ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এসডিজি অর্জনে সামষ্টিক দক্ষতা উন্নয়নের বিকল্প নেই ॥ আইডিইবি নেতৃবৃন্দ

মানবসম্পদ উন্নয়নে অধিকতর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ৬ নভেম্বর ২০১৭

মানবসম্পদ উন্নয়নে অধিকতর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতীয় সামষ্টিক দক্ষতা উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। এ জন্য মানবসম্পদ উন্নয়নে অধিকতর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) নেতৃবৃন্দ। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘দক্ষতার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন’। রবিবার সংগঠনের ‘৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবস’ উপলক্ষে আইডিইবি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সভাপতি এ কে এম এ হামিদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি একেএম আবদুল মোতালেব, যুগ্ম সম্পাদক ফজলুর রহমান খান, আব্দুন নুমান, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ইদরীস আলী, অর্থ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, জনসংযোগ ও প্রচার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, লাইব্রেরি সম্পাদক আবুল বাসার, সাংগঠনিক সম্পাদক রেহান মিয়া, দফতর সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ, চাকরি বিষয়ক সম্পাদক দিলীপ কুমার ভৌমিক, গবেষণা সম্পাদক এবিএম আতিয়ার রহমান, সহ-শিক্ষা সম্পাদক আবুল কালাম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, সব উন্নয়ন চিন্তা মানবসম্পদ থেকেই উদ্ভূত। মানবসম্পদের গুণগত মান ও সক্ষমতার ওপরই দেশ ও এর প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকৃত শক্তি-সামর্থ্য নির্ভর করে। মানুষের দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষা মানুষের মধ্যে জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ তৈরি করে। যা ভবিষ্যতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে। তবে টেকসই উন্নয়নের বিষয়টি মাথায় রেখে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। বর্তমান প্রবৃদ্ধির হার ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে উন্নয়ন টেকসই করার স্বার্থে দক্ষতাভিত্তিক জাতীয় সংস্কৃতি গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে নেতৃবৃন্দ জোর দেন। শামসুর রহমান বলেন, সরকারের অনেক ঈর্ষণীয় অর্জন সত্ত্বেও দক্ষতা বিষয়ে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। অথচ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অপরিহার্য। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘দক্ষতার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন’ নির্ধারণ করা হয়েছে। বক্তারা বলেন, বিশ্বে ভবিষ্যত কর্মবাজারের নিরিখে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়নে সব শিক্ষা ব্যবস্থায় জ্ঞান ও দক্ষতাভিত্তিক কারিকুলাম প্রবর্তন, প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে ন্যূনতম একটি ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাস্তরে তিনটি কারিগরি বিষয় অন্তর্ভুক্তকরণ, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে শিক্ষার মূল স্রোতধারায় আনা, সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে জ্ঞান ও দক্ষতাভিত্তিক পুনর্গঠনসহ বিশ্বমানের শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা, দেশে আন্তর্জাতিক মানের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও বৈশ্বিক চাহিদার প্রেক্ষাপটে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, উন্নত বিশ্বের ন্যায় দেশের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীর হার ৫০ থেকে ৬০ ভাগে উন্নীত ও মধ্য স্তরের কারিগরি শিক্ষাকে ৪০ থেকে ৪৫ ভাগে উন্নীত করা, কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। শ্রমনিষ্ঠ মানুষের মর্যাদা ও পারিশ্রমিক নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে গণপ্রকৌশল দিবসের প্রতিপাদ্যের বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন-জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচী নেয়া হয়েছে বলে নেতৃবৃন্দ জানান। কর্মসূচীর মধ্যে ১ থেকে ৭ নবেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ে সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সদস্য প্রকৌশলী ও বিভিন্ন স্তরের জনগণের মাঝে শুভেচ্ছা কার্ড বিতরণ, ৪ নবেম্বর ঢাকায় আইডিইবি ভবনে ‘প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্বের সামর্থ্য ও সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক আলোচনা, ৬ নবেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কেন্দ্রীয় আইডিইবি ভবনে সেমিনার হবে। ৮ নবেম্বর কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় সকাল এগারোটায় আইডিইবি ভবনে র‌্যালিপূর্ব সমাবেশ, আলোচনা ও রাজধানীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার-ছাত্র-শিক্ষকদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালি হবে।
×