদের নানা মেয়াদে দন্ড দেয়া হয়েছে। অপরদিকে রোহিঙ্গা নারীদের মাঝে এইডস রোগে আক্রান্ত ৫৫ জন শনাক্ত হওয়ার পর এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা, এইচআইভি পজেটিভ নিয়ে মিয়ানমার থেকে আসা রোিহঙ্গারা বিষয়টি সহজে প্রকাশ করে না। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসকদের কাছে যাওয়ার পর তা শনাক্ত হচ্ছে। লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের নিয়ে চিকিৎসা গবেষণা চালানো হলে বিষয়টি মহামারী আকারে ধরা পড়তে পারে বলে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে কার্যকর কোন সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর বলপ্রয়োগের বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে সর্বশেষ একটি প্রেসিডেন্সিয়াল স্টেটমেন্ট গৃহীত হয়েছে। ইতোপূর্বে জাতিসংঘ অধিবেশনেও রোহিঙ্গা ইস্যুটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্থনিও গুতেরেস এ বিষয়ে অসংখ্যবার বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু মিয়ানমার সরকার এসব নিয়ে এখনও কোন কর্ণপাত করেনি। ফলে রোহিঙ্গাদের পুনরায় সে দেশে ফিরে যাওয়া এবং নিরাপদে বসবাসের বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত অবস্থায় নিপতিত থাকায় কাক্সিক্ষত সমাধানের পথ এখনও তিরোহিত হয়ে আছে। মূলত এসব কারণেই রাখাইন রাজ্য থেকে ইতোপূর্বে রোহিঙ্গা আগমনের ঢল সৃষ্টি হয়। যা বর্তমানে হ্রাস পেলেও পালিয়ে আসার ঘটনা বন্ধ করা যাচ্ছে না। আগামী ১০ নবেম্বর পর্যন্ত নাফ নদী ও সাগর এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষিত রয়েছে। ১০ নবেম্বরের পর বাংলাদেশের পক্ষে আরোপিত ব্যবস্থার অবসান হলে নতুন করে আবার রোহিঙ্গা ঢল নামার ধারণা করছে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী। অপরদিকে ওপারের সূত্রগুলো জানিয়েছে, মিয়ানমারের সেনা বাহিনীর অমানবিক অত্যাচারে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বিশ্ব চাপের মুখে স্বদেশে ফিরিয়ে নেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তার মাঝেও নানা জটিলতা রয়েছে। কেননা, এখনও রাখাইনে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের যে এনভিসি কার্ড দেয়া হচ্ছে তাতে তাদের জাতীয়তা বাংলাদেশী হিসেবে উল্লেখ থাকছে। আর এ পারের বাংলাদেশ সরকার যে নিবন্ধন কার্ড দিচ্ছে তাতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে উল্লেখ থাকছে। ফলে রোহিঙ্গাদের অন্যতম সমস্যা অর্থাৎ নাগরিকত্বের বিষয়টি সাংঘর্ষিক হয়ে নতুন জটিলতার মুখে পড়ছে। রোহিঙ্গারা দাবি করছে, মিয়ানমার সরকার তাদের পূর্বের অবস্থানে অটল রয়েছে। দমন নিপীড়ন হ্রাস করলেও ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে তারা শঠতার পথ বেছে নিচ্ছে। সঙ্গত কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কার্যকর সিদ্ধান্ত ছাড়া এ সমস্যার সমাধানের বিষয়টি জটিল পরিস্থিতির আবর্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে। সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জাতিসংঘ মিয়ানমার প্রতিনিধি স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, বিদেশী কোন চাপে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধান হবে না। উল্টো এ জাতীয় ঘটনা রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করবে। এদিকে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য রাখাইনে মংডুর নলবনিয়ায় শেড নির্মাণ শুরু করলেও রাখাইন প্রশাসন বেশি গুরুত্বারোপ করছে রোহিঙ্গাদের এনভিসি কার্ড ধরিয়ে দেয়ার কাজে। এনভিসি বা ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড রাখাইনে বাস করা বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসীদেরকেই