ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডব্লিউটিএ এলিট ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন জুলিয়া

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ৭ নভেম্বর ২০১৭

ডব্লিউটিএ এলিট ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন জুলিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেষ পর্যন্ত জুলিয়া জর্জেসের মুখেই ফুটল শিরোপার হাসি। দুর্দান্ত খেলেই ডব্লিউটিএ এলিট ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন তিনি। রবিবার টুর্নামেন্টের ফাইনালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোকো ভেন্ডেওয়েঘেকে পরাজিত করেন তিনি। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে এদিন জার্মান তারকা জুলিয়া জর্জেস ৭-৫ এবং ৬-১ গেমে পরাজিত করেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় বাছাই কোকো ভেন্ডেওয়েকে। ১২ জন খেলোয়াড় নিয়ে আয়োজন করা হয় ডব্লিউটিএ এলিট ট্রফি। এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন কি না তা নিয়েই সংশয় ছিল অনেকের। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র দুই সপ্তাহ আগে রাশিয়ায় ক্রেমলিন কাপ জিতেই এখানে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন জার্মান তারকা। অসাধারণ পারফর্মেন্সের সৌজন্যে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির গড়েন তিনি। সেইসঙ্গে মৌসুমের দ্বিতীয় শিরোপা নিজের শোকেসে তোলেন ২৯ বছর বয়সী এই টেনিস তারকা। বড় তারকাদের হারিয়ে এলিট ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে পেরে দারুণ রোমাঞ্চিত জুলিয়া। জার্মান তারকা এতটাই রোমাঞ্চিত যে, ম্যাচ শেষে অবশ্য তা প্রকাশের ভাষাই প্রকাশ করতে পারলেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। সত্যি বলতে আমি মনে করি এই জয়ের পর তা প্রকাশের কোন ভাষা আমার জানা নেই। এটা সত্যিই বিস্ময়কর একটা ব্যাপার। আমি তা এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না।’ বিশ্ব টেনিসে জার্মানদের আধিপত্য দেখা গেছে প্রায়ই। কিংবদন্তি স্টেফি গ্রাফ এখন পর্যন্ত নিঃসন্দেহে শীর্ষস্থানটা দখল করে আছেন। গত মৌসুমে দেখা গেছে এ্যাঞ্জেলিক কারবারকে। দুটি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের স্বাদ পান একই বছরে। খেলেছেন রিও অলিম্পিকের ফাইনালও। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং ইউএস ওপেন জয় ছাড়াও প্রথমবারের মতো বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটাও দখল করেছিলেন কারবার। কিন্তু খুব বেশিদিন সেই স্থানটা ধরে রাখতে পারেননি কারবার। এই মৌসুমটা তো একেবারেই বাজে কেটেছে তার। মেজর কোন শিরোপা জয় তো দূরের কথা ডব্লিউটিএ টুর্নামেন্টেরই ফাইনাল খেলতে পারেননি কারবার। সর্বশেষ এলিট ট্রফিতেও ব্যর্থ ছিলেন তিনি। টানা দুই ম্যাচ হেরে সমর্থকদের হৃদয় ভেঙ্গে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেন এ্যাঞ্জেলিক কারবার। তবে জার্মানদের মান রেখেছেন জুলিয়া জর্জেস। ট্রফি নেয়ার সময় তার আনন্দটা বেড়ে গেছে বহুগুণে। কারণটা কী জানেন? একজন জার্মানির হাত থেকেই যে পুরস্কারটা গ্রহণ করেছেন তিনি। টুর্নামেন্টের এ্যাম্বাসেডর স্টেফি গ্রাফের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন জর্জেস। ম্যাচ শেষে তাই এ প্রসঙ্গটাও উঠেছিল সংবাদ সম্মেলনে। নিজের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে জুলিয়া জর্জেস বলেন, ‘এই মুহূর্তটা আমার কাছে খুবই স্পেশাল। আমি মনে করি একজন জার্মানির খেলোয়াড়ের কাছে পুরস্কারটা দিতে পেরে তিনিও খুব খুশি হয়েছেন।’ কিংবদন্তি স্টেফি গ্রাফের সঙ্গে একটা ছবিও তুলে রেখেছেন জর্জেস। তার কাছে এই ছবির মূল্য কত জানেন? শুনুন তার নিজের মুখ থেকেই, ‘আমার কাছে এই ছবির মূল্য মিলিয়নের চেয়েও বেশি।’ মৌসুমের দ্বিতীয় ট্রফি জয়ের পথটা কিন্তু মোটেও সহজ ছিল না তার। এই পথে জুলিয়া জর্জেস হারিয়েছেন স্লোভাকিয়ার নাম্বার ওয়ান তারকা মাগদালেনা রিবারিকোভা, শীর্ষ বাছাই ক্রিস্টিনা মাদেনোভিচ এবং লাটভিয়ার এ্যানাস্তাসিজা সেভাস্তোভাকে। এমনকি প্রত্যেককে সরাসরি সেটেই হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন তিনি। চীনের এই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের প্রভাবটা পড়েছে তার র‌্যাঙ্কিংয়েও। সোমবার প্রকাশিত নতুন র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী চার ধাপ এগিয়ে এসেছেন জর্জেস। সেইসঙ্গে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ১৪ নাম্বারে উঠে এসেছেন তিনি।
×