ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার স্বীকৃত লিড মার্কেটিংয়ের ডিজিটাল সেবা ‘সঞ্চয় ডট কম’

সকল ধরনের কেনাকাটার বিপরীতে সঞ্চয়

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ৭ নভেম্বর ২০১৭

সকল ধরনের কেনাকাটার বিপরীতে সঞ্চয়

শাকিল আহমেদ মিরাজ ॥ তথ্য প্রযুক্তির বদৌলতে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা, যোগাযোগ, শিল্প প্রতিষ্ঠানে চোখের পলকে এক ক্লিকে লাখো হাজার মানুষের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে মুহূর্তেই। হাতের মুঠোয় বিশ্ব। সম্ভাবনার এই মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশের তরুণ প্রযুক্তিবিদরা তৈরি করেছে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সফটওয়্যার ‘সঞ্চয় ডট কম’ (Shonchoy.com) কোন প্রকার বিনিয়োগ না করেই চাহিদা অনুযায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় চাল, ডাল, তেল, সাবান, তরকারি, মাছ, মাংস, ওষুধ, জামা, জুতা, কৃষি পণ্য, নির্মাণ সামগ্রী যে কোন কিছু কিনলেই আপনার এ্যাকাউন্টে সঞ্চয় জমা হতে শুরু করবে। ‘লীড মার্কেটিং টুয়েন্টিফোর লিমিটেড’ (খবধফ গধৎশবঃরহম ২৪ খঃফ) একটি সরকার অনুমোদিত পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। যার গবঃরেজি নং সি ১২৯৬৯২/২০১৬। এই কোম্পানির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধারণ গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করা এবং সরবরাহকৃত পণ্যের লাভের একটি অংশ গ্রাহকের আপদকালীন সময়ের জন্য সঞ্চয়ের উদ্দেশে জমা করা। সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সঞ্চয়। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সঞ্চয়ের কোন বিকল্প নেই। তাই প্রাচীনকাল থেকেই মুষ্ঠিচাল, মাটির ব্যাংক, সমিতি, পোস্ট অফিস, ব্যাংক, বীমার মাধ্যমে মানুষ সঞ্চয় করে আসছে। আর এই প্রতিটি মাধ্যমেই সঞ্চয় করতে প্রয়োজন হয় নগদ টাকার। নানা চড়াই উৎরাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খড়া, বন্যা, দুর্ঘটনা, অভাব অনটনের জন্য আমরা প্রায়শই বেসামাল হয়ে পড়ি। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা প্রত্যাশিত সঞ্চয় করতে পারি না। অথবা আমরা চলমান জীবনে দৈনিক কিংবা মাসিক যা আয় করি তা সাংসারিক খরচ করার পর উদ্বৃত্ত কোন টাকা না থাকার কারণে সঞ্চয় করতে পারি না। কিন্তু জীবন-জীবিকার জন্য প্রতিনিয়ত চাল-ডাল, তৈল-সাবান, ওষুধপত্র, জামা-কাপড়, শিক্ষা-সামগ্রী, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক্স পণ্যসামগ্রী কিনছি। আর এই ক্রয়কৃত পণ্য হতে উৎপাদনকারী ডিলার-দোকানদার ১০% থেকে ৫০% পর্যন্ত লাভ করছে। যে সকল ব্যবসায়ী গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য বেশি বিক্রয়ের উদ্দেশে এই সেবাটি প্রদান করতে আগ্রহী তাদের নিয়েই ‘লীড মার্কেটিং টুয়েন্টিফোর লিমিটেড ‘সঞ্চয় ডট কম’Ñ এর পথ চলা। লক্ষ্য, দেশের প্রতিটি নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষকে সঞ্চয়ের আওতায় আনা। সঞ্চয় প্রকল্পে গ্রাহক হতে কোন টাকার প্রয়োজন নেই। সঞ্চয় ডট কমের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে গ্রাহকের ছবি, নাম, পিতার নাম, এনআইডি নম্বর ও ঠিকানা লিখে সাবমিট করে নিজে নিজেই গ্রাহক হওয়া যাবে। ‘সঞ্চয় ডট কম’ এর নিকটস্থ দোকানে বাজার করলেই কোম্পানির কর্মকর্তা নিজ দায়িত্বে গ্রাহকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গ্রাহক সব কিছু সম্পন্ন করে দেবে। ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রেও গ্রাহক হিসেবে নিবন্ধিত হওয়া যাবে। গ্রাহক ‘সঞ্চয় ডট কম’ লগো চিহ্নিত নির্ধারিত দোকান হতে বাজার মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় যে কোন পণ্য ক্রয়ের বিপরীতে ২ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত টাকা গ্রাহকের মোবাইল ব্যাংকিং এ্যাকাউন্ট, ব্যাংক ডিপিএস এ্যাকাউন্ট অথবা ইন্সুরেন্স ডিপিএস এ্যাকাউন্টে জমা হবে। যার ফলে গ্রাহক বাৎসরিক যত টাকার বাজার করবে তত টাকায় ১০ বছর মেয়াদ ডিপিএস পাবে। অর্থাৎ প্রতিবছর যত টাকার বাজার করবে ১০ বছর পর ডিপিএসের মেয়াদ শেষে সমপরিমাণ টাকা পাবে। ইতোমধ্যেই সারাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে এই শুভ সংবাদটি পৌঁছে দিতে সরকারের সকল মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। দেশের প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আমজনতা উদ্যোগটির প্রশংসা করেছেন। সঞ্চয় ডট কমের উদ্যোক্তা এস এম সুলায়মান হোসাইন বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবাসহ আরও কয়েকটি উপজেলায় পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছি এবং সারাদেশের অঞ্চল ভিত্তিক ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করেছি। আশা করছি দ্রুতই দেশের সবার কাছে এই সেবামূলক কেনাকাটার ধারণা পৌঁছে দিতে পারব।’
×