প্রদান করা হয়। যা কার্ডধারীকে সুস্পষ্টভাবে একটি পরিচিতি এনে দেয়। তা হচ্ছে কার্ডধারী মিয়ানমারের নাগরিক নয় এবং তিনি অভিবাসী হিসেবে সেখানে বসবাস করছেন। রাখাইন রাজ্যে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা বর্তমানে এনভিসি গ্রহণে রোহিঙ্গাদের চাপ দেয়া হচ্ছে। চাপের মুখে বহু রোহিঙ্গা এ জাতীয় কার্য গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ এনভিসি না থাকলে কাউকে স্বাভাবিক কাজকর্মে যেতে দেয়া হবে না। এর পাশাপাশি নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় যাওয়ার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মিয়ানমার সরকার তাদের দেশীয় নিউজ চ্যানেলে এমন তথ্যও প্রচার করছে, রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় এনভিসি নিচ্ছে এতে করে তারা নিজেরাই স্বীকার করছে যে তারা মিয়ানমারের নাগরিক নয়, বরং অভিবাসী হিসেবেই বসবাসরত। এপারে আশ্রিত লাখ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে বিষয়টি মারাত্মক উদ্বেগ উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করেছে। তারা নিশ্চিত করে বলছে, বিশ্ব চাপের মুখে আপাতত মিয়ানমার নিপীড়ন নির্যাতন থেকে থমকে থাকলেও আগামীতে পুনরায় এ ধরনের ঘটনার অবতারণা করবে। এমনিতেই রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত অধিকাংশ রোহিঙ্গার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে বহু। এ অবস্থায় তাদের সেখানে যদি নেয়া হয় রাখা হবে ক্যাম্পে। যে কারণে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সরকার ক্যাম্প নির্মাণ করছে। ক্যাম্পে তাদের প্রতি যে আচরণ করা হবে তা রোহিঙ্গারা আগেভাগেই আঁচ করতে পারছে। এসব কারণে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে যেমন আগ্রহী নয়, তেমনি যারা এখনও রাখাইন রাজ্যে অবস্থান করছে তাদের এদেশে চলে আসার পুনঃ পুনঃ তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে। তাগাদার কারণেই রোহিঙ্গা আগমন বন্ধ হচ্ছে না। এ পর্যন্ত প্রায় সোয়া ৬ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে তথ্য দেয়া হয়েছে। যদিও এ সংখ্যা প্রকৃত অর্থে আরও বেশি। পাঁচ বিদেশীর মুচলেকা নিয়ে ছাড় ॥ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগে সোমবার রাতে আটক ৫ জন বিদেশীর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তারা ব্রিটেন ও চীনের নাগরিক। এনজিও কর্মীর ছদ্মাবরণে সন্দেহভাজন দেশী-বিদেশী ২৬ জনকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছিল। পাঁচ বিদেশীকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হলেও অবশিষ্ট ২১ জনের মধ্যে ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ১১ জনের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে উখিয়া থানা পুলিশ। জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্দেহভাজন লোকজন অবস্থান করায় ৫ বিদেশীসহ ২৬ জনকে আটক করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ঘটনা চলাকালে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি রোধে কক্সবাজার প্রশাসন বিকেল ৫টার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনি বহিরাগতদের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে। এইডস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ॥ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মাঝে এইডস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর রোহিঙ্গারা দলে দলে পালিয়ে আসার ঘটনা শুরু হয়। এর মধ্যে গত সেপ্টেম্বর মাসে ১ জনের শরীরে এইচআইভি পজেটিভ ধরা পড়ে। অক্টোবর মাসে শনাক্ত হয় আরও ২৪ জন। চলতি নবেম্বর মাসের মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট এইডস রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ জনে। এর মধ্যে ৪০ জনই এ রোগ নিয়ে মিয়ানমার থেকে এসেছে। অবশিষ্টদের শরীরে ধরা পড়েছে এপারে। