ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু ও চার নেতা হত্যার নেপথ্য নায়কদের বিচারের আওতায় আনতে হবে ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ৫ নভেম্বর ২০১৭

বঙ্গবন্ধু ও চার নেতা হত্যার নেপথ্য নায়কদের বিচারের আওতায় আনতে হবে ॥ নাসিম

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, কমিশন গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ও নেপথ্য নায়কদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে এবং বিদেশে তাদের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে এবং তৎকালীন সরকারপ্রধানদের ভূমিকা কী ছিল, একটি কমিশন গঠন করে তা স্পষ্ট করা উচিত। শনিবার ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারা স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। কিন্তু যারা এ হত্যাকা-ের নেপথ্যে ছিল এবং হত্যাকারীদের আশ্রয় দিয়েছে তাদের বিচার হয়নি। অবিলম্বে একটি কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকা-ের নেপথ্য নায়কদের এবং হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং এইচএম এরশাদের বিচার করা উচিত। তিনি বলেন, দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকা-ের নেপথ্য নায়ক এবং খুনীদের আশ্রয়দাতাদের বিচার চায়। কেন্দ্রীয় ১৪ দল দেশের মানুষের দাবির সঙ্গে একমত। মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারা স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নেতৃবৃন্দ কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে মোহাম্মদ নাসিম ১৪ দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর রোপণ করা কামিনী গাছের নিচে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধু যে কক্ষে বছরের পর বছর বন্দীজীবন পার করেছেন সে কক্ষ ঘুরে দেখেন। এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ১৪ দলের নেতাদের নিয়ে জাতীয় চার নেতা কারা স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বিউগলের করুণ সুর বাজানো হয়। এ সময় তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে মোহাম্মদ নাসিম জাতীয় চার নেতা কারা স্মৃতি জাদুঘরের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন এবং যে কক্ষে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে হত্যা করা হয়েছিল ওই কক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আইনী জটিলতার কারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতার খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনীরা যেসব দেশে পালিয়ে আছে ওই দেশগুলো স্বাধীন ও সার্বভৌম। ওই দেশগুলো তাদের ফিরিয়ে না দিলে কিছুই করা যাচ্ছে না। তবে ওই দেশগুলোকে খুনীদের ফিরিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ঘোষণা করায় কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডাঃ ওয়াজেদুল ইসলাম খান, জাসদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এমপি, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×