স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ আর কয়েক দিন পরই শুরু হবে বোরো ধানের চারা রোপনের মৌসুম। কিন্তু বিলে রয়েছে পানি। এই পানি অপসরাণ করা না গেলে মাঠে বোরো ধানের চারা রোপন করা যাবে না। কিন্তু বিলের পানি সরছে না। ভবদহ স্লুইস গেট এলাকায় নদীতে জমে রয়েছে কচুরিপানা। এই কচুরিপানা সরানো হলে বিলের পানি দ্রুত বের হয়ে যাবে। তাই এলাকাবাসী সরকারের ওপর নির্ভর না করে নিজেরাই নদীতে নেমে কচুরিপানা অপসারণ শুরু করেছে। শুক্র ও শনিবার কয়েকশ’ মানুষ নদীতে নেমে কচুরিপানা অপসারণ করেছে। আরও কয়েক দিন এভাবে কচুরিপানা অপসারণ করতে পারলে বিলের পানি বের হয়ে যাবে। কচুরিপানা অপসারণ করতে আসা মনিরামপুরের সুজাতপুরের কাঙ্গাল সরকার বলেন, ‘আর কাদা পানিতে থাকতি পারতিছিনে, বর্ষাকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি-ঘরে জল উঠায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বহুদিন ধইরে রাস্তার ধারে টোং ঘর বাইন্দে ছিলাম। এহন জল সরে গেলিও বাড়ির উঠোনে কাদা-পানি। শুনতিছি ভবদহ স্লুইস গেটের সামনে শেওলা (কচুরিপানা) আইটে থাহাই পানি সরতিছেনা। তাই চেয়াম্যানের ডাহে (ডাকে) এহেনে আইছি।’ ভবদহ স্লুইস গেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শুধু কাঙ্গাল সরকার নন, ইউপি চেয়ারম্যান, স্কুল-কলেজের শিক্ষকসহ উপজেলার কুলটিয়া, মশিয়াহাটি, সুজাতপুর, বাজে কুলটিয়া, হাটগাছাসহ কয়েক গ্রামের প্রায় শ’চারেক বিভিন্ন বয়সী লোক কচুরিপানা অপসারণ করতে এসেছেন। কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় বলেন, ভবদহ স্লুইস গেট দিয়ে পানির প্রবাহ বাড়াতে এলাকার লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করে তাদের সঙ্গে নিয়ে এ কাজে এসেছি। পানি দ্রুত সরে গেলে এলাকার বিলগুলো বোরো ধানের আওতায় আসবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: