ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রেসিডেন্ট মানে কী, ট্রাম্প সেটা জানেন না

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ৬ নভেম্বর ২০১৭

প্রেসিডেন্ট মানে কী, ট্রাম্প সেটা জানেন না

যুক্তরাষ্ট্রের গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকেই ভোট দিয়েছিলেন বলে তা নিজেই নিশ্চিত করলেন জর্জ বুশ সিনিয়র। সাবেক এই মার্কিন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘দাম্ভিক’ বলে তাচ্ছিল্যও করেছেন। ‘দ্য লাস্ট রিপাবলিকান’ নামের সদ্য প্রকাশিত এক বইয়ে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসি ও এএফপির। জর্জ বুশ সিনিয়র তার ছেলে আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট না দিয়ে বরং ফাঁকা ব্যালট জমা দেয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। মার্ক এ্যাপডেগ্রোভের লেখা বইটির প্রিভিউয়ের উদ্ধৃতাংশ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো। ভোটের আগে রিপাবলিকান পার্টির কাউন্সিলেও ট্রাম্প সাবেক কোন প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক সমর্থন পাননি। সিনিয়র কিংবা জুনিয়র বুশ কেউই আবাসন ব্যবসা থেকে রাজনীতিতে এসেই প্রার্থী বনে যাওয়া ট্রাম্পকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন না। এবার জানা গেল, বর্তমান প্রেসিডেন্টকে ভোটও দেননি তারা। লেখককে জর্জ বুশ সিনিয়র বলেছিলেন, আমার তাকে পছন্দ হয়নি। তার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানিও না, যদিও বুঝি তিনি (ট্রাম্প) দাম্ভিক। তার নেতা হওয়া নিয়ে আমার উচ্ছ্বাস নেই। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে থাকা সিনিয়র বুশের ধারণা, ‘অহংবোধ থেকেই’ ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়েছিলেন। তার ছেলে বুশ জুনিয়র বলছেন, প্রেসিডেন্ট মানে কি, ট্রাম্প সেটা জানেন না। সব কিছুতে বর্তমান প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়া দেখানো নিয়ে বিরক্তিবোধের কথা জানান সাবেক এ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ্যাপডেগ্রোভ বলেন, গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় বুশ জুনিয়রের এক মন্তব্য থেকেই তিনি বইয়ের নাম দেন। ডব্লিউ বুশ সে সময় লেখককে বলেছিলেন, ভয় হয়, আমিই বোধ হয় শেষ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। এটা কেবল হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হতে পারেন সেজন্য নয়। ভয় রিপাবলিকান পার্টির যে দুঃসময় যাচ্ছে সেজন্যও। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন এমন সবকিছুর প্রতিনিধিত্ব করছেন, বুশরাও যা ঘৃণা করেছে। সাবেক প্রেসিডেন্টদের এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ এসেছে হোয়াইট হাউস থেকে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ হাকেবি স্যান্ডার্স বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরে থাকা একজনকে এই কারণেই নির্বাচিত করেছে, কারণ তিনিই বাস্তব, ইতিবাচক ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তনে সক্ষম। তারা যদি দশককাল ধরে করা ব্যয়বহুল ভুলের পুনরাবৃত্তিতেই আগ্রহী হতো, তাহলে জনগণের ওপর রাজনীতি চাপিয়ে দেয়া প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদের কোন একজনই বিজয়ী হতেন।
×