ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা ফেরাতে চাপ দেয়ার কথা থাকছে আজকের বিবৃতিতে

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৭ নভেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা ফেরাতে চাপ দেয়ার কথা থাকছে আজকের বিবৃতিতে

সংসদ রিপোর্টার ॥ রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সম্মেলনের সপ্তম দিনে আজ মঙ্গলবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হবে। তাতে রোহিঙ্গা ইস্যু দ্রুত সমাধানের জন্য মিয়ানমারকে চাপ দেয়ার কথা উল্লেখ থাকবে। বিবৃতিটি মিয়ানমার সরকারকেও জানানো হবে। ষষ্ঠ দিনেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরব ছিলেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। জাতীয়তাবাদ ইস্যুতে এক আলোচনায় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জন্য হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। সম্মেলনে সোমবারও রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এক হয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ দেয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে (সিপিসি) অংশ নিতে আসা বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তারা বলছেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে সহসাই রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান হবে না। সমস্যাটি যাতে দ্রুত সমাধান করা যায় তার জন্য বিশ্বের দেশগুলোকে এক হয়ে জাতিসংঘের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ দিতে হবে। ব্রিটেনের প্রতিনিধি দলের প্রধান ও হাউস অব লর্ডসের সদস্য জর্জ ফোকেজ বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর যেটা হচ্ছে তা গণহত্যা। আমরা এটাকে গণহত্যা বলেছি। কানাডাসহ কয়েকটি দেশও বিষয়টিকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করেছে। ক্যামেরুনের পার্লামেন্টের মাইনরিটি চীফ হুইপ বানাদজেম জোসেফ বলেন, রোহিঙ্গাদের অবস্থা সত্যিই অমানবিক। একুশ শতকে এসে আমরা এ ধরনের অমানবিকতা দেখতে চাই না। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে আরও আলোচনা হওয়া দরকার। কোফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নসহ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে ৫ দফা সুপারিশ করা হয়েছে তার বাস্তবায়ন জরুরী বলেও মনে করেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাদেশিক পরিষদের হুইপ ফিলেমন ফালাগা বলেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। বিতাড়িত এই জাতিগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মহৎ কাজ করেছে। আমরা চাই রোহিঙ্গারা যেন দ্রুত তার নিজেদের আবাসভূমিতে ফেরত যেতে পারে। মিয়ানমার সরকারের উচিত এদের ফিরিয়ে নিয়ে তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা। এজন্য বাংলাদেশের উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। সংসদীয় কার্যক্রমে সুশীল সমাজকে চায় না বাংলাদেশ ॥ সংসদীয় কার্যক্রমে সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্ত চায় না বাংলাদেশ। এ নিয়ে ভোটাভুটিতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়েছে। যদিও বিশে^র অন্যান্য দেশের বেশিরভাগ সদস্য সুশীল সমাজকে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি সমর্থন জানিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটিতে সংসদীয় কার্যক্রমে সিভিল সোসাইটির অন্তর্ভুক্ত থাকার পক্ষে গেছে। সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অনুষ্ঠিত সিপিসির একটি কর্মশালায় বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে প্রায় ১৫ দেশের প্রতিনিধি এ নিয়ে আলোচনা করেন। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন ডেপুটি স্পীকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া। বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ, এনামুর রহমান, ফখরুল ইমাম, রওশন আরা মান্নান। ভোটাভুটির সময় যখন সিভিল সোসাইটির বিষয় আসে তখন মাইক নিয়ে ফ্লোর নেন ডেপুটি স্পীকার। তিনি বলেন, সুপারিশে সংসদীয় কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে আরও দুটি বিষয় আনা হয়েছে। এর মধ্যে সুশীল সমাজের বিষয়টি বাদ দিলে বাংলাদেশ এই সুপারিশের পক্ষে আছে; বাদ না দিলে আমরা নেই। এ সময় কর্মশালার নাইজিরিয়ান সঞ্চালক এ নিয়ে আর কোন আলোচনার সুযোগ না দিয়ে সরাসরি ভোটে চলে যান। তখন বাংলাদেশ ভোটে অংশ নেয়ার প্রতীক হিসেবে হাত তোলা থেকে বিরত থাকে। কর্মশালার সঞ্চালক ছিলেন নাইজিরিয়ান সংসদের সিনেটর বিনতা গার্বা । এ বিষয়ে আলোচনার নেতৃত্ব দেন অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটেল টেরিটোরির এমএলএ ক্রিস স্টিল, কানাডার সংসদ সদস্য টমাস মুলকার ও মালয়েশিয়ার জাইরিল খির জোহারী। এ প্রসঙ্গে ডেপুটি স্পীকার সাংবাদিকদের জানান, গোলটেবিল বৈঠকে সংসদীয় কার্যক্রমে সিভিল সোসাইটির অন্তর্ভুক্ত সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর আগে বিষয়টি নিয়ে মৌখিক ভোটাভুটি হয়। বাংলাদেশ এ সুপারিশের পক্ষে নয়। কারণ, সংসদীয় কার্যক্রমে সিভিল সোসাইটিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন নেই বলে আমরা মনে করি। রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিপিসির সাধারণ অধিবেশন থেকে আজ (মঙ্গলবার) একটি বিবৃতি দেয়া হবে। তাতে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমারকে চাপ দেয়ার কথা থাকবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। তিনি বলেন, ইস্যুটি এবারের কার্যতালিকায় ছিল না। কারণ, কার্যতালিকা যখন চূড়ান্ত হয় তখন রোহিঙ্গা ইস্যু তৈরি হয়নি। সংশ্লিষ্টরা জানান, সোমবার সম্মেলনের ৬ষ্ঠ দিনে ৮টি কর্মশালা ও দু’টি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরব ছিলেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছেন অস্ট্রেলিয়া, উগান্ডা, মাল্টা, কানাডা, আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশ। জাতীয়বাদ ইস্যুতে এক আলোচনায় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন কর্মশালায় নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে নারী সংসদ সদস্যদের রোল মডেল ধরে কাজ করার সুযোগ তৈরি, নীতিমালা প্রস্তত করা এবং লিঙ্গ সমতাকে সমর্থন, টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আইন প্রণয়ন, বাজেট প্রণয়ন এবং সার্বিক তদারকিতে অংশগ্রহণে সংসদ সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় সুশাসন নিশ্চিত করতে সংসদে জনগণের অংশগ্রহণ, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়। এক কাঠামোয় জলবায়ু সমস্যা মোকাবেলা করবে সিপিএ ॥ কমনওয়েলথভুক্ত সদস্য দেশ একটি কাঠামোর আওতায় ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যাগুলো মোকাবেলা করবে। কর্মশালায় কমনওয়েলথভুক্ত সদস্য দেশের সংসদ সদস্যরা বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত অনেক উন্নয়নশীল ও দরিদ্র রাষ্ট্র ভবিষ্যত জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের ঝুঁকিতে রয়েছে। সুতরাং সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে কমনওয়েলথভুক্ত সদস্য দেশ এই ঝুঁকি মোকাবেলায় একটি কাঠামো নিশ্চিত করতে পারে। ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) সম্মেলনের সোমবার ষষ্ঠ দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জলবায়ু পরিবর্তনে কমনওয়েলথ দেশসমূহের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কর্মশালায় সংসদ সদস্যরা এসব কথা বলেন। কর্মশালার সঞ্চালক সেন্ট হেলেনা দ্বীপপুঞ্জের সংসদ সদস্য ডেরেক থমাস ওয়ার্কশপ শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ওয়ার্কশপে আমরা দুটি সুপারিশ গ্রহণ করেছি। তা হলো- কমনওয়েলথভুক্ত সদস্য দেশ একটি কাঠামো নিশ্চিত করবে যা ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবেলা, প্রত্যেক অঞ্চলে তা বাস্তবায়ন এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক সম্মেলনে সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরবে। এছাড়া কার্বন নিঃসরণে আইনগত সংস্কার, বিভিন্ন পলিসি বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ ও সম্পদ সচলকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখা, যা বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সহায়ক হবে। কর্মশালায় মূল আলোচক ছিলেন গায়ানার ড. বার্টন ড্রেক এমপি ও জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচীর প্রধান মারিয়া মংগোইট। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান ডেপুটি স্পীকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া, চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ, তাজুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, ফখরুল ইমাম, ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী ও ডাঃ এনামুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার সঞ্চালক ডেরেক থমাস বলেন, সকল সদস্যরাষ্ট্র পরামর্শগুলো অনুমোদন করেছে, যা কমনওয়েলথ দেশসমূহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশগুলো প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সুতরাং, আমাদের সকলের উচিত এই পৃথিবীকে রক্ষায় কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনতে সম্মিলিতভাবে কাজ করা। মারিয়া মংগোইট বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলোর উচিত দরিদ্র দেশগুলোর প্রতি তাদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তার হাত প্রসারিত করা। সিপিএ যে দুটি সুপারিশ গ্রহণ করেছে, আমি মনে করি তা এই সমসা মোকাবেলায় অত্যন্ত কার্যকর হবে। সংসদ সদস্য এনামুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। ধ্বংসের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে হলে উন্নত-অনুন্নত সকল দেশেরই উচিত সবুজ জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো। তিনি বলেন, বিষয়টি মাথায় রেখে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার সবুজ জ্বালানিকে উৎসাহিত করছে। তরুণ ও যুব এমপিদের আরও বেশি সক্রিয় নিশ্চিতের সুপারিশ ॥ সব দেশে সংসদের পাশাপাশি সরকারের ক্ষমতায়নে তরুণ ও যুব সংসদ সদস্যদের আরও সক্রিয় করতে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৬৩তম সিপিএ সম্মেলনে ‘গিভেন ভয়েস টু দ্য ইয়ুথ মেকানিজম ফর ইনসিউর ইফেকটিভ পার্টিসিপেশন অব ইয়ুথ ইন দ্য গবর্ন্যান্স প্রসেস’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে এই সুপারিশ করা হয়। প্রশাসন ও জাতি গঠনে মূল ধারায় যুবাদের সম্পৃক্তকরণ এবং বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যুব সংসদ সদস্যদের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য দাবি জানিয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণমূলক শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্রের গুরুত্ব শীর্ষক ইয়ুথ রাউন্ড টেবিল বৈঠকে মডারেটর ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। বৈঠকে অষ্টম কমনওয়েলথ ইয়ুথ পার্লামেন্টারিয়ান প্রতিনিধিদলের সদস্য পাকিস্তানের দানিশ আলী ভুট্টো ও নিউ সাউথ ওয়েলসের এলিস ডেলপিয়ানো অংশ নেন। রাউন্ড টেবিল বৈঠকে বাংলাদেশ ইয়ুথ প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। ভারতের লোকসভার স্পীকার সুমিত্রা মহাজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কশপে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন এ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এমপি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই তরুণ শিক্ষার্থী রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণে আরও বেশি আগ্রহ সৃষ্টি করতে সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ ও কর্মসূচী নেয়ার দাবি জানান। ওয়ার্কশপে তরুণদের জ্ঞান অর্জনে বেশি করে প্রশিক্ষণের আয়োজন করার জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
×