ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাগেরহাটে প্রাইমারী স্কুলে ৬৫০ শিক্ষকের পদ শূন্য

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৫ নভেম্বর ২০১৭

বাগেরহাটে প্রাইমারী স্কুলে ৬৫০ শিক্ষকের পদ শূন্য

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ শিক্ষক সঙ্কটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সরকারী এক হাজার ১৫২ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৫০ শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক ২১৬ ও সহকারী শিক্ষকের ৪৩৪। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি ১৮৩ শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে মোড়েলগঞ্জ উপজেলায়। এর মধ্যে ৩৭ প্রধান শিক্ষকের। শরণখোলায় শূন্য রয়েছে ৮৬ পদ। এর মধ্যে ১৪ প্রধান শিক্ষকের ও ৭৭ সহকারী শিক্ষকের। কচুয়ায় ৭৭ শূন্য পদের মধ্যে ২১ প্রধান শিক্ষকের ও ৫৬ সহকারী শিক্ষকের। সদর উপজেলায় ৮০ শূন্য পদের মধ্যে ৪২ প্রধান শিক্ষক ও ৩৮ সহকারী শিক্ষকের। ফকিরহাটে ৫৪টির মধ্যে ২৮ প্রধান শিক্ষকের ও ২৬ সহকারী শিক্ষকের। মোল্লাহাটের ৪৭ পদের মধ্যে সাতটি প্রধান শিক্ষকের ও ৪০ সহকারী শিক্ষকের। রামপালে ৪৪ পদের মধ্যে ২৩ প্রধান শিক্ষকের ও ২১ সহকারী শিক্ষকের। মংলায় ৫০ শূন্য পদের মধ্যে ৩১ প্রধান শিক্ষকের ও ১৯ সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। চিতলমারীতে ২৮টির মধ্যে ১৩ পদ প্রধান শিক্ষকের ও ১৫ সহকারী শিক্ষকের। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা ও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানিয়েছে। শরণখোলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাহরিয়ার বলে, স্যার নেই তাই আমাদের স্কুলে সব ক্লাস হয় না। আরেক শিক্ষার্থী রুমানা বলে, স্কুলে স্যার না থাকায় আমরা স্কুলে এসে বসে থাকি। অভিভাবক ফরিদ খান ও আসমা আক্তার বলেন, শিক্ষক কম থাকায় বাচ্চারা স্কুলে গিয়ে বসে থাকে। সব বই পড়াতে পারে না শিক্ষকরা। শরণখোলার খুড়িয়াখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রব আকন, শিক্ষক নিয়োগ দেয় সরকার। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। সদর উপজেলার মির্জাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মানছুরা খানম চম্পা জানান, তাদের বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় অফিসিয়াল কাজগুলো সহকারী শিক্ষকদের করতে হয়। ফলে স্বাভাবিক পাঠদান ব্যাহত হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হয় সরাসরি নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে। আর প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের ৩৫% হয় পিএসসির মাধ্যমে এবং ৬৫% হয় সহকারী শিক্ষকদের পদন্নোতির মাধ্যমে। সেদিক দিয়ে পদন্নোতি পাওয়ারযোগ্য অনেক সহকারী শিক্ষক বাগেরহাট জেলায় রয়েছেন। ৬৫% সহকারী শিক্ষক পদন্নোতি পেলে প্রধান শিক্ষকের ২১৬ পদ পূর্ণ হয়। সে ক্ষেত্রে জেলায় আরও ১৪০ সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অশোক কুমার সমদ্দার বলেন, জেলায় শূন্য থাকা সহকারী শিক্ষকের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। শূন্য থাকা প্রধান শিক্ষকের ৬৫% পদ পূরণের জন্য যোগ্য সহকারী শিক্ষকদের তালিকাও পাঠানো হয়েছে। যাচাই-বাছাই চলছে। শীঘ্রই সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছি।
×