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ও অন্যান্য চিকিৎসক জানিয়েছেন, লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের সকলকে চিকিৎসা ব্যবস্থার আওতায় আনা গেলে বিষয়টি মহামারী আকারে ধরা পড়তে পারে। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বর্তমানে যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছে তাদের কারও কারও শরীরে এ রোগ ধরা পড়ছে। কিন্তু রোগ ব্যাধি ছাড়া যারা চিকিৎসকের কাছে আসছে না তাদের শরীরে যে এ রোগ নেই তা হলফ করে বলা যাবে না। কিন্তু এইডস রোগীর যে প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে এতেই একটি ধারণা করা হচ্ছে, এ ধরনের বহু রোগী আছে রোহিঙ্গাদের মাঝে। নাফ নদী নির্ভর হাজারো জেলে পরিবারে আর্থিক সঙ্কট ॥ টেকনাফে নাফনদী নির্ভর স্থানীয় প্রকৃত জেলে পরিবার সমূহের মধ্যে চরম অভাব-অনটন সৃষ্টি হয়ে আছে। টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া, খারাইগ্যাঘোনা, হোয়াইক্যং, লম্বাবিল, কুতুবদিয়া পাড়া, কাঞ্জরপাড়া, নয়াপাড়া, ঝিমংখালী, মিনাবাজার, নয়াবাজার, খারাংখালী, হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভী বাজার, হোয়াব্রাং, সুলিশপাড়া, গুদামপাড়া, জালিয়াপাড়া, লেদা, মোচনী, নয়াপাড়া, জাদিমোরা, দমদমিয়া, টেকনাফ সদরের বরইতলী, নাইট্যংপাড়া, কায়ুকখালীপাড়া, চৌধুরী পাড়া, জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভী পাড়া, সাবরাং বাজার, নয়াপাড়া ও বৃহত্তর শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদী নির্ভর হাজার হাজার নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত জেলে পরিবার এখন মাছ শিকার করতে না পেরে চরম খাদ্য ও চিকিৎসা সঙ্কটে রয়েছে। টেকনাফের হ্নীলা নাফ নদী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ শফি জানিয়েছেন, মাছ ধরতে না পেরে পরিবার নিয়ে চরম কষ্টে আছেন। জাদিমোরার আব্দুস শুক্কুর জানিয়েছেন, স্থানীয় জেলেরা চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছে। ইয়াবা পাচার রোধ ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গত আগস্ট মাস থেকে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। এদিকে সরকারের উর্ধতন মহলের পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসাইন জানান, নাফ নদী নির্ভর জেলে পরিবারে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানানো হয়েছে। শীঘ্রই ১ হাজার ১৯৫ জনকে ভিজিএফের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা নারী আটক ॥ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ শোনা গেলেও অবশেষে তার সত্যতা প্রমাণ হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে কুতুপালং-২ অস্থায়ী ক্যাম্পের ব্লক-সি-২ এলাকায় জেলা প্রশাসনের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা নারীকে গ্রেফতার করেছে। রোহিঙ্গা নূর আলমের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের শরীরে পাওয়া গেছে ১০৫ পিস ইয়াবা। অভিযান পরিচালনা করেন কুতুপালং-২ অস্থায়ী ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান বিন আলী। তিনি জানান, রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে অবস্থান করে ইয়াবা ব্যবসা করছে- এমন গোয়েন্দা তথ্য আমাদের কাছে ছিল। এরপর সন্দেহভাজন কয়েকজনের ঘর তল্লাশি করা হয়। অভিযানে একজনের ঘর থেকে ১০৫টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে সেনাবাহিনী, ব্যাটালিয়ন আনসার, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা সার্বিক সহায়তা করে।
×