ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চিকলী নদী থেকে বালু উত্তোলনের হিড়িক

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ৫ নভেম্বর ২০১৭

চিকলী নদী থেকে বালু উত্তোলনের হিড়িক

সংবাদদাতা, বদরগঞ্জ, রংপুর, ৪ নবেম্বর ॥ এক জামায়াত নেতার নেতৃত্বে বালু লুটপাটের মহোৎসব চলছে। ওই নেতা পাঁচ বছর ধরে এতিমখানা ও মসজিদের নামে চিকলী নদী থেকে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অব্যাহত বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে আবাদি জমি। ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ। এরপরও প্রভাবশালী ওই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে, ওই জামায়াত নেতা প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করছেন। কেউ বাধা দিলে উল্টো প্রশাসনের লোকজনকে দিয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। শনিবার স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দামোদুরপুর ইউনিয়নের আসমতপাড়া গ্রামের মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে জামায়াত নেতা মোস্তাক আহম্মেদ চিকলী নদীর আফতাবগঞ্জ মাদ্রাসাসংলগ্ন এলাকায় ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বালু লুটপাট। ট্রাক্টরে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওই বালু। প্রতি ট্রাক্টর বালু বিক্রি হচ্ছে ৮শ’ থেকে এক হাজার টাকা। মসজিদ ও এতিমখানার নামে বালু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ওই নেতা। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হাজার হাজার একর আবাদি জমি ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এরপরও ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। ওই এলাকার আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বালুখেকো ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে প্রশাসন উল্টো অভিযোগকারীকে হয়রানি করে। এ কারণে এখন আর কেউ ওই নেতার বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে সাহস পায় না। বালু লুটপাটের মূল হোতা জামায়াত নেতা মোস্তাক আহম্মেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বালু উত্তোলন করে মসজিদ ও এতিমখানার কাজে লাগাচ্ছি। এখানে আপনার মতো সাংবাদিকরাও জড়িত আছেন। আপনি কিছুই করতে পারবেন না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাশেদুল হক বলেন, যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×