ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সমুদ্রপথে প্রথম ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজ মংলা বন্দরে

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ৫ নভেম্বর ২০১৭

সমুদ্রপথে প্রথম ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজ মংলা বন্দরে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সমুদ্রপথে ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজ মংলা বন্দরে নোঙর করেছে। এর মাধ্যমে এই প্রথম এ পথ দিয়ে সরাসরি বাংলাদেশ-ভারত পণ্য পরিবহন যোগাযোগ শুরু হলো। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, স্থলপথের বদলে এ পথ দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের পণ্য আনা-নেয়া হলে পরিবহন খরচ ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে যাবে। অশোক লে-ল্যান্ড লিমিটেডের ১৮৫টি ট্রাক নিয়ে শনিবার ‘আইডিএম ডুডলি’ নামক জাহাজটি চেন্নাই ছাড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেটি মংলা বন্দরে পৌঁছেছে। ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনের বিষয়ে চুক্তি সই হয়। চুক্তি সইয়ের দুই বছর পর এ মাধ্যম সচল হলো। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সূত্রে জানা যায়, যাত্রার পাঁচ দিন পর চালানটি বাংলাদেশে পৌঁছেছে। স্থলপথে যা ২০ থেকে ২৫ দিন লেগে যেত। অশোক লেল্যান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিনোদ কে দাশারি বলেন, সীমান্ত দিয়ে পণ্য সরবরাহে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেজন্য পানিপথে পণ্য রফতানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই পথে পণ্য রফতানি দূষণ ও ক্ষতি কমাবে বলে আশা করছি। পেট্রাপোলের এক কর্মকর্তা জানান, পেট্রাপোল থেকে কলকাতা ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মোট স্থলবাণিজ্যের ৯০ শতাংশ এই বন্দর দিয়ে হয়ে থাকে। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের তথ্য মতে, পেট্রাপোল-বেনাপোল ভারত ও বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গেটওয়ে। এটাই পণ্য আনা-নেয়ার একমাত্র পথ। প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় ৩৫০টি ট্রাক এ সীমান্ত দিয়েই বাংলাদেশে প্রবেশ করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ৮০টি ট্রাক ভারতে যায়। এটিও আবার সপ্তাহে একদিন বন্ধ থাকে। রফতানিকারকরা জানান, কমপক্ষে সাড়ে তিন হাজার ভারতীয় ট্রাক প্রতিদিন সীমান্ত পার হওয়ার অপেক্ষায় থাকে। ফলে পার্কিংজনিত সমস্যায় ভুগতে হয়। ট্রাক পার্কিংয়ের জন্য একটা বড় খরচও গুনতে হয়। পেট্রাপোলের প্রায় সাত কিলোমিটার আগে বনগাঁও গ্রাম অবস্থিত। যেখানে রাস্তায় গাড়িগুলোকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পেট্রাপোলে পার্কিং হওয়ার আগে এর মধ্যে দুই হাজার ট্রাককে ১০ দিন রাস্তায় কাটাতে হয়। গাড়ি রাখার জন্য এখানে সপ্তাহে চার হাজার রুপি পর্যন্ত গুনতে হয়। সীমান্ত থেকে শেষ পাঁচ কিলোমিটার যেতে বড় জোর কয়েক ঘণ্টা লাগতে পারে। কিন্তু সেখানে গাড়িচালকদের ধৈর্য ধরে বসে থাকতে হয় সাত থেকে ১০ দিন। সময় নষ্ট ও পার্কিংয়ের জন্য অতিরিক্ত খরচ ভারতীয় রফতানিকারকদের জন্য এখন বিষাদে পরিণত হচ্ছে। ভারতের সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি বলেন, কার্গো পরিবহনের জন্য সরকার প্রথমত পানিপথকেই অগ্রাধিকার দিতে চায়। এরপর পর্যায়ক্রমে রেলপথ ও সড়কপথ।
×